আজ সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে ভাবলাম 'ব/য়/ক/ট ই/ন্ডি/য়া/ন প্রোডাক্ট' ক্যাম্পেইন কেমন চলছে তা দেখি! আমি যে তিনটে মুদি দোকান থেকে মাসের নানান নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে থাকি, তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম। তারা যা জানালো, তার সারাংশ হচ্ছে, বিষয়টা অনেকেই জানে, দ্রব্যাদি কেনার সময়ে ই/ন্ডি/য়া/ন পন্য দিয়েন না বলে নানান কথা উচ্চারন করে! কিন্তু বাজারে অনেক দ্রব্যের বিকল্প নেই বলা চলে, ফলে সেই সকল দ্রব্য নেয়াই লাগে। যে সকল দ্রব্যের পরিপূরক আছে সেই দেশি দ্রব্যের দামও একটু বেশি! মানে মানুষের মন চাইলেও অনেক কিছু এড়িয়ে বাজার করতে পারছে না! মনের বাইরে যাচ্ছে তবুও অল্প বিস্তার হলেও কিনতে হচ্ছে!
আমি মায়ের ও আমার সংসারে বাজার করি সেই ১৯৮৫ সাল থেকে! ২০০৫ সালের আগে প্রায় প্রতিটা নিত্য পন্য দেশি উৎপাদনের পাওয়া যেত, এই দেশেই কারখানা ছিলো, বিকল্প হিসাবে শুধু কয়েকটা ই/ন্ডি/য়া/ন নয়, আরো অনেক দেশের থাকত! কিন্তু এর পরের বছর গুলোতেই আমাদের সেই সকল পন্য, কারখানা গুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেল, এর ধারায় ই/ন্ডি/য়া/ন পন্য গুলো আমাদের ঘরে প্রবেশ করে ফেলল! আমাদের দেশের অনেক পন্যের কল-কারখানার ই/ন্ডি/য়া/র লোকেরা কিনে নিয়েছে, মোটাদাম পেয়ে বিক্রি করেছে বা বাধ্য হয়েছে, আর এই ফাঁকে ওরা তাদের দেশ থেকেই বলা চলে সব কাঁচামাল ও অন্যান্ন প্যাকেজিং সামগ্রীও নিয়ে আসছে, ট্রেডিং ব্যবস্থায় পরিপূর্ন সব দ্রব্য নিয়ে আসা তো এখন পানি পানের মত ব্যাপার!
বলার কিছু দেখি না, সব কথা বলাও যায় না! আমাদের দেশের উচু/ধনীদের কঠোর লোভ, ক্ষ/ম/তা/সী/নদের অদুরদর্শিতাই আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে কে জানে!
ছোট একটা উদাহরণ দেই, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (BEOL), যাদের রূপচাঁদা সোয়াবিন তেল সহ নানান প্রোডাক্ট কে না চিনেন বা না খেয়েছেন বা কিনেছেন! আমি যতদুর জানি এই কোম্পানী এই দেশে এসেছিল মালয়শিয়া সিঙ্গাপুর থেকে এবং তারাই তাদের প্রোডাক্ট গুলোর মান নিয়ন্ত্রন সহ বাজারজাত করত, ভেজ্যতেলের বাজারে তাদের নানান প্রোডাক্টের সাফল্য ছিল অতুলনীয়, আর এখন শুনি এটা নাকি ই/ন্ডি/য়া/র বিজ্ঞ/ধনী আ/দা/নী গ্রু/পে/র, মানে তারা কিনে নিয়েছে, মালয়শিয়া/সিঙ্গাপুর ফিরে ফিরে গিয়েছে! এমন খুঁজে দেখলে প্রায় সব গেছে!
#boycotindianproduct #BoycotIndianProducts
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩১