somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

এগিয়ে থেকেও আমরা কেন পিছনে পড়লাম?

৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কথা গুলো বলে ফেললে অনেকে রাগ দেখাবেন হয়ত, কিন্তু এটাই সত্য ছিল। ১৯৯০ সালের আগে বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় অনেক দিকেই এগিয়ে ছিল এবং সেটা আমি আমার নিজের চোখেই দেখেছি, আমরা যারা সেই সময়েই ভারতের নানান স্থান ভ্রমন করেছি তখন নিজের চোখেই দেখেছি। তখন এই দুই দেশের মানুষে মানুষে মেধায় তুলনা করলেও বাংলাদেশ এগিয়েই ছিল, বাংলাদেশের শিক্ষকেরা বা মেধাবীরা আমেরিকা থেকে পিএইচডি করে ফিরত, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক দুনিয়ার নানান দেশ থেকে পিএইচডি করে ফিরে ছাত্র পড়াতে্‌ বলা চলে বাংলাদেশের মানুষ এই শিক্ষকদের দ্বারা ১৯৮০ সালের মধ্যেই কম্পিউটার ও প্রযুক্তিজ্ঞান জেনে গিয়েছিল, ১৯৮৫ সালের মধ্যে আমরা কম্পিউটার ও প্রযুক্তি প্রসঙ্গে জানি, তার অর্ধেকও তখনকার ইন্ডিয়ানেরা জানত না, এটা আমার চোখে দেখা। বাংলাদেশ তখন কম্পিউটার দেখেছি, এর অনেক পরে ইন্ডিয়া দেখে। বাংলাদেশ এখনো প্রযুক্তির সেরা গুলো যখন তখন দেখে ফেলে, আপডেট জলদি দেখে। ফিজিক্স কেমেষ্টির মত বিষয়ের আপডেট গুলো এখনো বাংলাদেশ আগেই জানে।

এর পরে আমাদের আর্থিক অবস্থাও যদি চিন্তা করি, সেই সময়ে আমরা বাংলাদেশীরা যা ব্যবহার করতাম, যা খেতাম, যা পরতাম তাও তাদের ছিল না! একটা দামী ঘড়ি নিয়ে গেলে দিগুন দামে ইন্ডিয়াতে বিক্রি করা যেত! আমার এখনো মনে আছে, কলকাতায় আমার সার্ট ধরে জিজ্ঞেস করছিলো, এটা কোথায় পেলে, মানে সেই সময়েই বাংলাদেশে জাপানের কাপড় পাওয়া যেত এবং আমরা সেই কাপড়ে সার্ট বানিয়েছি, যা তারা চিন্তাও করতে পারত না!

যাই হোক, আমাদের সরকার প্রধানদের মন্দ চিন্তা এবং অপশাসনে আমাদের জাতি পিছিয়ে পড়ছে, তবে এখনো আমাদের যুবকেরা, আমাদের মানুষেরা মেধায় এগিয়ে আছে, যার প্রমান আমাদের প্রবাসীরা, অন্যদিকে যদিও তারা দাবী করে সারা বিশ্বে তাদের লোকেরা সিইও কিংবা জিএম হয়ে আছে, গুগল মাইক্রোসফট ইত্যাদির তা মানতে অসুবিধা নেই, তবে আমাদের সামাজিক অবস্থার কারনে পড়ালেখা না করেও একজন মানুষ এখন যে জ্ঞান ধারন করে, তা তাদের এখনো হয়নি। আমাদে ফুটপাতে বড় হওয়া কোন শিশুর মেধার সাথে এখনো তাদের বিল্ডিঙে থাকা শিশুর মেধার তুলনা করা যেতে পারে।

আমাদের অনেক বিষয়ে খোলস ভাঙ্গা হয়েছে অনেক আগে, আমাদের মানুষের উদারতা তাদের চেয়ে এখনো অনেক উপরের দিকে। যদিও এখন আমাদের অনেক অবকাঠামো ভেঙ্গে নিচু করার চেষ্টা হচ্ছে শুধু তাদের কারনেই। আমি মনে করি, বাংলাদেশ একদিন জেগে উঠবেই, আমরা অভ্যন্তরীণ একটা সুন্দর অবকাঠামো পাবোই।

লিখলে অনেক লিখা যায়, শেষ একটা তথ্য দেই, এই যে এখন ইন্ডিয়াতে বড় বড় স্থাপনা দেখেন, ফ্যাক্টরী দেখেন, বুলেট ট্রেন দেখেন, বড় বড় ব্রীজ দেখেন তা কি তারা বানাচ্ছে বলে মনে করেন, না! ইন্ডিয়ার এই সমস্ত প্রজেক্টের বেশিভাগ জাপানেই করে দেয়, কোরিয়াও আছে, আগে চীন ছিল যদিও চীন এখন আর সেই সব কন্টাক পাচ্ছে না।

বিষয়টা এই জন্য লিখলাম, আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এই সব জানে না বা তাদের জানানো হয় না বা হচ্ছে না। বাংলাদেশ একটা চমৎকার দেশ, এই দেশের মানুষেরা উদার মনোভাবাপন্ন, মেধাবী এবং অন্যান্ন অনেক দেশের মানুষের চেয়ে আধুনিক।


খবর পড়ে দেখুন। ক্লিক
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৬
২১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×