১। শেখ হাসিনার পলায়নে ও সরকার পতনে সবচেয়ে কে বেশী খুশি? এমন চিন্তায় আমার যে নামটা মনে আসে, তিনি হলেন মিঃ বেনজির আহমেদ! আমার ধারনা হয়, তিনি ইউরোপের কোন এপার্ট্মেন্টের বেল্কনিতে বসে প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে চিনি ছাড়া ব্লাক কফি পান করছেন এবং স্ত্রীকে বলছেন, দেখো যার জন্য এত করলাম, সে আমাকে দেখলো না, দেখো এখন তার কি অবস্থা!
২। প্রফেসর ইউনূস সাহেবকে মুলত পালিয়ে যাওয়া আপা শেখ হাসিনাই তৈরী করছেন বলে মনে হয়! বিষয়টা হাস্যকর, তবে তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রফেসর ইউনূস সাহেবের পিছনে লেগে লেগে উনাকে আরো সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করে দেন, যারা তার নাম জানত না, তারাও জেনেছে এবং তিনিই সারা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি হয়ে উঠেন। যারা তার নাম জানত না, তারাও এই প্রচারে তাকে জেনে গিয়েছিলেন, আর আপা যেহেতু মিথ্যায় পারদর্শী ছিলেন, তখন সবাই ভাবত যে, প্রফেসর ইউনূস সাহেব সঠিক! আহ, ভাগ্য! যার পিছনে এত সময় এত মেধা নষ্ট হল, সেই এখন চাইলেই কত কি করতে পারে! কাউকে শত্রু ভাবার আগে অনেক গবেষণার দরকার, আসলেই সে কি শত্রু! এই সব চিন্তায় আমাদেরই মাথা ভনভন করে, আর আপা শেখ হাসিনা এখন কি করে ঘুমান? বিশ্রী চিন্তায় দেশ হারালেন, এমন কি এখন এই দেশে কবর পাবেন কি না তাও অজানা!
৩। যে খবর গুলো জানার জন্য বারবার সংবাদ পত্রের পাতা গুলো খুলে দেখি, তা হচ্ছে শেখ হাসিনার নিযুক্ত মন্ত্রী এম্পিদের বর্তমানের অবস্থা কি, কে কোথায় কোন চকির তলে আছে! হাজার কোটি চুরি করে দেশবিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে এরা এখন কি করছে, অথচ পত্রিকাগুলো এই সবের কিছুই জানাচ্ছে না, আফসোস লাগছে। এদের অন্তত জেলে দেখলে ভাল লাগত!
৪। স্বরাষ্টমন্ত্রী আজকে অনেক কথা বলছেন, যে সব মিডিয়া চাটুকারিতা করবে তাদের বন্ধ করে দেয়া হবে! মানে সরকারের চাটুকারিতা করার দরকার নেই। কথাটা বার বার পড়ছিলাম, আপা হাসিনার সময়ে আমরা জানতাম, যে যত বেশি চাটুকারিতা করবে সে তত সুযোগ পাবে, বন্ধ দুরের কথা। এই কারনে চাটুকারিতাও একটা খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, কে বা কোন মিডিয়া প্রথম হতে পারে! চাটুকার জই মামুন আজকে চাকুরী হারিয়ে, ভাবতেই কেমন লাগছে!
৫। ঢাকা শহর এখন খুব পরিস্কার ও পরিছন্ন, এর পুরা কৃতিত্ব যায় ছাত্রছাত্রীদের উপর। শহরে দুই মেয়র ও হাজারো লোকবল থাকার পরেও এই শহর পরিস্কার থাকত না। দুই মেয়র আসলে কোন কাজই করত না, এদের ধান্ধা ছিল একটাই, কিভাবে আরো আরো অর্থ উপার্জন করা। এই চেয়ারে বসার মুল কারন ছিল এদের 'উপার্জন'। এই হারাম/খোরেরা তেমন কোন কাজই করে নাই, যা করছে লোক দেখানো। আজকে ছাত্রছাত্রীরা কয়েক হাজার টাকার রঙ দিয়ে একেটা পিলার রঙ করে দিচ্ছে, অথচ এই শু/য়ো/রে/রা হয়ত এক পিলারেই কয়েক লক্ষ টাকার রঙ লেগেছে বলে হাতিয়ে নিত বা নিয়েছে!
নয়াপল্টন, ১১/০৮/২০২৪ইং

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


