পাশের দেশের মি শুভেন্দু বাবু যেভাবে চিন্তা করেন, তাতে তাদের দৈনত্যাই প্রকাশ পায়! অথচ বহু বছর আগেই তাদের জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছেন। যাই হোক, এই সবকিছুই থেমে যাবে, আমাদের আপার একটা ফয়সালা হলেই! আপা যতদিন সেখানে থাকবেন ততদিন তারা ও আমরা ঝুলেই থাকবো। আপার ইচ্ছায় তারা আমাদের জন্য নুতন নুতন বিপদ নিয়ে হাজর হতে পারে! আপা তাদের যা যা দিয়েছেন, তা তারা ভুলে কি করে!
এদিকে মি মোদীজ্বির অবস্থাও বেশ নড়বড়ে, তিনিও আপার মত প্রায় ইনফরমেশন বাড়িয়ে দিয়ে, ভুয়া তথ্য দিয়ে তার দেশের জনগণকে লাফাতে বলছেন, অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। প্রায় সব ফাইনাশিয়াল এক্সপার্ট একমত যে, দেশ দিন দিন ডুবছে, দেশের মানুষ দিনদিন গরীব হচ্ছে। আদানীপাদানীর মত ব্যক্তিদের ইনকাম বাদ দিলে জিডিপির হার/ইনকাম দরিদ্র দেশের মতই হয়ে পড়ে।
আমাদের আপার মত সেখানেও এখন রিজার্ভ দেখানো হচ্ছে ভুয়া, যা তাদের দেশের অনেকে বুঝে কিন্তু উল্লেখ করতে পারে না! আবার উল্লেখ যে, গত কয়েক মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ সেখানে মধ্যবিত্ত থেকে নিন্মবিত্তে নেমে পড়েছেন! অনেকে সঞ্চিত স্বর্ণ গচ্ছিত রেখে সংসার চালাচ্ছেন আশা নিয়ে যে, আবার ভাল দিন আসবে! সেখানেও দ্রব্যমুল্য দিনকে দিন বেড়েই চলছে, মানুষ হতাশ, যদিও ধর্মের আফিম টানা লোকেরা এই সব বুঝে না!
অনেকদিন ধরে নানান প্রতিবেদনে অনেকেই বলে আসছেন, দেখেও আসছিলাম, সত্য মিথ্যা বুঝাই যায়। তবে আজকে সাংবাদিক মি রাবিশ কুমার একদম হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন! মাথা ঠান্ডা করে মি রাবিশ কুমারের হিন্দিতে বলা প্রতিবেদন দেখুন (হিন্দি আমাদের না বুঝার কথা নয়, আমাদের আপা হিন্দি বলতেও পারতেন)।
যাই হোক, আমি মনে করি আমাদের উদ্বিগ্ন হবার কোন কারন নেই, আমাদের লেংটি খুলে নেয়ার চেষ্টা করলে তাদেরও নেংটি খুলে যাবে! আমাদের অবশ্য ঘুমিয়ে না থেকে জেগে উঠতে হবে, শিক্ষা চিকিৎসা কৃষি খাত সহ নানান দিকে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের চেষ্টা করতেই হবে যেন ওদের কাছে আমাদের যেতেও না হয়! আমরা যত ওদের কাছে যাব না, তত আমাদের ডলার রক্ষা পাবে, আমরা ধনী হব, কারন তাদের সব কিছুই তো আমাদের কাছে আসে ডলার বিনিময় মুল্য্ সেই পাচার থেকে ডলার রক্ষা পাবে!
আমি আবারো বলি, আমাদের ভয়ের কিছু নেই। আর বেশী ভয় পেলে বলি ইতিহাস পড়ুন, আমাদের পূর্বপুরুষের অনেক কিছুই আছে গর্ব করার, আমরা এই অঞ্চলের বীরের জাতি, আমাদের পরাজয় অসম্ভব!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৩