ভিয়েতনামের এই বিচার দেখে শুনে মনে হল দুনিয়াতে এখনো বিচার আছে! পুরা আপনারা পড়ে নিয়েন, সংক্ষেপে বলি, এই নারী ধনকুবের একটা ব্যাংক কব্জায় নিয়ে হাজার কোটি নানান নামে লোন বা চুরি করে নিয়ে বিশাল নানান ধরনের ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন, তিনি ভিয়েতনামের আবাসন ব্যবসার বিরাট অধিপতি এখনো!

কিন্তু তার এই অপরাধ আদালতে প্রমান হয় এবং নিন্ম আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ শুনায়, আপলের পরেও আদালত তার মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। বুঝেন বিচারের সততা। কাউকে খুন না করেও ফাঁসির আদেশ! তিনি তার দেশের সাধারন জনগণের সঞ্চিত অর্থ হাতিয়ে ছিলেন মাত্র, তাও নিজের কব্জার ব্যাংক থেকে এবং যদিও তার কাছে যা হাতিয়েছেন তার চেয়ে বেশী সম্পদ এখনো আছে!
বিচার যদি ঠিক হত আমাদের দেশে তবে এস আলম সালমান থেকে কত শুয়োরজন্তুর মৃত্যুদন্ড হত ভেবে দেখেন, লোন নিয়ে ফেরত না দেয়া আবার নিজের নামে বিরাট বিরাট কারখানা খুলে ফেলা, বিদেশে টাকা পাচার! এদের মত লোকেরা যে পরিমান টাকা হাতিয়েছে লোনের নামে, চুরি করেছে, তাতে নিশ্চয় ডাবল ফাঁসি! আমাদের এই শুয়োরেরা কবে বিচারের মুখোমুখি হবে?
আজকে আমাদের ব্যাংক গুলোকে কারা গলা টিপে হত্যা এখনো আলীশান জীবন যাপন করছে, আমরা সব জানি, তাদের নামধাম সব, অথচ এদের কখনোই বিচার হবে না! আওয়ামী লীগের সরকার টাকা ছাপিয়ে এদের পাপ মোচন করেছে এবং এই সরকারও সেই পথেই যাচ্ছে বা গেছে, সামান্য বিচারের কাছেও এদের যেতে হচ্ছে না! আফসোস।
যাই হোক, আর এই সমস্ত মিথ্যা ডক্স চাপ দিয়ে ব্যাংকের লোন নিয়ে নিদিষ্ট সময়ে ফেরত না দিলে মধ্যপ্রাচ্য নিশ্চয় প্রকাশ্যে কল্লা কাঁটা হত! বিচার ব্যবস্থা পুরো স্বাধীন হলে মুলত দেশ এমনিতেই গতি পেয়ে যায়!
লুটেরাদের বুকে কাঁপন ধরাতে বিচারের কোন বিকল্প নেই! ভিয়েতনামের এই বিচারে সেই দেশের হাজার কোটি ধনী পুরুষ নারী সোজা হয়ে যাবে নিশ্চয়! খবরের লিঙ্ক এখানে, প্রথম আলো থেকে দেখা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



