somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

গল্পঃ আজ রাতে আমি বাইরে থাকবো

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ভাল লেখক না, মনের কথা খুব একটা ভালভাবে আপনাদের কাছে তুলে দিতে পারি তা নয়, যদি পারতাম তা হলে মনে আরো আনন্দ পেতাম। তবে আবার কিছুটা পারছি বলেই মনে হয়, আর এই কারনে আমাকে অনেকে অনলাইনে চিনে থাকেন, এটাও কম আনন্দের নয়!

আজকে আমি যে বিষয়টা তুলে ধরবো তা হচ্ছে আমাদের নারীদের (সবাই চায় তবে কেহ হয়ত পারে না) এক বিশাল গুণের কথা। বিয়ে হয়ে যাবার পরেও আমাদের অনেক নারী এই গুণ অত্যান্ত দৃঢ়তার সাথে ধরে রাখেন। হ্যাঁ, উনাদের বিয়ে হয়ে যাবার পরেও উনারা উনাদের বোন ভাইদের সংসারে চরম ইন্টারফেয়ার করেন এবং ভাই বোনের ছেলে মেয়েদেরও নানানভাবে কন্ট্রোল করে থাকেন, এই ভাইবোনদের জন্য যেন তিনি পরামর্শদাতা, উপদেশদাতা আর যদি স্বামীর টাকা কড়ি থাকে তবে তিনি অর্থদাতাও! অথচ সমাজ ধর্ম আমাদের যা শেখায়, তিনি তার বিপরীতেই চলেন! কোন নারীর বিবাহ হয়ে গেলে তার দায়িত্ব শুধু মাত্র স্বামী ও সন্তানের জন্য, দুনিয়ার আর কারো দিকেই উনাকে না তাকালেও চলে, মানে এই দুইকেই তিনি ধরে রাখতে পারলে পরপারে বেহেস্ত নিশ্চিত!

কিন্তু বাস্তবতা তো আমাদের চোখের সামনেই থাকে। উনার ভাই বোনেরা বড় হয়ে গেলেও এমনক বিবাহ শাদী করে সংসারী হলেও যেন পরামর্শ লাগবেই, তাদের সন্তানদেরও তার কথামত চলতে হবেই! ভাই বোনকে দূর থেকে হলেও এই কর, সেই কর, এভাবে না এভাবে বলতেই হবে! হা হা হা, আশা করি বিজ্ঞ পাঠকেরা বুঝে গেছেন এবং এই নাটক হয়ত আপনার ব্রেনে চালু হয়ে গেছে, চোখে দেখতে পারছেন, আপনার ঘরেই কি চলছে! সাহসী কিংবা লজ্জায় হয়ত কিছু বলতে পারেন না যে, আপনি বা তুমি এই কাজ করতে পারো না, ঠিক আমার মতই!

উদাহরণ দিলে নিজের চোখে দেখা উদাহরণ দেয়াই উচিত! আমার মায়ের কথা এই সময়ে মনে পড়ছে। তিনি এখন প্রায় ৭৫ বছর পার করেছেন। দশ ভাই বোনের তিনি সবার ছোট, এখন একমাত্র তিনি বেঁচে আছেন, কিন্তু উনার আবার বিয়ে হয়েছিল দশ ভাই বোনের সবার বড় জনের সাথে, মানে আমার মা আমার নানান বাড়িতে সবার ছোট আর আমাদের বাড়িতে সবার বড়, বিচিত্র! আমি মাঝে মাঝে অবাক হই, আমার মাকে আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি, তিনি তার ভাই বোনদের কিংবা তাদের স্ত্রীদের বা তাদের সন্তানদের নানানভাবে কন্ট্রোল করেছেন এবং এখনো করেন। আমরা অনেক কিছুই হয়ত দেখি না বা আমাদের চোখের সামনে হয় না, গোপনে হয় কিন্তু এখনো বুঝতে পারি! এখনো উনার কোন ভাইয়ের ছেলে মেয়ে কি করবে, কি করলে ভাল হবে ইত্যাদি ওভার দ্যা ফোনে বলে থাকেন, ছোটখাট সমস্যা বা আর্থিক সাহায্যও করে থাকেন। হা হা হা, এই প্যারা আম্মার চোখে পড়লে আমার কি হবে আমি জানি না! আমার জন্য দোয়া করবেন আপনারা।

এবার আশা যাক আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর কথা, আমাদের বিবাহের ২৭ বছর পার হতে চলল! ঐ উপরের প্যারার মতই! আমার খুব একটা সাহস হচ্ছে না, পুরা খুলে বলার। সবাই বড় হয়েছে, কে কি করবে, করলো, তাতে তারাই যথেষ্ট হয়ত, তবুও আমি ফিল করি তার এই অসামান্য চেষ্টা! আপনারা কল্পনা করে ব্রেনে এই নাটকও চালিয়ে দিতে পারেন! এবং আশা করি, পুরাই দেখতে পাবেন। জাস্ট রাবিশ!

হ্যাঁ, এবার বাদবাকী থাকে আমার বোনের কথা, সে দেশে থাকে না, থাকে বি-দে-শে স্বামী সন্তান নিয়ে! তারো এই ইচ্ছা হয় কি না আমি জানি না, তবে তার বিয়ে এবং বিদেশ চলে যাবার সময়ে আমি তাকে পরিস্কার বলে দিয়েছিলাম, তোমার দায় হচ্ছে তোমার স্বামী সন্তান, তাদের দিকেই দেখো, আমাদের দিকে কখনো তোমার তাকাতেও হবে না, তাকাবেও না। হয়ত আমার এই ভাষণে কাজ হয়েছে। কিছু দিন আগে ফোনে বললাম, তোমার ছেলে মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, তুমিও বুড়ো হয়ে যাচ্ছো, বিদেশে সন্তানেরা হয়ত তোমার কাছে নাও থাকতে পারে, একাকি হয়ে যেতে পার, দেশে ফেরত আসতে হতে পারে, নিজের সঞ্চয় নিজের কাছে রেখো, বুড়ো কালে আমরা হয়ত আবারো একসাথে থাকতে পারি!

যাই হোক, আপনাদের গল্প কি জানি না! মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের এই কন্ট্রোলের চেষ্টার গল্প হয়ত বহু পুরানো! আর স্বামী ধনী হলে স্ত্রীও ধনী, এই ধনী নারীরা তার গরীব ভাইবোনদের ও তাদের সন্তানদের কি করেন তাও নিশ্চয় আপনারা অনুমান করতে পারেন!

পরিশেষে মনে হচ্ছে, এই গল্পের নায়ককে আজ রাতে বাইরেই কাটাতে হবে! হা হা হা, আপনাদের মনে আসা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলাম!

(নয়াপল্টন, সন্ধ্যা ৭:৩০মিনিট)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে দিয়ে দেখতে দিন কে বাঘ কে বিড়াল?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬



সব দলের অংশগ্রহণে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে দিন। কোন দলকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে কি করেনি সেইটাও জাতিকে দেখতে দিন। পিআর পদ্ধতির জাতীয় সংসদের উচ্চ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×