আসেন ছোট একটা ব্যাখ্যায় যাই, সংক্ষেপে! বছর দেড়েক আগের (ফ্রেবুয়ারী ২০২৪) একটা প্রতিবেদন দেখি। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার বাইপাস সার্জারির দরকার হয় (এখন নিশ্চয় আরো বেশী), এর মধ্যে বাংলাদেশের ৩২ হাসপাতালে প্রায় ১২ হাজার এই সার্জারী হয়ে থাকে (পত্রিকাকে সত্য মনে করলাম), বাদ বাকী বিদেশ যায় বা অর্থাভাবে সার্জারী করে না বা মারা যায়। মানে তথ্যে যা দাঁড়ালো ৩২ হাসপাতালে অন্তত একদম এক্সপার্ট সার্জান ২ জন করে ধরলেও ৬৪ জন আছেই, যারা এই বিষয়ে একদম নিখুঁত অপারেশন করতেই পারেন। তাহলে এই ৩২ হাসপাতালে প্রতিদিন ২টা করে হলেও দিনে প্রায় ৬৪টা অপারেশন বাংলাদেশে হয়েই থাকে বা হচ্ছে।

অনেকেই জানেন, আমি ল্যাব এইডে কাজ করেছি, আমার রুমের পাশেই ছিল ডাঃ লুতফুর রহমান স্যারের অপারেশন থিয়েটার, তিনি দিনে অন্তত ৪/৬ জনের এই অপারেশন করতেন, হেসে বলতেন, এর কম হলে মনে হয় না যে কাজ করছি! তিনি বলতেন আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি হলে আরো সময় বেঁচে যেত। অপারেশন গুলো হত সকালের দিকে, ক্রিটিক্যাল না হলে ঘন্টাখানেকেই হয়ে যেত। এই বিষয়ে তিনি এই দেশের পাইওনিয়ার, তিনি বেটিং হার্ট বা হার্ট চালু রেখেই কিভাবে এই বাইপাস অপারেশন করেন (আমি নিজেও আমার ছোট চাচাকে ৭/৮ বছর আগে উনার থেকে এই বাইপাস অপারেশন করিয়েছিলাম, তবে ভাল জ্ঞান নিতে ইচ্ছা হয় নাই, আমার চাচা ভাল আছেন, আমি এই অপারেশন করেও ৩০ বছর বেঁচে থাকা ব্যক্তি দেখেছি ল্যাব এইডের লিফটে পরিচয় হয়েছিল)। বাইপাস সার্জারীতে এখন মৃত্যুহার তেমন একটা নেই বলা চলে, যদিও হায়াত মোউত আল্লাহর হাতে।
যাই হোক, এত কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এখন বাইপাস সার্জারীতে বাংলাদেশ দক্ষ, রোগীর তুলনায় সিট বা ফ্যাসেলিটি কম থাকায় অনেকে সাহস করেন না, তবে সরকার বা বড় ব্যবসাহীরা চাইলেই দেশেই অত্যাধুনিক আরো আরো হাসপাতাল গড়ে উঠতে পারে বা বিদেশে যাবার দরকারই নেই!
দেশের এক রাজনৈতিক দলের প্রধানের এই বিষয়ে বিদেশ যাবার দরকারই পড়ে না এবং তিনি জেনে শুনেই এই দেশে এই অপারেশন করতে রাজী হয়েছেন এবং তিনি নিজে ডাক্তার বলে নিশ্চয় আরো বেশী জানেন।
(আমার কথায় ভুল থাকলে জানাতে পারেন, অহেতুক উনার মহত্ব প্রচার করার আগে দেশের এই বিষয়ে এক্সপার্ট ডাক্তারদের খোঁজ বা হাসপাতাল গুলোতে যেতে পারেন)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


