সকাল থেকে অনেক বিষয় মাথায় কিলবিল করছে, ভাবি এটা সেটা নিয়ে কিছু লিখি, কিন্তু বসলেই আর ইচ্ছা হয় না, এত এত বিশ্রী বিষয়, কোনটা নিয়ে আগে লিখি! তবুও কিছু পয়েন্ট ডায়রীতে তুলে রাখি!
যেমন ধরেন তৌহিদ আফ্রিদি, ছেলেটা কেন এমন করলো? বুঝ হবার পরেই সে দেখেছে বাবার অনেক সম্পত্তি, সে শান্ত হয়ে বিদেশে পড়াশুনা শেষ করতে পারত, পারত দেশে বা বিদেশে কোন বড় ব্যবসা গড়ে তুলতে, নিরবে বাবার টাকায় এমন কোন ব্যবসা গড়তে পারত যে দেশের মানুষেরা তার ব্যক্তিত্বকে সন্মান জানাত, সাথে আরো মনে করেন ৫ ওয়াক্ত নামাজও পড়তে পারত(!)! না, সে এই সবের কিছুই করে নাই, কিশোর বয়সেই সে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গেল, মেয়ে নিয়ে হোতা শুরু করলো, মদপানিও হতে পারে। আকাম কুকাম এত করছে যে এখন একাউন্স শিট বের হচ্ছে! তার কি দরকার ছিলো, এত অল্প বয়সেই এত পাকনামিতে যাবার, ক্ষমতা দেখানোর। অন্যদিকে ধারনা করি, বাবার চুরি করা দখল করা প্রচুর সম্পত্তির লোভেই হয়ত সে এই পথে গিয়েছে! সে কিশোর বয়সেই মনে করেছে, সরকার পুলিশ এদের সাথে সম্পর্ক থাকলে তাদের ছোঁয়া যাবে না!
মি ফজলুর রহমান কিংবা মিস রুমিন ফারহানা, এরা কি তাদের বিবেকের বই খুলে দেখছে না। কি কয় না কয়, এদের পাগল বলবে না তো কারে পাগল কবে! ছাত্রছাত্রী জনতা কি কখনো ৭১ ভুলে গেছে, আমার তো মনে হয় না। এদের অনেকেই তো বলছে, ৭১ আমাদের স্বাধীনতা, ২৪ আমাদের মুক্তি। এখানে সমস্যা কি! অহেতুক এরা কেন বিশ্রী কথা বলছে। এই দেশের মালিক তো মেহনতি জনতাই, ক্ষেত খামার থেকে উঠে আসা জনতাই! কার ২/৩ জেনারেশন আগে কে কি করত, এই সব তো অজানা নয়! তাছাড়া এই মুক্তির জন্যই তো স্বাধীনতার আহবান করা হয়েছিল। কৃষক, জেলে, নাপিত, মুচি, দিন মুজুরের সন্তান বড় হলে, বড় পদে গেলে অসুবিধা কোথায়, নাকি সেই জমিদারীর প্রথাই আপনাদের চয়েজ। কথা বলার আগে কি এরা তাদের নিজেদের দলের সংবিধান পড়েনি!
বিএনপি বড় দল, অনেক সংগ্রামের পরে আজকের এই অবস্থানে এসেছে। উদার মানসিকতার জন্য অনেকেই পছন্দ করেন, বাংলাদেশী বলে আগে পরিচয় দেয়ার মত চেষ্টা এই দলের, অথচ এখন সঠিক ভূমিকা নিতে পারছে না। আমার ধারনা সুযোগ সন্ধানীরা প্রবেশ করে এই দলকে একদম গুবলেট বানিয়ে দিচ্ছে। স্বৈরাচারের পতনের পরে এই দলের প্রধানেরা সঠিক সিধান্ত নিতে পারছেন না বলেই মনে হয়। দূর্বাঘাস বা আগাছা পরিস্কার করার মত কাউকে এখন আর দেখি না! দলের ভারপাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে আসা দরকার, যদিও তিনি কি কারনে ফিরছেন না বা কি যুক্তি তা সাধারন মাথায় ধরছে না!
বাকী থাকে বর্তমান সরকার! মুলত আমরা এই সরকার প্রধানকে যতটা শক্তিশালী মনে করছিলাম, উনারা তা নন! খুব দূর্বল উপস্থাপনা এবং নৈতিকতা। সেই সব পুরানো শাসনই আমাদের দেখতে হচ্ছে। অভিযোগের পরেও তামাশা দেখছেন উনারা যে, দেখা যাক কি হয়। মানুষ উনাদের নিয়ে কনফিউজ হয়ে যাচ্ছে, মুলত উনারা কি চান! ক্ষমতা গ্রহনের পরের ৮/১০ মাস অনেক কিছুতেই ভাল করলে, এখন সেই আবার আগের অবস্থা। নির্বাচনের মাস ঘোষনার পরেই বাজার সহ সরকারী স্থাপনাতে সেই আগের রুপ, মানে দে আর খা! যাই হোক, না পারলে বিদায় হউক, দুনিয়াতে সব কিছুর বিকল্প আছে, নিশ্চয় কেহ না কেহ মাটি ফুড়ে বের হবেই!
তবে শেষ কথা হচ্ছে, যে যাই বলুক, দেশের মুল ক্ষমতা এখনো সাধারন ছাত্রছাত্রী আপামর জনতার কাছেই আছে! আমার ধারনা, আমাদের আবারো কোন প্রতিভাবান নেতা আসবে, আমরা আবারো রাস্তায় একত্রিত হব, কারন আমাদের মুক্তি লাগবেই, আমাদের সুশাসনের দেশ লাগবেই।
*এটা সত্য যে, মি প্রফেসর ইউনুস সাহেবের জন্য আমরা অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়েছি কিন্তু তিনি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় গুলো হয়ত বুঝতে পারছেন না, শক্ত হাতে অনেক বিষয় দমনের নীতিটা তিনি হয়ত বুঝেন, প্রয়োগ পাচ্ছেন না। আমি মনে করি, এটা হয়ত উনার শরীরের বয়সের বাঁধা।
** বাক স্বাধীনতার আলোকে লেখা। লেখা মনপুত না হলে এড়িয়ে যেতে পারেন। (নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


