মুখের দাড়ি আলোচ্য বিষয় নয়।মসজিদ মিশন স্কুলের শিক্ষকতাও আলোচ্য বিষয় নয়। অনেকদিন ধরেই ছবিটা খুজছিলাম ব্লগের জন্য। আজ খুজে পেলাম। সাথে সাথেই পোস্ট করলাম।
ভদ্রলোকের নাম ফেরদৌস আলম সিদ্দিকী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের হল সভাপতি ও পরে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতা ছিলেন। একদিন ইনি পত্রিকার খবর হয়েছিলেন। কারণ ছিল অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে হাতেনাতে ধরা ও অতঃপর গণধোলাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে জেনেছিলাম কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বুধপাড়া এলাকার এক বাড়িতে ছাত্রী পড়াতে আসতেন ইনি। না ,ছাত্রীটির সাথে কোন কর্মকান্ডই ছিল না তার। তিনি ওই ছাত্রীটির মামা ছিলেন। একদিন গভরি রাতে ওই বাড়ির আশপাশের মানুষের ঘুমভাঙ্গে ওই ছাত্রীর বাবার ডাকে। সবাই গিয়ে দেখেন এই ভদ্রলোক , তার ভাগ্নীর মায়ের সাথে ঘরের ভেতর। রাত তখন প্রায় আড়াইটা। তারপর এলাকাবাসী ভদ্রলোক ও ওই মহিলাকে সারারাত আটকে রাখেন ঘরের ভেতর।
সকালে স্থানীয় এক জামাত ওয়ার্ড কমিশনার এই ভদ্রলোক যে আসলেই ভদ্রলোক, তা বোঝাতে চাইলে স্থানীয় জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে ওই কমিশনার ও এই ভদ্রলোককে থানায় নিয়ে আসে। পরে জামাত নেতারা ভদ্রলোককে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। পুলিশও ভদ্রলোকদের কান্ড বেমালুম চেপে যায়।
...
আমাদের ক্যাম্পাসে মাঝেমধ্যে শুনি শিবিরের এ ধরণের ভদ্রলোকরা জুটি নিধন অভিযান চালায়। কারণ ওরা নাকি ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করে। কিল-ঘুষি-লাথি মেরে জুটিদের রক্তাক্ত করে তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ভদ্রলোকদের হাতে।
এই ভদ্রলোক ধরাখাওয়ার দিন যখন খবর জানাজানি হয় এর পর থেকে শিবিরের কোন নেতার মোবাইলই খোলা পাওয়া যায় নি। শিবিরের এক নেতার সাথে দেখা করলাম। ঘটনা বলতেই বললেন, একে কোনভাবেই দলে রাখা হবে না।
আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, এই ভদ্রলোক এখনোও শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট। আগের মতই মসজিদ মিশন একাডেমীতে চাকরী করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



