ইসলাম সম্পর্কে অতি সামান্য পড়াশুনা আমার। পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের প্রতি অনেকেরই হেলাফেলা থাকে। আমারো হয়েছে সেই দশা। আজকাল আবার অজ্ঞতা স্বীকার করা খুবই বিপজ্জনক। সেখানে প্রথম আক্রমণ আসে অর্ধশিক্ষিতদের কাছ থেকে। নিজে অর্ধশিক্ষিত বলে সর্বদা স্বজাতির আক্রমণের ভয়ে কুঁকড়ে থাকি। তবু নিজের সামান্য বোধবুদ্ধি থেকে লিখছি। এটা নিতান্তই একটা চানাচুর ঘরানার লেখা। কেউ ভুল শুধরে দিলে কৃতার্থ হব।
রমজান মাসের এই ভোর রাত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সংযম পালনের অনুশীলন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা ঈদুল ফিতরের মিলনোৎসবে শেষ হয়ে যায় না। এই অনুশীলনের লক্ষ্য পরবর্তী একবছর এই কৃচ্ছ্রতার মনোভাবকে, তার শিক্ষাকে ধরে রাখা। রমজান মাসে মানুষ ব্যক্তিস্বত্ত্বার উর্ধে উঠে অনেক বেশী সামাজিক মানুষ হয়ে ওঠে, যেখানে বেঁচে থাকা মানেই একরাশ কর্তব্য পালন। শুধু ইবাদতের আনুষ্ঠানিকতাটুকু পালন করে ব্যক্তিস্বত্তায় ডুব দিলে রমজানের উদ্দেশ্য পুরোটাই ব্যর্থ হয়ে যায়। নিজেকে জীবজগতের তথা মহাবিশ্বের একটি অতিক্ষুদ্র অংশ হিসেবে আবিস্কার করা, যা থেকে যাবতীয় সৃষ্টির সেবার দায়বোধ তৈরী হয়, রমজান হচ্ছে সেই আবিস্কারের সাধনা। সৃষ্টির সেবাই প্রকৃত ইবাদত, এই বোধ জাগ্রত করাতেই রমজানের প্রকৃত উপলব্ধি।
সিয়াম মূলত এক প্রকার ধ্যানের অনুশীলন। একমাস ব্যাপী এই ধ্যানের প্রতিফলন সকল সিয়াম পালনকারীর মানবতাবোধ জাগ্রত করুক।
আমীন
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১৩