আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে কোন রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটলে আমরা আপনার মত এমন মন্তব্য অহরহই করি, আপনিও তাই করলেন। আপনি যে আমাদের বাইরের কেউ নন তা প্রমানকরায় আমরা গর্বিত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আমজনতা, আমাদের যেমন প্রকৃত হত্যাকারী কে তা প্রমাণ করার দায় নেই, তেমনি সুযোগ নেই প্রকৃত ঘটনা জানার। কিন্তু আপনি তো আপনার দায়কে অস্বীকার করতে পারেন না। রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান হিসাবে প্রকৃত হত্যাকারী কে সেই রহস্য সমাধান করা পরোক্ষ ভাবে হলেও আপনার দায়িত্ব। এই হত্যাকান্ড কি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই ঘটেছে, নাকি দিনে দুপুরে আপনার দলীয় কর্মীরা নিষ্ঠুর ভাবে সানাউল্লাহ কে খুন করেছে - সেটা আপনার সরকারকেই বের করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা জানি আপনি অনেক সাহসী, আপনাকে আমরা সময়োপযোগী অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছি। আপনি একটি বার দলীয় বলয় থেকে সরে এসে বলতে পারেন না- সানাউল্লাহ কে যারা খুন করেছে তারা খুনী, তারা অপরাধী। আপনি কি প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে পারেন না সেই সব খুনীদের গ্রেফতার করার, তাদের রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন এবং বিধান অনুযায়ী তাদের বিচার করার। তারা বিএনপির হলেও তারা খুনী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হলেও তারা খুনী। আজ যদি তারা আপনার কোন মন্তব্যের কারনে বিচার থেকে অব্যাহতি পায়, তো কাল তারা আওয়ামীলীগের-ই আরেকজনকে খুন করবে। তাদের নিষ্ঠুরতাকে থামাতে হবে, তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তাদের নিষ্ঠুরতার ভিডিও চিত্র থেকে তাদের খুজে বের করতে নির্দেশ দিন কর্তৃপক্ষকে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে আমি আশা করতে পারি না - আমার দেশের সরকার অপরাধীর বিচার করে, অপরাধ নিয়ে রাজনীতি করে না। আমার আশা যদি ব্যর্থ হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি জেনে রাখুন - আপনার সরকারও ব্যর্থ হবে। এই আমাদের ভোটেই আপনার দল আজ ক্ষমতায়। আমাদের শক্তি, আমাদের
সমর্থন কে আপনি ফিরিয়ে দেবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




