আজ ২৬-শে এপ্রিল (এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার) বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০১৪। এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় “Animal Welfare”(প্রাণীর কল্যান)। এনিমেল ওয়েলফেয়ার সাধারণত পরিমাপ করা হয় তার দীর্ঘায়ু, রোগ প্রতিরোধ বা সংবেদনশীলতা, আচরন, শারীরবৃত্তীয় কার্যবলী ও বংশবৃদ্ধির উপর।
প্রাণীর ব্যবহার ও তাদের প্রতি মানুষের আচরন কি হবে, এ নিয়ে গত দশক বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। সমাজ আশা করে প্রাণীর কল্যাণে ভেটেরিনারিয়ানরা পেশাগতভাবেই যত্নবান হবেন। প্রাণীর কল্যাণে ভেটেরিনারি পেশার অধিকতর ভূমিকা মানব ও প্রাণীর উভয়ের জন্য নিরাপদ হবে।
প্রাণীর কল্যাণ ধারনাটি সৃষ্টি হয় প্রাণীর কল্যাণ বা কষ্টকে বিবেচনায় নিয়ে। যেমন, কিভাবে প্রাণীকে জবাই করা হয়? কিভাবে প্রাণীর উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো হয়? কিভাবে প্রাণীকে পোষ মানানো হয়? কিভাবে প্রাণীকে খামার বা চিড়িয়াখানাতে রাখা হয়? কিভাবে প্রাণীকে সার্কাসে খেলা দেখানো হয়? মানব জাতীর কাজকর্ম প্রাণীর উপর কি প্রভাব ফেলে বা তাদের বেঁচে থাকার উপর কোন প্রভাব ফেলে কিনা তাও বিবেচনা নেওয়া হয়।
এনিমেল ওয়েলফেয়ার-এর জন্য তাহলে কি করতে হবে?
এনিমেল ওয়েলফেয়ার-এর জন্য ৫ টি বিষয়ে প্রাণীর স্বাধীনতা থাকবে ৩ টি উদ্দেশের জন্য।
১। প্রাণী ক্ষুধা থেকে মুক্ত থাকবে
২। প্রাণী অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকবে
৩। প্রাণী ব্যথা, ইনজুরি ও রোগ থেকে মুক্ত থাকবে
৪। স্বাভাবিক আচরন প্রকাশে প্রাণীর থাকবে স্বাধীনতা
৫। প্রাণী ভয় ও যন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকবে
এসব স্বাধীনতা থাকলে প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশে বেচে থাকবে, শারীরিক যোগ্যতা ও স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং স্বস্তিবোধ করবে।
এখন প্রশ্ন আসবে প্রাণীদের কল্যাণ কেন করতে হবে?
প্রাণীর কল্যাণ এজন্য করতে হবে যে সাম্প্রতিক কালে মানুষের ৭৫% সংক্রামক রোগের আবির্ভাব প্রাণী থেকে। সুতরাং মানব জাতীর সুস্থতা ও পরিবেশের ভারসাম্যের জন্যই প্রাণীকে সুস্থ রাখতে হবে এবং প্রাণীর কল্যাণে কাজ করতে হবে।
দিবসের একটা মূল তাৎপর্য থাকে তা হলো, সকলের মাঝে সচেতনা তৈরী করা। সুতরাং, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর না হয়ে সদয় হই এবং অস্বস্তি ও যন্ত্রণা থেকে মুক্ত রাখি।
বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০১৪ সফল হোক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



