সরকারি ঘোষিত নতুন পে-স্কেলের সুবিধা কুহেলিকার মত। সরকার ২০১৩ সাল থেকে পে-স্কেলের দেওয়ার ঘোষনা দিচ্ছে, যা জুলাই/২০১৪ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তার আংশিক কার্যকর হবে জুলাই/২০১৫ থেকে। সরকারের নিয়মিত কাজগুলোর একটি হল,প্রতি বছর মূল্যস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করা । এটি কোন দয়া বা করুণা নয়। শুধু মাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিয়মিত কাজটি নিয়মিত না করে, হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা করে বিশাল ও ব্যাপক ঘোষণা দিয়ে নূণ্যতম ৫ বছর পর পর একটি পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়। আর জনগণ ভাবে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন অযৌতিক ভাবে বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ব্যাপকতা বৃদ্ধি হবে। জনগণের মনে এমন ধারনা দেওয়া হয় যে সরকার ঘোষিত পে-স্কেলে এমন সুযোগ-সুবিধা আছে যা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রাপ্য নয়। এবারের পে-স্কেলের বাস্তবায়নের পূর্বেই দেখুন আপনার ব্যয় কত বাড়ছে!!!
১। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি আজকের (২০/০১/২০১৫) বৈঠকের সিদ্ধান্তেই ফেব্রুয়ারী মাস থেকে কার্যকর।আর্ন্তজাতিক বাজারে তেলের মূল্য কমলেও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হবে ১৮.১২%। (সূত্র: Click This Link
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকরঃ ড. সেলিম মাহমুদ
বিদ্যুতের দাম ১৮.১২% বৃদ্ধির প্রস্তাব)
২। ১ ও ২ টাকার নোট থাকবে না। ১ ও ২ টাকার নোটের ব্যবহার না হলে তা বাতিল বা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। (অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সূত্র: Click This Link)।
মূল্যস্ফীতির হার এত বেড়েছে যে বাজারে ১ ও ২ টাকার কোন পণ্য থাকবেনা। যে দ্রব্য ১ ও ২ টাকায় ক্রয় করা যেত তা ক্রয় করতে এখন ব্যয় করতে হবে নূণ্যতম ৫ ও ১০ টাকা। ফলে আমাদের খরচ বৃদ্ধি হবে ৫ গুন বেশী। অথচ বর্তমানে পে-কমিশন পে-স্কেলে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে প্রায় ১০০ ভাগ বা ২ গুন। পে-স্কেলে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশকে যারা অভাবনীয় ভেবেছেন, মূল্যস্ফীতির এই ধারায় নাকাল হতে বেশী সময় লাগবে না। সাধারণ জনগণের কষ্টের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



