কেমন আছেন সবাই? বাংলাদেশের মানুষরা ? যারা দেশকে নিয়ে যথেষ্ট ভাবেন , তারা?
ভাবি, হয়ত অনেকেই , কিন্তু বুঝি কয় জন?
চলমান আন্দোলন নিয়ে আমাদের বিশ্লেষন , চিন্তা ভাবনা আর এ্যানালিটিকাল ডিডাকশন , একেক জনের একেক রকম । কার যাওয়া উচিৎ আর কে গেলে কি হবে নিয়ে আমরা ব্যস্ত। আসলেই কি হবে?
আমাদের মানে সাধারন মানুষের তাতে কি লাভ হবে, আদৌ কোন লাভ হবে কি না, এই নিয়া জল্পনা কল্পনা কম চলছে না। সম্প্রতি আজিজকে নিয়ে প্রচুর রম্য রচিত হলো । মজা পাওয়া গেল, করা গেল। কিন্তু সাধারন জনগনের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসা ভয়ংকর ভাগ্যের তাতে কি " বালের " [ এর চেয়ে ভদ্র ভাবে প্রকাশ করা গেল না বলে দুঃখিত ] পরিবর্তন হলো , তা কিছুই বুঝলাম না।
যখন থেকে দেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং মানব সমাজের "ইকো-পিরামিড" বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই মানব ইতিহাসের সবকটি শাখায় , জ্ঞানে বিজ্ঞানে ভীষন পরিণত মস্তিষ্কদের সাথে নিয়মিত আলোচনা, মত বিনিময়, এবং বাংলাদেশের অতীত , বর্তমান এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার দুর্লভ সুযোগ আমার হয়। এই মানুষ গুলো প্রচন্ড দেশপ্রেমিক এবং দুনিয়ায় যে সব রাষ্ট্র , জাতি , গোষ্ঠী [ যেমন - বর্তমান মাল্টি ন্যাশনাল কর্পোরেট গুলো] অন্যদের শোষন করে নিজেরা সম্পদ ভোগের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত - তাদের নীল নকশার ব্যাপারে জ্ঞানে, চেতনায়, বিচক্ষন্তায়, বোধে - অন্য অনেকের থেকে অনেক বেশি পরিষ্কার। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন ছিল, "বর্তমান সময়টাতে" কিছুই করতে পারবো না, তা তো বুঝলাম।কিন্তু বসে থাকলে তো চলবে না, ঠ্যাকানোর জন্য কি করতে পারি? আজকে না হোক, বাংলাদেশকে রক্ষা , আমার ছেলে মেয়েরাই না হয় করবে, কিন্তু আমি কি করব?
বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি আলাপের মাধ্যমে যা উঠে এসেছে -
এতদিনে এটাই স্পষ্ট , যে সামনে ভয়াল দিন। সামনে আরো সেন্সলেস কিলিং হবে। ম্যাসাকার সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আর্মি নামলেও পরিস্থিতি শান্ত হবে না। ইনফ্যাক্ট, আর্মি নামানোই হচ্ছে, মারামারি কাটাকাটি আরো বাড়ানোর জন্য। বাংলাকে আফঘান বানানোর প্রক্রিয়াও এইটার অংশ। ধর্ম এখানে অস্ত্র। রাজনৈতিক বিভক্তি অস্ত্র। অর্থনীতিকে "ভিক্ষার ঝুলি" করে রেখে দিয়ে "ক্ষুদ্র ঋণের আফিম" খাইয়ে পঙ্গু করে রাখাটা অস্ত্র।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে , "রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতা" এবং বিশ্বরাজনীতিতে শোষনকারী "পরাশক্তি + কর্পোরেটদের" দৌরাত্বে , বাংলাদেশের পরিনতি ভালো না। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ভৌগলিক অবস্থানের কারনেও আমাদের উপর সব দেশেরই "লোভের থাবা" । কেউই শেষ পর্যন্ত বন্ধু নয়। স্বার্থের কারনে দুটো দেশের মধ্যে তথাকথিত বন্ধুত্ব হয়, আবার স্বার্থে আঘাত লাগলেই যুদ্ধ বেধে যায়, এই তো বাস্তবতা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



