অতঃপর নরকের ফেরেশ্তা ডাকিলেন বুয়েটের ভিসি নজরুল কে! অবাক হইয়া তিনি দেখিলেন একজন লোক আসিতেছে যার পশ্চাত অংশে একটা চেয়ার লাগানো! ফেরেশতা একটু অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,কিরে তোর পশ্চাত অংশে চেয়ার লাগানো কেন?
ভিসি কহিলো;এইডা হইলো বুয়েটের ভিসির চেয়ার যেইটা আমি নজরুল সুপার গ্লু দিয়া আমার পশ্চাত অংশের সাথে ফিট কইরা লইছি! ফেরেশ্তা কহিলো,ওরে তোরে এই চেয়ার নরকে আনতে কইলো কে? ভিসি চুল চুলকাইতে চুলকাইতে কহিলো;জি হুজুর এইডা এমন শক্তিশালী আঠা যে এইডা লইয়া আমি কবর থেইকা একেবারে ডাইরেক্ট নরক পর্যন্ত পৌছায়ছি! ফেরেশতা বুঝিলো পাপ শুধু বাপরে না চেয়ার রে ও ছাড়েনা!
এরপর ফেরেশতা ভিসিকে জিজ্ঞেস করিলো,কিরে তোর বিরুদ্ধে অভিযোগের লিস্ট ত দুনিয়ার কাগজে আর কুলাইতে পারতেছিলোনা, একটু সত্যি করে ক তো কাহিনী কি?
ভিসি কোঠিন আত্মবিসশ্বাস নিয়া কহিলোঃদুনিয়ার মিথ্যাচার আর পাপাচারে ভরা শিক্ষকের আমার চেয়ারের লোভে এইরাম অভিযোগ দিছে যার কোনো ভিত্তি তদন্ত কমিটি পাইনি! ফেরেশ্তা মুচকি হাসিয়া কহিলো,হুম এই জন্য তুই চেয়ার লইয়া ডাইরেক্ট নরকে চইলা আইছস আর তোর বানানো তদন্ত কমিটি তোর দোষ তো খুইজা পাইবোনা-এইডা তো পাগলে ও জানে! ভিসি ইহা শুনিয়া চুপসে গেলো এবং বুঝিলো এইখানে বড় বড় কথা বলিয়া কোন লাভ নাই! অতঃপর ভিসিকে রেসাল্ট জালিয়াতীর প্রমান দেখাইয়া ফেরেশতা জিজ্ঞাসা করিলো এইডা কার কাজ? ভিসি আবারো চুল চুলকাইতে চুলকাইতে কহিলোঃএইডা প্রোভিসির কাজ! ফেরেশতা কইলো,কে কোথায় আছো,প্রভিসিরে এইখানে লইয়া আসো!
অতঃপর প্রোভিসি আইসা কহিলো,হুজুর আমি কিছু করি নাই সব ওই ভিসির দোষ! ফেরেশতা একটু বিপাকে পড়িলো-ইহারা কোঠিন শেয়ানা বাঙ্গালী হে! ফেরেশতা কহিলো,যাক রেসাল্ট জালিয়াতী পরে,আগে তুই ক ৫৯ জনরে ডিঙ্গায়ে তুই কেমনে প্রোভিস হইলি? প্রভিসি কহিলো,জী হুজুর ইসলামে তো কোনো সিনিয়র জুনিয়র নাই,যার যত নেকী সে তত লাভবান! ফেরেশতা অগ্নি চোক্ষে কহিলো,এতো ইসলাম নিয়া কথা কইস ওই তোর দাড়ি কই?ইহা শুনিয়া ভিসি বাবাজি নিজের দাড়ি হাত দিয়া বুলাইতে লাগিলো! এই দেখিয়া ফেরেশতা কহিলো,দাড়ি দিয়া কোনো লাভ হইবোনা,তুই দাড়ি রাইখা দুর্নীতি কইরা ইসলামরে অপমান করছিস! ভিসি আবারো চুপসে গেলো!আর প্রোভিসি বেচাড়া মাথা নিচু করিয়া কোনো কথা বলিতে পারিলোনা! ফেরেশ্তা আবার প্রোভিসিরে কহিলো,ওই সইত্য কইরা ক কিভাবে তুই প্রোভিসি হইলি নইলে এখনি তোরে আগুনে ফেলুম! প্রোভিসি এইবার অত্যন্ত নম্র ভাষায় কহিলো,জী হুজুর গোপাল্গঞ্জ............,ফেরেশ্তা হাসতে হাসতে কহিলো-বুঝিছি বুঝিছি আর কইতে হইবোনা! এবার তাইলে রেসাল্ট জালিয়াতী করছে কে সেইডা বল! প্রোভিসি কোনো কথা কহিলোনা,শুধুমাত্র ভ্রু দিয়া ভিসিকে দেখাইয়া দিলেন! ফেরশতা বুঝিলো এই দুইটা দোষ স্বীকার করতে চাইতেছেনা!
তাই ফেরেশতা এবার স্বাক্ষী ডাকিলেন মুনয়াজ কে! মুনাজ আইসা শপথ করিলো, যাহা বলিবো সত্য বলিবো,সত্য বই মিথ্যা বলিবোনা! এরপর ফেরশতা ভিসি আর প্রোভিসিকে দেখিয়া মুনয়াজকে কহিলো,তুমি কি এদের কে চেনো? মুনয়াজ ভালো কইরা তাহাদের তাকাইয়া কহিলো,আমার পূর্ব জনমে এদের দেখেছি বলে মনে হয়না! ফেরেশ্তা বুঝিলো এর সত্যের শপথের কোনো দাম নাই! ফেরশতা তাহাকে সত্যরে গরম পানিতে গোসল করাইবার জন্য আদেশ দিলো! শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুনয়াজ তাদের চিনিতে পারিলো ঠিক ই কিন্ত তাহাদের কেউ ই দোষ স্বীকার করিতেছিলোনা! ফেরেশতা বুঝিলো,দুনিয়ায় এরা যেমন নিজেদের দোষ স্বিকার করে নাই,এইখানে ও করতেছেনা! ফেরেশতা তাদের দোষ স্বীকার না করা পর্যন্ত লাগাতার সত্যের গরম পানিতে চুবনি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন!