somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৌরভ

০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


-রিক্সার হাতল ভালো করে ধরে বসো,অবনী নিশাতের হাত ধরতে ধরতে বললো।
-এই যে ভাই হুডটা পড়ে যাচ্ছে,ঠিক করে দেন।
অবনী নিশাতের সামনে দিয়ে হাত দিয়ে রিক্সার হাতল ধরে রেখছে,যাতে হঠাত ব্রেকে অবনী পড়ে না যায়।অটোরিক্সাগুলো খুবই দ্রুত চলে।
-মাম্মা,দেখ,দোকানে কি সুন্দল পুতুল।
-হুম তোমার মতো,অবনী রিক্সা শক্ত করে ধরতে ধরতে বলে।
-দেখ,সামনে একটা পাগল,মাম্মা,ভয়,নিশাত অবনীকে শক্ত করে আকড়ে ধরে,
-ও আমাদের কিছু করবে না,আমরা রিক্সায় আছি।আর আমি তোমাকে দোয়া পড়ে দিচ্ছি তোমার কিছু হবে না,অবনী দোয়া পড়ে মেয়ের মাথায় ফু দেয়।
রিক্সা দ্রুত জামাল খানের দিকে যাচ্ছে,নিশাতের দাতে ব্যাথা,আজ ফেলে দেবে,ছোট বাচ্চাদের দাত ফেলা যে কি ঝামেলা,কবির কি এক কাজে আটকে গেছে,আসবে না বলেছে।
অবনীর ছোট বেলার কথা মনে পড়ছে,তার মাও এমন ছিলো,রিক্সায় উঠার আগে দোয়া পড়ে ফু দেওয়া,রিক্সার হাতল সামনে থেকে ধরে রাখা,রিক্সা বেশী স্পীডে চললে শক্ত করে ধরে রাখা।
-১৫ টাকা ফেরত দেন,অবনী কোলে করে নিশাতকে রিক্সা থেকে নামাতে নামাতে বলে।
-মাম্মা,আইস্ক্রীম,নিশাত কোনের গাড়ি দেখাতে দেখাতে বলে।
-কতো একটা?
-৪৫ টাকা
-এত দাম?
-এটা কোন,দোকানদার দাত খোচাতে খোচাতে বলে।
নিশাত আইস্ক্রীম খাচ্ছে,কোনের চকলেট নিশাতের ঠোট বেয়ে নামে,অবনীরও খেতে ইচ্ছে করছে,কিন্তু কবির টাকা গুনে দিয়েছে।
-মাম্মা এক কামড় খাবা?নিশাত ছোট ছোট হাতে কোন আইস্ক্রীমটি এগিয়ে দেয়।
-অবনী মেয়ের হাত থেকেই আইস্ক্রীমে কামড় দেয়,যেমন ভাবে অবনীর নারকেল আইস্ক্রীম থেকে কামড় দিতো অবনীর মা, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সন্ধ্যার আলোতে জামাল খানের ফুরফুরে বাতাস মিষ্টি হয়ে ওঠে,নিশাতের ঠোটের কোনায় বাসা বাধা কোনের মতো মিষ্টি,প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ফুলের দোকান গুলো থেকে অদ্ভুদ থেকে অদ্ভুদতর গাঢ় সৌরভ ছড়ায়,তবে সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ ফুলটির সৌরভও প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অবনীদের ভালোবাসার কাছে ম্লান ছিলো।

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×