রিক্সায় যেতে যেতে মা'র সাথে কথা হল। আজ মা ব্যাঙ্কে বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে যাবে। কাজেই দেরি হতে পারে। এদিকে আমার প্র্যাক্টিকাল কখন শেষ হবে জানি না। মা কে বললাম তোমার আসতে দেরি হলে আমি একাই বাড়ি চলে যাব।
প্র্যাক্টিকাল সময় মত শেষ হল। এদিকে মা'র আসার খবর নেই বলে নিজেই একটা রিক্সা ঠিক করলাম। আমার রিক্সাওয়ালা আমার বয়সী। ঝড়ের বেগে রিক্সা চালাচ্ছে। মনে হচ্ছে রিক্সা চালানোটা খুব মজার কাজ। মাঝে মাঝে রিক্সার হুটের সাথে আমার মাথার ঠোকঠুকি হচ্ছে। হঠাৎ ট্রাফিক সিগনাল। বেচারা তার BMW থামাল। থামার পর হাপাচ্ছে। ঘেমে একাকার।
এই স্বাভাবিক ঘটনার মধ্যেই এক মুহূর্তে একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে গেল। এক সেকেন্ডে আমার সবকিছু উল্টাপাল্টা করে দিয়ে গেল। আমি ব্যথায় লজ্জায় উঁ মা বলে চিৎকার করে উঠলাম। দেখলাম একটা কাল হাত। রিক্সার বা পাশের পেছনের ফাঁক গলিয়ে আমার বুকে। রিক্সাওয়ালা এক ঝটকায় নেমে কাল হাতটার পেছনে দৌড় দিল। কিছুক্ষণ পর খানকির পুত, চুদমারানির বাই, তোর মায়েরে মুই চুঁদি.....চিৎকার করে এসব গালি দিতে দিতে ছেলেটা ফিরল। আমি তখন মুখে দুহাত চেপে কাঁদছি। সব কিছু অন্ধকার মনে হচ্ছে। আমার নিশ্বাস আমার নিজের কাছে আগুনের হলকা মনে হল।
কিভাবে বাড়ি ফিরলাম জানিনা। বাড়ির সামনে আসতেই চলন্ত রিক্সা থেকে লাফিয়ে পড়লাম। বুঝলাম মা ফেরেনি। লুকান চাবি দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। বাঁধ ভাঙ্গা কান্না সব কিছু ছাপিয়ে গেল। এত কম বয়সে প্রথম এই অসভ্যপানা হজম করতে আমার সময় লাগল ।
একসময় মনে হল রিক্সা আলাকে আমি ভাড়া দেইনি। নিচে গিয়ে দেখি নেই। ভাড়া না নিয়ে চলে গেছে।
(চলবে ৫)
৬ এর লিঙ্ক