somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ছোট্ট রাজকুমার ও সাঁ-এক্সুপেরী

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১.



আমি যখন ছোট্টটি ছিলাম, একবার বাবার হাত ধরে হাটিঁ হাটিঁ পায় গেলাম বইমেলা। নানা বইয়ের মাঝ থেকে বাবা আমার হাতে তুলে দিল 'ছোট্ট এক রাজকুমার'। নীলচে মলাট, উপরে আঁকা এক ছেলের ছবি, একটা তলোয়ার হাতে তাকিয়ে আছে এক গোলাপের দিকে।

কিছুদিন পর পার্কে হাঁটছি, বাবা বলল, দেখেছিস, এটা বাওবাব গাছ। ছোট্ট রাজকুমারের গ্রহে হত এটা, বিশাল বিশাল। আমার ততক্ষণে লজ্জায় কান লাল হয়ে গেছে, আমি তো মোটে দুই পৃষ্ঠা পড়েছি। এই খবরে বাবা খুব একটা খুশী হল বলে মনে হল না। ঠিক করলাম, সেদিনই পড়ব।



২.



আজ আমি ভার্সিটিতে পড়ার পথে। তাও মাঝে মাঝে আবার সেই নীলচে মলাটের বইটা খুলে বসি... দুই তিনটা ছবি দেখি... কিছু কিছু কথা পড়ি। ছোটবেলা একরকম লাগত, এখন অন্যরকম লাগে। শুনেছি, ভালো বইয়ের লক্ষণই নাকি এই, সব বয়সেই পড়া যায়, সমান আনন্দ নিয়ে। নি:সন্দেহে আমি যে বইটার কথা বলছি, সেটা খুবই চমৎকার একটি বই, এবং সাথে সাথে খুবই চমৎকার একটি অনুবাদ। বইয়ের অনুবাদক, জহুরুল হক সম্পর্কে আমি কিছু খুজেঁ পাই নি /:)। তবে মূল গল্পের লেখক, সাঁ-এক্সুপেরীর সম্পর্কে প্রচুর তথ্য বইয়ের লেখক প্রসঙ্গ এবং নানা ওয়েব সাইট এ পেয়েছি।

লেখকের আসল নাম Antoine Marie Jean-Baptiste Roger, comte de Saint Exupéry ( :-&), জন্ম ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে, ফ্রান্সের লিওঁস শহরে। উনি পেশায় ও নেশায় একজন বৈমানিক ছিলেন। মাত্র চার বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে 'সম্ভ্রান্ত দরিদ্র' এ পরিণত হন। স্কুলের প্রিপারেটরি পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বিমান চালনায় নিজের প্রতিভা দেখিয়ে জুটিয়েছিলেন বৈমানিক পেশা - বিমান ডাক ব্যবস্থায়, নতুন আকাশ পথ সন্ধানকার্যে, জাতীয় কর্তব্য পালনে, হারিয়ে যাওয়া বৈমানিকদের খোজেঁ। তখনকার দিনের বিমান ব্যবস্থার হাল খুবই নাজুক ছিল। উন্নত রাডার, রেডিও ইত্যাদি প্রযুক্তি গত সুব্যবস্থা ছিল না, ভালো ম্যাপ ও ছিলনা হাতের কাছে। এই বিপজ্জনক পেশায় জড়িত থেকে নানা দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। একবার এক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে সাহারা মরুভূমি পার হবার পথে তার বিমান ক্রাশ করে। আশ্চর্যজনক ভাবে তিনি ও তার সঙ্গী বেঁচে যান... সাথে সম্বল থাকে কিছু ফলমূল, শুকনো খাবার, সুইট কফি, একটু ওয়াইন আর এক দিন চালানোর মতো পানি। কোথায় তাদের অবস্থান, লোকালয় কত দূরে -- এসব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণাহীন দুই বন্ধু এক কষ্টকর মৃত্যুর অপেক্ষা করছিলেন। তাদের নানা রকম হ্যালুসিনেশন হতে থাকে, এবং প্রচন্ড রকম dehydration হয়ে তারা শেষের দিকে ঘামাও বন্ধ করেদিয়েছিলেন। এমন সময়, দূর্ঘটনার চারদিন পর, এক বেদুঈন তাদের দেখতে পান এবং স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তুলেন। এই ঘটনার প্রতিফলন পাওয়া যায় wind, sand and stars নামের তার আরেক বিখ্যাত গ্রন্থে, এবং The Little Prince এ, ছোট্ট এক রাজকুমার এ।

প্রথোমক্ত উপন্যাসটি এই দূর্ঘটনার পর পরই লিখেছিলেন। কিন্তু 'ছোট্ট এক রাজকুমার' আসে অনেক পরে। বস্তুত, এটা তার লেখা শেষ বই। নিজের জন্মভূমি থেকে অনেক দূরে, আমেরিকায় বসে এটা লিখেন তিনি। ছোট্ট রাজকুমারের চেহারার সাথে মিল পাওয়া যায় টমাস নামে এক আট বছর বয়সী অকালপক্ক ছেলের, যে লেখকের কুইবেকের বাসার দার্শনিক প্রতিবেশীর ছেলে। আর বইয়ের পান্ডুলিপিটি উপহার দেন তার এক ছোট্ট বান্ধবী সিলভিয়া রবার্টসনকে, যে আশ্চর্যজনক ভাবে বড় হয়ে হারিয়ে যায়, অনেকটা লেখকেরই মতো।

লেখকের মৃত্যু আজও এক রহস্য রয়ে গেছে। জীবনের শেষ ভাগে তিনি আবার বৈমানিক হিসাবে দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধে অংশগ্রহণ করেন, একটু জোরাজুরি করেই, কারণ বৈমানিক হবার বয়স তার অনেক আগেই পার হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া নানা দূর্ঘটনা তার শরীরে বেয়াড়া ভাবেই ছাপ রেখে গিয়েছিল। তিনি নিজের প্লেন স্যুট অন্যের সাহায্য ছাড়া পড়তে পারতেন না, এমনকি শত্রু বিমান দেখার জন্য বাঁ দিকে ঘাড় ও ঘুরাতে পারতেন না। বৈমানিক হিসাবে তার এক অদ্ভুত অভ্যাস ছিল, তিনি বিমান চালাতে চালাতে বই পড়তেন আর লিখতেন। সত্যি বলতে, এটা তার নেশা ছিল। তিনি তার সঙ্গীদের এমনকি একটা পুরো ঘন্টা রানওয়েতে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন, শুধু একটা উপন্যাস শেষ করে ল্যান্ড করবেন বলে। তবে, অন্যমনস্কতার কারণে তিনি দূর্ঘটনা ঘটিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন ভাবলে ভুল হবে। তার শেষ মিশন ছিল, প্রতিপক্ষ জার্মানী ঘাটিঁর সন্ধান করা। ১৯৪৪ সালের ৩১ জুলাই তিনি তার বিমান নিয়ে বার হন, কিন্তু আর ফিরে আসেন না। কিছুদিন পর এক ফ্রেঞ্চ মহিলা রিপোর্ট করেন, তিনি ঐদিন দুপুরে একটি বিমান কে ভূপতিত হতে দেখেছেন। বিধ্বস্ত বিমানের পাশে পাওয়া যায় ফ্রেঞ্চ এয়ার ফোর্সের পোশাক পরিহিত একটি মানবদেহ, যাকে ঠিক ভাবে সণাক্ত করা যায় নি। একে সাঁ-এক্সুপেরী বলে ধরে নিয়ে সমাহিত করা হয়।




কিন্তু অনেক বছর পর, ১৯৯৮ সালে, ফ্রান্সের সমুদ্র উপকূলে লেখকের ব্রেসলেট পাওয়া যায়, যা ইত:পূর্বে উল্লেখিত দূর্ঘটনা স্থল থেকে বেশ দূরে অবস্থিত। পরে অনুসন্ধান করে সমুদ্র তলে সাঁ-এক্সুপেরীর বিমানের ধ্বংসাবশেষের কিয়দংশ পাওয়া যায়, অনেক অনুসন্ধান করেও তার শরীরের কোন অংশ, কঙ্কাল অথবা অন্য কিছু পাওয়া যায় নি। এমনকি বিমান দূর্ঘটনার কারণও রহস্যে আবৃত থাকে। দুই জার্মান দাবী করে, তাদের বন্দুকের গুলিতে ওই বিমান ভূপতিত (নাকি সমুদ্র পতিত) হয়। কিন্তু এই দাবী বিচারকদের জন্য বেশ হাস্যরসের বন্দোবস্ত করে, কারো কাছেই উপযুক্ত প্রমাণ ছিল না :P। ফ্রান্সের এই বীর নায়ক এর জীবনের শেষ মুহূর্ত টুকু এরকম রহস্যে মোড়াই থেকে যায়...

৩.
লেখক তার লেখার মাধ্যমে গল্প করেন পাঠকের সাথে। তার প্রতি অক্ষরে ফুটে উঠে তার জীবনের নানা অভিজ্ঞতার, তার দর্শন, তার সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম অনুভুতির কথা। পাঠক তা গ্রহণ করে নিজ নিজ বয়স, রুচি, চিন্তা ভাবনা অনুসারে - নিজের মতো করে। ছোট বেলা যখন 'ছোট্ট এক রাজকুমার' পড়েছিলাম, মনে আছে, খুব খুশী হয়েছিলাম, কারণ বইয়ে বড়দের ইচ্ছামতো বকা দেওয়া হয়েছে। আজ, নানা দায়িত্বের ঘেরা কলে পড়ে, সময়ের আবর্তনে নিজের অজান্তেই আস্তে আস্তে বড়দের দুনিয়ায় পা বাড়াচ্ছি, তখন আবার পড়ি আমার ছোট বেলার ছোট্ট রাজকুমারের কথা। চোখে ধরা পড়ে কিভাবে আমরা একগুয়েঁ হয়ে উঠি, কল্পনা করার প্রাণবন্ত শক্তি হারিয়ে ফেলি, নানা তথ্য আর সংখ্যার বেড়া জালে জড়িয়ে যাই। লেখকের ভাষাতেই বলি --

''বড়ো মানুষেরা নম্বর আর সংখ্যার উপর খুব বিশ্বাস করে কিনা। যখনই ওদের বলবে একজন নতুন বন্ধুর সঙ্গে তোমার আলাপ হয়েছে, ওরা কখনোই আসল কথাগুলি জানতে চাইবে না। বলবে না - ''তোমার নতুন বন্ধুর গলার আওয়াজ কেমন? কি খেলা খেলতে ও ভালোবাসে? ও কি প্রজাপতির পাখা জমাতে ভালোবাসে?'' তার বদলে জানতে চাইবে, -- ''ওর বয়স কতো? ওরা ক'ভাই বোন? ওর ওজন কতো? ওর বাবা কত টাকা রোজগার করেন?'' এইসব সংখ্যাগুলি জেনেটেনেই ওরা ভাবে ওদের সবকিছু জানা হয়ে গেছে!

যদি বড়দের গিয়ে বলো - ''আমি কি সুন্দর একটা বাড়ি দেখে এলুম। লাল পাথরের তৈরি, জানালার ধারে ধারে ফুলের লতা, ছাদের উপরে পায়রার সারি।'' ওরা বুঝতেই পারবে না কেমন ধরণের বাড়ির কথা তুমি বলছো। ওদের বুঝতে হলে তোমার বলতে হবে, -- ''এমন একটা বাড়ি দেখে এলুম যা বানাতে বিশ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।'' তখন ওরা বুঝবে; বলবে, - ''বা:, বেশ চমৎকার বাড়ি তো।'' ''

এবার নিজের জীবনের সাথেই মিলাই। অনেক পাওয়া যাবে এরকম উদাহরণ, যা আমরা মেনে নিচ্ছি চোখ বুজে।

নিছক রূপকথাই, যেখানে ছোট্ট রাজকুমার থাকে এমন এক তারায় যা বড়জোর এক কুড়ে ঘরের সমান। তার আছে তিনটা আগ্নেয়গিরি, যার একটার আগুন নিবে গেছে, আর তিনটাই বড়ো জোড় হাঁটুর সমান। আর একটা গোলাপ, বড় গরবিনী সে, ত্রি ভুবনে নাকি তার জুড়ি মেলা ভার। সারাদিন ছোট্ট রাজকুমারের সময় কাটে বাওবাব গাছ এর চারা খুজেঁ বের করে উপড়ে ফেলতে। চারা অবস্থাতেই খারাপ জিনিস গুলো নষ্ট করে ফেলা ভালো, নইলে যে বিপদ... এত ছোট তারায় একটা বিশাল বাওবাব গাছ আটবে কিভাবে?



তারপর একদিন, সেই গোলাপের সাথে রাগ করে ছোট্ট রাজকুমার বের হয়ে গেল তারায় তারায় ঘুরতে। নানা তারায় নানা কিসিমের মানুষ। ছোট্ট রাজকুমার অবাক হয় -- বড়রা এমন! শেষে সে পৃথিবীতে আসে। এসে সে দেখা পায় এক মরুভূমির সাপের, এক শিয়ালের, এক স্টেশন মাস্টারের... আর সব শেষে সেই বৈমানিকের, যে বিমান সাহারায় এসে বিগড়ে গেছে, যে ছোট্ট রাজকুমারের জন্য একেঁ দেয় এক ছোট্ট ভেড়া যদিও সে আকেঁনা অনেক দিন ধরে, আর আঁকতে পারে শুধু সাপের ভিতরের ছবি আর বাইরের ছবি।


''পোষ মানাবার মানে হল, একজনের সঙ্গে আর এক জনের সম্বন্দ্ধ গড়ে তোলা''


''.....একটা টুপির ছবি দেখে কেউ কি ভয় পায়?''



অন্তর দিয়ে ছাড়া আর কিছু দিয়েই সত্যিকারের দেখা হয়না : যা কিছু আসল, শুধু-চোখ দিয়ে কখনোই তা দেখা যায় না (One sees clearly only with the heart. What is essential is invisible to the eye)

৪.



মূল গল্প টা প্রথমে ইংরেজী এবং ফরাসীতে প্রকাশ করা হয় আমেরিকায়। গল্পের ছবি গুলো সব লেখকেরই আঁকা। লেখকের মৃত্যুর পরে নিজদেশ ফ্রান্সে এটা প্রকাশ পায়। আমি এর ইংরেজী ভার্সনটাও পড়েছি, কিন্তু বিনা দেশী ভাষা, মেটে কি আশা? এটা বাংলায় প্রথম প্রকাশ পায় ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে, নওরোজ কিতাবিস্তান থেকে। অনুবাদকের সম্পর্কে যে আমি কিছুই জানি না, সেটা আগেই দু:খ সহকারে জানিয়ে দিয়েছি। তবে, এটুকু জানি, তিনি অসামান্য অনুবাদক। এই বই সম্পর্কে উনার মতামত থেকে একটা লাইন তুলে দিতে লোভ হচ্ছে --

''পড়েই দু:খ হয়েছিল : আরো অনেক আগে বইটা কেন পাইনি? ..... আমার বারে বারে মনে হয়েছে, বইটির প্রধান 'রহস্য' ও গুণ এটাই : সব ধরণের পাঠকের কাছে মূল্যবান হওয়া।''

অবশেষে যদি বলি, বইটা ২৩০ টিরও বেশী ভাষায় অনুদিত হয়েছে; বাইবেল ও কোরানের পর সব থেকে বেশী পঠিত বই এটিই এবং কয়েক বছর আগে ফ্রান্সে হওয়া এক জন জরিপে ফ্রান্সের সব থেকে জনপ্রিয় বই হিসাবে এর নাম উঠে এসেছে -- আর এসব তথ্যের মাধ্যমে যদি কেউ বোঝে, না, বইটা আসলেই চমৎকার, তবে লেখকের স্বর্গে বসে আবার আত্মহত্যা করা ছাড়া গতি থাকবে বলে মনে হয় না! :P



''ফিরে আঁকলুম এই ছবিটা যাতে মনে থাকে তোমার। এখানেই নেমে এসেছিল আমার ছোট্ট রাজকুমার, আর এখান থেকে হারিয়ে গিয়েছে আবার''

ইংরেজী ভার্সনের ডাউনলোড লিংক


উপরের লিংক কাজ না করলে এটা তে ক্লিকান
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
১০টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×