একমিনিটে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের
খসড়া!!!
_______________n___________
১
আইনস্টাইন কে একবার বলা
হলো,"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে
আপনি
কি বলবেন?"
উত্তরে তিনি বললেন,"আমি চতুর্থ
বিশ্বযুদ্ধের কথা ভাবছি। তোমরা
সবাই
প্রস্তুত থেকো!!!"
,
বিজ্ঞানীরা আসলেই তারছেড়া
হয়,তাই না??
জ্বি না সম্মানিত জ্ঞানীগুণীরা।
,
মার্কিন-রুশের দ্বৈরথ এখন কোন
পর্যায়ে আছে তা সবারই জানা।
জন্ম
থেকেই যাদের সম্পর্ক দেখে আসছি
দা-কুমড়া, সেই সম্পর্কটাতে যে এখন
কুমড়াটাকে কেটে কুটিকুটি করা
হচ্ছে
তাতেও কি বুঝতে পারছেন না
বৈশ্বিক গ্রামের দুই মাতব্বর এখন
সরলকোণে অবস্থান করছে যার ফলে
সমকোনের লম্ব তথা পুরা বিশ্ব এখন
কাপাকাপি অবস্থায় আছে!!!
,
যে কোন বিষয়ে নাক গলাতে
ওস্তাদ
মোল্লা আমেরিকা ইরাক
আফগানিস্তান কে গোশতের টুকরার
মত
চিবিয়ে খেয়ে যখন হাড় হিসিবে
ফেলে একই কায়দায় সিরিয়ার
দিকে
নজর দিচ্ছে তখন রাশিয়া মনে মনে
বলে,খুব তো মাতব্বরি করলি।
আইনস্টাইনের ৪র্থ বিশ্বযুদ্ধের আগে
৩য়টা না হয় এবার আমিই শুরু করি!!
,
মার্কিন-ইসরায়েলি-সৌদি-তুর্কি
জোটের নাকের ডগাকে কাস্তে
বানিয়ে যখন সিরিয়ায়
ট্যাংক,বিমান দিয়ে রাশিয়া
কথিত
আইএস নিধনে একের পর এক হামলা
চালাচ্ছে তখন মার্কিন মুলুক
বলে,"ক্যারে চক্ষে আন্ধার দেখি
ক্যান।রৌদ্রজ্জ্বল আকাশে বিদ্যুৎ
চমকায়
ক্যান।"
কিন্তু রাশিয়া-চীন-ইরান-
সিরিয়া-
হিজবুল্লাহ জোটের আসল উদ্দ্যেশ
কি
শুধুই আইএস নিধন নাকি অন্য কিছু তা
সময়ই
বলে দিবে।
,
২
সব মাছে গু খায় ঘাইরা খাইলে দোষ
হয়!!
,
আসলেই তো,বিশ্বের নামীদামী
দেশ
যখন পারমানবিক শক্তি সম্পর্ন হয়ে
আঙ্গুল
উচু করে কথা বলছে সেখানে ইরান
পারমানবিক শক্তিধর দেশ হলে কি
হবে??
না,এতে নাকি মার্কিন মিত্রদের
গলা
শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবে, যদি উল্টো
তাদের দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা
বলে এই ভয়ে।
দেখছেন, অন্যায়কারীর আত্না যে
কত
দুর্বল তা এখানেও প্রমানিত।
কিন্তু এই ইরান বিষয়ে "রাশিয়া-
চীনের ভয় কতটুকু,বা তারাই বা
মার্কিন
এর সাথে এই বিষয়ে গভীর থেকে
কতটুকু
একমত সেটাও ভাববার বিষয়, কেননা
ইরানের পারমানবিক চুল্লির খনিজ
চাহিদা তো রাশিয়াই যোগায়!!
৩
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে
হাস্যোজ্জল্য বেচারী মেরকেলের
জার্মানি শরনার্থী জামেলাই
মিটাবে নাকি আড়ি পাতার
অভিযোগে অভিযুক্ত আমেরিকার
সহোদর হবে তা বিচক্ষন মেরকেল
ভালোই বুঝে।
অন্য দিকে ফ্রান্স,ব্রিটেন তো
আমেরিকার চামচা,ওদের কথা আর
কি
বলবো।
তবে,যুদ্ধ চলছে,চলবে.....মানুষ
মরছে,মরবে।
কোরআন বিশ্লেশনেই দেখা যায়,"
দাজ্জালের আভির্ভাবের পূর্বে
দেশে দেশে যুদ্ধ আরাম্ভ হবে।যেসব
যুদ্ধের কোন জয়-পরাজয় নেই।আছে শুধু
হানাহানি, লাশের স্তুপ আর
আহতদের
আর্তনাদের ছবি।"
বাস্তবিক পক্ষেও কি আমরা তাই
দেখছি না???
,
কি বুঝলেন সুবিধাভোগী
বাঙ্গালী!?
সরকারী ভবনে ক্ষমতায় গেলে যতই
মুজিব আর জিয়ার ছবি লটকাও না
কেন,যতই আজাইরা এওয়ার্ড দিয়া
লোক
ভুলাও বা বেক্কল সৌদির আমন্ত্রণ এ
যাইয়া ছুন্নি সাজো কোন লাভ
নাই।
গ্রামের এক বাড়িতে আগুন লাগলে
কিন্তু আশেপাশের গুলারও আস্ত
থাকে
না!!
তাই,আগে থেকেই আচল মাজায়
বাইন্ধা লুঙ্গি কাছার দিয়া
চিন্তা
করো, রাশিয়া-চীন-ইরান-
সিরিয়া-
হিজবুল্লাহ জোট নাকি মার্কিন-
ইসরায়েলি-সৌদি-
তুর্কি জোট,কোনটা কে তেল
মারলে
এই আগুনের হাত থেকে উদরপূর্তি তে
ব্যস্ত বাঙ্গালিরর খাবারে কোন
সমস্যা হবে না।
তা না হলে কিন্তু,৮% বনভূমি নিয়ে
পরিবেশ পদক পাওয়া ছুইটা যাইবো!!!!
______________________
মেলা কিছু লিখতে মন চায়,কিন্তু
৫৭ধারা বইলা একটা কথা আছে
না......
বুঝেনই তো।
লেখাঃ http://www.facebook.com/venus.vasper