১৯৬০ সালের দিকে,ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির এক রিসার্চ দল মানুষের রক্ত প্রবাহ ও রক্তচাপের পরিবর্তন পরীক্ষা করার
জন্যে ১১৩জন নবজাতক দের নেয় যাদের
বয়স ১ঘন্টা থেকে তিনদিন পর্যন্ত।
এক এক্সপেরিমেন্টে তাঁরা ক্যাথেটারগুলি কে এম্বিলিকাল
আর্টারী থেকে এওর্টা পর্যন্ত সাজিয়ে নেয়।তারপর সেই শিশুদের
কচি পা গুলি তীব্র বরফ পানিতে ঢুবিয়ে রাখে যে পর্যন্ত না এওর্টিক প্রেশার ঠিক মত মাপা হয়!
অন্য এক পরীক্ষায় ৫০জন নবজাতককে
আলাদা আলাদা ভাবে একটা সমান্তরাল বোর্ডের সাথে বাধা হয়
শক্ত করে।তারপর তাদের পুরো উল্টিয়ে মাথাসহ সমস্ত শরীরের রক্তচাপ মনিটরিং করা হয় কোন পরিবর্তন হলো কি না তা দেখার জন্যে!
একটা বার কি চিন্তা করেছেন, ১ঘন্টা থেকে তিনদিনের বাচ্চাগুলিকে যেখানে আমরা উলের তোয়ালের
ভিতর সযত্নে রেখে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে ব্যস্ত সেখানে ওই রিসার্চ দল কিরকম নির্মন এক্সপেরিমেন্ট করছে বাচ্চাগুলিকে নিয়ে!
আচ্ছা বাদ দেন।
আরেকটা জিনিস চিন্তা করেন।
অপারেশন থিয়েটারে কোন আশেনথেশিয়া (অজ্ঞানের ডাক্তার)
নাই।জ্যান্ত মানুষ কে বেধে সার্জারি ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে কুরবানি
পশুর মত বিভিন্ন অঙ্গ ছিন্নভিন্ন করে পরীক্ষা করা হচ্ছে কী কী পরিবর্তন আসে অর্গান গুলির।যেখানে মানুষটার
চিৎকারে আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে যাচ্ছে তবুও ডাক্তার নামক লোকটার কোন ভাবান্তর নেই!
হ্যা,অনেকেই জানেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জাপানের ইরি
শিরি কর্তৃক এরকম বহু নৃশংস ঘটানার জন্ম
হয়েছে।
এছাড়া ভ্যাক্সিন টেস্টের সময় জার্মানিতে ৭০টার মত বাচ্চা মারা
যায়।
ম্যালেরিয়া ড্রাগ আবিষ্কারের জন্যে শিকাগো তে শত শত কয়েদিকে মারা হয়।
সিফিলিস রোগের প্রতিষেধক টেস্ট করার জন্যে ২০০-৪০০ প্লাস কৃষাঙ্গদের মৃত্যুর মুখে ধাবিত করা হয়।
আর জোসেফ মেঙ্গেলের বর্বরতা সার্চ দিয়ে আপনারই দেখে নিয়েন।
এসব নৃশংস সিক্রেট হিউমান এক্সপেরিমেন্ট গুলির রিপোর্টে
সাব্জেক্টের জায়গায় লেখা হয় গিনিপিগ, ভেড়া,ইঁদুর ইত্যাদি।কিন্তু
বাস্তবে শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ।
ভাবতেই গা শিউরে উঠে।
কিন্তু যাঁরা এসব করেন তাঁরা বলেন,গুটিকয়েক মানুষের ত্যাগের
বিনিময়ে যদি বৃহৎ জনগোষ্ঠী পরিত্রাণ পায় তাতে তো পাপের কিছু নাই।
এক্সপেরিমেন্ট করার জন্যে কি আল্লাহর দুনিয়ায় অন্য কোন প্রাণীকূল নাই?প্রাচীন বিজ্ঞানীরা কি তাক
লাগানো কিছু আবিষ্কার করে নি মানুষ নিয়ে না খেলে?
আমেরিকা, রাশিয়া,জার্মানি সহ বিভিন্ন উন্নত এমন কি উন্নয়নশীল
দেশগুলিও বড় বড় ফার্মাসিউটিকাল বা সুনামধন্য মেডিকাল সার্জন দের চাপে বা বিশাল অর্থের লোভে পড়ে এসব
ভয়ংকর হিউমান এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছে নিরবে নিভৃতে।
তবে এসব এক্সপেরিমেন্টের রিপোর্টে লাভবান হচ্ছে সরকার।যার ফলে তাঁরা চুপ এহেন কর্মকান্ড বন্ধে।মুখে কুলুপ এটে
আছে চেতানাশীল বিভিন্ন দেশের
মানবাধিকার সংস্থাগুলিও।
সত্যি বলতে এসব এক্সপেরিমেন্ট কি
আসলেই কোন আবিষ্কারের নেশায়
করা হয় নাকি নিছক খামখেয়ালি আর অভিজ্ঞতা বাড়ানোর পায়তারা!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫