কম বেতনের ছোট চাকরি করে বলে একটু ঝগড়া-ঝাটি লাগলেই চাচী চোখের জল নাকের জল এক করে কাঁদতে কাঁদতে চাচাকে বলে, "তোমার সংসারে আসার পর থেকে আমার জীবনটা চুলার পাড়ে লাকড়ি ঠেলতে ঠেলতেই গেলো। না পেলাম একটু আয়েশ,না দিতে পারলাম বাচ্চাদের একটু সুখ।জীবনে একটা দামী শাড়ী কেমন চোখে দেখলাম না।এমিটেশনের চুড়ি মালা পড়েই সংসার কাটিয়ে দিলাম।লজ্জায় কারো সাথে মিশতেও পারি না!"
অন্যদিকে,দূর সম্পর্কের বড়লোক মামা তার বিশাল ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত,নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই।একমাত্র ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও দেরি করে আসায় রাতের বেলা বিছনার একেবারে কিনারে গিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে মামি বলে,"সুন্দরি মেয়ে হয়ে আসছিলাম এই সংসারে। ঘরে বন্দী থাকতে থাকতে বুড়ি হয়ে গেলাম।জীবনে স্বাদ-আহ্লাদ বলতে কিচ্ছু পেলাম না।ভুল করেও তো মানুষ একদিন বাইরে ঘুরতে নিয়ে যায়,একটু ভালোবাসা দেখায়।ছিঃ এর থেকে রিক্সাওয়ালার সাথে বিয়ে হলেও ভালো ছিলো!"
অভাগা স্বামীর ইনকাম কম হলেও তাদের(স্ত্রী) জীবন নাকি তেজপাতা আবার বেশি হলেও রিক্সাওয়ালার সাথে ঘর করতে মন চায়।সত্যি বলতে, এরা নিজেরাই বুঝে না তাঁরা কি পেলে তৃপ্ত হবে।
পাশের বাসার ভাবীর সংসারের সাথে নিজেদের তুলনা না করলে এদের গ্যাস্ট্রিকে প্রব্লেম হয়।কিন্তু একটা বারো চিন্তা করে না স্বামী আমার যাই করুক আমাদের সর্বোচ্চ ভালোর জন্যই করছে।
মেয়ে...আসলে তুমি কি চাও বলবা একটু???
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০