somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাধ্যতা!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কাছের মানুষের দুঃখবোধ দেখে চুপ করে থাকার মধ্যে বিশ্লেষন খোজা অযৌক্তিক একটা ব্যাপার । চলে গেলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়? হয় না । আবার থেকে গেলেও কিন্তু সমস্যা রয়ে যায় । রাতগুলো ক্রমশ ভারী হতে থাকে । মনে হয়, এইতো, হয়তো ভোর হবে এক্ষুনি ।

কিছু মানুষ নিজের অনুভুতির কথা মানুষকে বোঝাতে লজ্জ্বা পায় । অনেক সেক্রিফাইস করেও যখন কাছের মানুষদের কাছে নিজের গুরুত্ব বোঝানো যায় না, তখন চুপ করে থাকাই শ্রেয় । কারন, গুরুত্ব বোঝানোর জন্য কারো পাশে থাকা উচিত না । পাশে থাকতে হয় সব স্বার্থ ত্যাগ করে । পাশে থাকার পেছনে উদ্দেশ্য থাকলে চলে না ।

আড়ালে থেকে তাদের ক্রমশ দেখতে থাকার মধ্যে একটা বিষানুভূতি কাজ করে । "আহা, এভাবে যদি ঘটতো ব্যাপারটা!"... "অতীতে গিয়ে কিছু জিনিস যদি একটু বদলানো যেতো... বেশী না, অল্প একটু" ।

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে অসহ্য যন্ত্রনা সহ্য করার ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, যতদুর জানি আর কোনো প্রানী রাস্তা দিয়ে হাটার সময় মনে যন্ত্রনা নিয়ে হাটে না । যন্ত্রনা যতক্ষন আপনার মধ্যে থাকবে, ততক্ষন আপনি জীবিত ।

দুঃখবোধ থাকা ভালো, মাঝে মাঝে দুঃখবোধ মানুষকে বাধ্য হতে শেখায় । আমাদের মধ্যে যদি কোনো দুঃখবোধ না থাকে, হাহাকার না থাকে, তাহলে দিনদিন আমরা বেপরোয়া হয়ে যাবো । দুঃখবোধ আমাদের সে লাগামটা টেনে ধরতে সাহায্য করে ।

সে হিসেবে বলতে পারি, দুঃখবোধ-যন্ত্রনা যত বেশী থাকা যায়, তত ভালো, অন্তত সমাজের জন্য, বিনয়ী মানুষদের সংখ্যা বাড়ে এতে ।

পৃথিবীতে কোনো মানুষকেই আমরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গুরুত্ব দেই না । গুরুত্ব জিনিস টা খুব খারাপ । এটা একটা মানুষের মধ্যে উপযোগীতা সৃষ্টি করে । এবং, ওই উপযোগীতাই একটা সময় সে মানুষটাকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে ধ্বংস করে ।

দিগন্ত বিস্তৃত জঞ্জালপূর্ন জীবনে, চায়ের কাপে ধোঁয়া ওঠা আড্ডার মানুষগুলোকে নিয়ে আমরা সেভাবে ভাবি না । চাইলেও পারি না । তাদের শুধুমাত্র আড্ডার টেবিলেই রেখে দেই ।

মনে রাখা উচিত, ভোরবেলার কুয়াশাতে আগমন ঘটা মানুষদের ভুলে যাওয়া সহজ এটা ঠিক, কিন্তু দুপুর রোদে ক্রমশ মাথার উপর ছায়া হয়ে থাকা মানুষগুলোর অবদান কিভাবে অস্বীকার করি আমরা, হুম?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×