ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): 'এখানে বিচার করতে বসেছি। কে আওয়ামী লীগ আর কে বিএনপি যাচাই করতে বসিনি। মুজিব কোট পরে আদালতে আসলেই ক্ষমা করে দেয়া হবে না।' কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সোলায়মান মাদবরকে উদ্দেশ্য করে এ কথাগুলো বলেছেন হাইকোর্ট। শিশু নিয়ামুলকে বিকলাঙ্গ করে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আদালত তীব্র ভাষায় তাকে তিরস্কার করে আরো বলেন, কার কতটুকু ক্ষমতা আছে, আমরা জানি। সব ক্ষমতার চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর আদালত।
আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান মাদবর আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে আসেন। এ সময় তার পক্ষে তার কৌঁসুলি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত তাকে বলেন, দলের প্যাডে সংবাদ সম্মেলন করার ক্ষমতা তাকে কে দিয়েছে। আপনি নিজেও আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা। এ ধরনের অনিয়মকে সমর্থন করবেন না। ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ না করার জন্য সতর্ক করে দিবেন।
জানা গেছে, কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা হাজী সোলায়মান মাদবর ২৬ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে শিশু বিকলাঙ্গ করে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সমবয়সী দু'শিশু মারামারি করে নিয়ামুলকে আহত করেছে। পরদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদটি প্রকাশ হলে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ প্রেক্ষিতে আদালত ৩ ফেব্রুয়ারি সশরীরে হাজির হবার জন্য সোলায়মান মাদবরকে তলব করে। প্রসঙ্গত, শিশু নিয়ামুলকে বিকলাঙ্গ করে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করার ঘটনায় এর আগে আদালত কামরাঙ্গীরচর থানার ওসিসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব ও বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এ সংক্রান্ত রিট এই আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


