গোলাবারুদসহ এয়ারক্রাফটটি অবতরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ছাড়করণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে এসব গোলাবারুদ ব্যবহার করা হবে। অব্যবহৃত গোলাবারুদ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়া বলে জানা যায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে এসব গ্রেনেড গোলাবারুদ বাংলাদেশে আসছে। এ ব্যাপারে ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস বিভাগ থেকে গোলাবারুদ ছাড়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর গোলাবারুদবাহী এয়ারক্রাফটটি বিনা শুল্কে ও বিনা বাধায় ছাড় করতে সরকারের পক্ষ থেকে শুল্ক বিভাগকে বলা হয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপের নামে এর আগেও বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে গোলাবারুদ আসে। তবে দু’দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এগুলো তাদের রুটিন প্রশিক্ষণের অংশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম এজেন্ডা শক্ত হাতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরের সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জঙ্গিবাদ দমনের বিষয়েও আলোচনা করেন। এ ইস্যুতে মার্কিন সেনাবাহিনী বিশ্বের নানা দেশে যেমন নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছে, তেমনি ঘনিষ্ঠভাবে কাজও করছে। বাংলাদেশও তার ব্যাতিক্রম নয়।’
এ সম্পর্কে চট্টগ্রাম অঞ্চলের শুল্ক বিভাগের কমিশনার মো. মারুফুল ইসমাল বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম, তাই এ সম্পর্কে কিছু জানি না।’
যে সব গোলাবারুদ বাংলাদেশে আসছে
৩৬টি বাক্সে ত্রিশ হাজার দুই শ’ চল্লিশটি ৫.৫৬ এমএম গোলাবারুদ, ৩০টি বাক্সে ত্রিশ হাজার ৯ এমএম গোলাবারুদ, তিন বাক্সে এগারো হাজার চার শ’ গোলাবারুদ এবং দুই বাক্সে দুই শ’ গ্রেনেড। সর্বমোট ৭১ হাজার ৮শ’ ৪০টি গোলাবারুদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




