প্রতিবছর রাস্তায় নামা নতুন গাড়ি এবং চালকের সংখ্যার যে পরিসংখ্যান নৌমন্ত্রী শাজাহান খান দিয়েছেন, তাতে দেখা যায়, গাড়ি চালকদের ৮০ ভাগই অদক্ষ। যদিও অদক্ষদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই।
মন্ত্রী শাজাহান বললেন, "প্রতিবছর রাস্তায় গাড়ি নামে ৫০ হাজার, আর প্রশিক্ষিত চালক পাওয়া যায় মাত্র ১০ হাজার। বাকি সব চালকই অদক্ষ।"
এদিকে বৃষ্টির মধ্যে মাইক্রোবাস ও বাস চালকের অসতর্ক ও বেপরোয়া চালনাকেই মানিকগঞ্জ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। এবং এক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন এবং ড্রাইভিং বিষয়ে এসএসসি সমমানের পরীক্ষা চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
'ঝুঁকিপূর্ণ' গতি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় যে পরিমাণ বৃষ্টি ছিল তাতে এমনিতেই দৃষ্টিসীমা কমে যায়। চালক ব্রেক করলেও তার কার্যকারিতা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে না। এই পরিস্থিতির মধ্যেও চুয়াডাঙ্গা পরিবহনের বাসটি ঘণ্টায় আনুমানিক ৭০ কিলোমিটার গতিতে গাবতলী থেকে চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিল।
সড়কের বাঁকে এসে মাইক্রোবাসের চালক তার সামনের বাস বা ট্রাককে অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বাসটি হয়তো দেখতে পাননি উল্লেখ করে তদন্ত কমিটি বলেছে, মাইক্রোবাসের চালকের উচিৎ ছিল 'একটি বড় দূরত্ব তৈরি করে' সামনে থাকা বাস বা ট্রাকের পিছনে পিছনে যাওয়া।
সুপারিশ
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তদন্ত প্রতিবেদনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী মোট ১৪টি সুপারিশ করেছে কমিটি।
স্বল্পমেয়াদী সুপারিশে চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, চালকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, রাস্তার 'সাইন ও মার্কিং' সম্পর্কে চালকদের জ্ঞান 'মাঝে-মধ্যে' পরীক্ষা করা এবং মহাসড়কের দুই পাশে দৃশ্যপথে বিঘœ ঘটায় এমন সাইনবোর্ড বা বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে।
মধ্যমেয়াদী সুপারিশে চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা অবলম্বন এবং বাঁকগুলোতে সড়কের প্রশস্থতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে চালকদের জন্য ড্রাইভিং বিষয়ে এসএসসি সমমানের পরীক্ষা চালু এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত এলাকা চার লেনে উন্নীত করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




