আমার আছে কালো অক্ষর আর শাদা পাতাÑ-
এই দিয়ে কি আর জোছনা লেখা হয়!
ফ্রক পরা মেয়েকে বললাম, ‘আমাকে জোছনা এঁকে দিবি?’
সে বললো, ‘লাল-নীল ছবি এঁকেও তো জোছনা লেখা যায়!’
মেয়েটি নীল শাড়ি পরলো, চুল বেণী করে লাল ফিতা দিয়ে
বাঁধলো, সেটা আবার খোঁপা করলো, খোঁপার উপর
শাদা ফুলের মালা জড়ালো,
পায়ে আলতা আর আলতার উপর নুপূর, কানে লতাপাতার দুল,
আর কপালের উপর আস্ত একটা চাঁদ আঁকলো।
এমন সেজেগুজে কেউ ঘরে থাকতে পারে?
মেয়েটি এপাড়া ওপাড়া করতে গেলে সবাই তারে
জোছনা বলে ডাকে,
গাছপালার উপর দিয়ে নদীর উপর দিয়ে মাঠে মাঠে
জোছনা ঝরে পড়ে,
আমরা বললাম, জোছনারা সবাই গেছে বনে।
জোছনাকে মুঠোয় ধরে দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদকের টেবিলের
উপর নিয়ে রাখলাম,
সম্পাদক কাগজটাকে নাড়াচাড়া করে বললো,
‘এই তোমার জোছনার ছিরি! আমরা তো কবিতা ছাপি না,
লেখকের নাম ছাপি।’
লিটলম্যাগের সম্পাদককে খাতির করে চা খাওয়ানোর ফাঁকে
হাতে জোছনাকে গুঁজে দিই, সম্পাদক উৎসাহের সাথে বলে,
‘এটা দিয়ে একটা বাংলা সীনেমা হতে পারে, বাতাসী কোম্পানীর
স্পন্সর জোটাতে পারলে ভালো একটা ব্যাবসাও হয়ে যেতে পারে।’
পরিচিত প্রকাশক ঘাড় বাঁকা করে চলে গেলো,
তার পথে পা ফেলতে সাহস হয় না, জোছনা আমার হাত ধরে টানে,
Ñ-চল তো!
কোথায় যাবো কার কাছে যাবো করে বন্ধুদের আড্ডায় গিয়ে পড়ি,
গলা ছেড়ে গেয়ে উঠি, জোছনা রাতে সবাই যাবো বনে...
০২.০১.২০১২, ঢাকা।