তোমার কথা ভাবতে ভাবতে বাতাসে ঘসা খেয়ে রক্তে আগুন
লেগে যায়, সারা বুকে ফুটতে থাকে খৈ সারাক্ষণ,
তুমি কি গো অর্ধমৃত নারী! অত্মহত্যার দড়ি ঠিকই ছিলো,
শুধু কলসীর তলা খসে গিয়েছিলো সময়মতো,
তোমার প্রেমিক পালিয়ে গেছে অন্য নারীর বুকে আগুন রাখতে,
আধা জীবনটাকে নিয়ে প্রেমিকের উত্তাপ টের পাও তুমি আজো?
যৌনভাবে সক্ষম নারী তুমি, পুরুষ শরীরের উত্তাপ নিতে নিতে
কাশবনের উপর চাঁদকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছড়িয়ে দিতে সারা আকাশ,
সেই চাঁদের তলে বসে আমরা শিখেছি নারীর বুকে ঢেউ জাগাতে,
ভালোবাসতে বাসতে কি ক্লান্তি আসে? ভালোবাসার ক্লান্তির নাম কি
সিজোফেনিয়া? তোমার এখন জড়ো শরীর, কোন পুরুষের উত্তাপ
তোমাকে কিছুতেই স্পর্শ করে না!
তোমার কথা ভাবতে ভাবতে আমার পায়ের বিষ চড়ে যায় সপ্তমে।
তোমার বুকে কেবলই তরঙ্গ ছিলো, সেই তরঙ্গে ঝাপ দিতে
চেয়েছে সাহসী পুরুষ, তুমিও তো বেশ ভাসিয়ে নিয়েছো,
সেই তো তুমি স্রোতস্বিনী নারী, তুমিও শেষমেষ থমকে গেলে?
তুমিও তবে ভুল চেয়েছো? হঠাৎ দুপুরে ফুল-ফসলের গ্রাম,
চলতে চলতে হঠাৎ একটা বৃক্ষ ছায়ার তল, শীতল বাতাসে
ভেসে আসা দূর রাখালের বাঁশি,
আহা কেউ দেয় নি শীতল ছায়ার সুদূর বাঁশিটি!
শাতু, সারু কিংবা মিতু তোমরা কেউ কি প্রেমিকা ছিলে না?
তোমাদের কথা ভাবতে ভাবতে বুনো রক্তে আগুন লেগে যায়,
দুপুরটাকে আছাড় দিয়ে ভাঙি, আবার জোড়া দিয়ে বিকেলের কোলে
সাজিয়ে রেখে চোখ লাল করে সূর্যটাকে বন্ধুদের হাতে ছুঁড়ে
দিতে দিতে হারিয়ে ফেলি, আর ঘরে ফিরে কলসের
আঁধারের ভেতর চোখ ডুবিয়ে কাঁদি।
০১.০৪.২০১২, ঢাকা।