somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৪৫

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আদি বাংলার ইতিহাস
(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৪৫


* বাংলাদেশে মানব বসতি *
“বাংলাদেশে প্রারম্ভিক জনবসতি”

বাংলার মানব বসতির ইতিহাস অতি প্রাচীন বলেই মনে হয়। বর্তমান সময়কালের উদ্ভিজ্জ আবরণ ও ভূদৃশ্যে কয়েক হাজার বছরের মানবীয় কর্মকাণ্ড ও প্রভাবের সুস্পষ্ট ছাপ বিদ্যমান এবং ভূ-পৃষ্ঠে বসতির ধরন ও কৃষিকাজ থেকে এতদঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। বাংলায় বসতির ক্রমবিকাশের প্রারম্ভিক পর্যায়ে ভূমির উচ্চতার বিন্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায়, সমগ্র প্রাগৈতিহাসিক যুগে বাংলার অধিকাংশ স্থানই ছিল হিংস্র জীবজন্তুতে পরিপূর্ণ, বন-জঙ্গল ও জলাভূমিতে আচ্ছাদিত। এমনকি ঐতিহাসিক সময়কালে, অধিকাংশ অঞ্চলই ছিল মানুষের বিচরণের জন্য অনুপযুক্ত। এভাবে বলা যায়, বাংলার অপেক্ষাকৃত পুরাতন ও উচু ভূমিগুলোতেই আদি বসতি গড়ে উঠেছিল। বসতি বিকাশের প্র ম পর্যায়ে টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ও উচ্চভূমি ৫ থেকে ৩ কোটি বছর পূর্বেকার এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা ৩০ মিটার এবং পাইসটোসিন সোপানসমূহ (১.৫ কোটি থেকে ১ কোটি বছর পূর্বেকার এবং সাম্প্রতিক যুগে গঠিত ভূমির আনুভূমিক তল অপেক্ষা গড়ে ১.৫ মিটার থেকে ৬ মিটার বেশি উঁচু বরেন্দ্রভূমি) সম্ভাব্য মানব বসবাসের অপেক্ষাকৃত অধিকতর আওতাভুক্ত ছিল।৮৪ প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃভৌগোলিক নিদর্শনসমূহ বাংলাদেশে এবং কাছাকাছি ভারতীয় অঞ্চলগুলোতে এই অনুমানের বৈধতা প্রদান করে। বাংলাদেশের কুমিল্লা, বগুড়া ও জয়পুরহাটে প্লাইসটোসিন যুগের মানব বসতির সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে যা ইতিপূর্বে উলেখ করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক ঐতিহাসিকদের ধারণা যে, ঘন বন-জঙ্গলের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত নদীতীরে চাষাবাস আরম্ভ হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে মানব বসতি গড়ে তোলার উপযুক্ত ছিল না। ৮৫

কারণ, পাথর বা কাঠের যন্ত্রপাতির দ্বারা জায়গা পরিষ্কার করা অনেক কষ্টকর ছিল। এজন্যই বোধহয় মরুময় অঞ্চলের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত নদী যেমন সিন্ধু, টাইগ্রিস, ইউফ্রেটিস পভৃতি নদীর তীরে অতি প্রাচীনকালে মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা, মেসোপটেমিয়া, বেবিলন প্রভৃতির স্থানে যেভাবে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল, সেভাবে আমাজন, নীলনদী, গঙ্গা প্রভৃতি নদীর তীরে প্রাচীনকালে তেমন সভ্যতা গড়ে উঠেনি। কারণ এসব নদীর তীর ছিল বন-জঙ্গলে আচ্ছন্ন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও লৌহ ব্যবহার জানার পর এসব অঞ্চলে মানব বসতি গড়ে উঠে। এজন্য বোধ হয় বাংলাদেশে অর্থাৎ উভয় বাংলায় প্রথম মানব বসতির সন্ধান পাওয়া যায় লালমাটি অঞ্চলে সেখানে কৃষির প্রাথমিক অবস্থা অতিবাহিত হয়েছে। সেখানে পানি খুব সহজলভ্য না হলেও বন-জঙ্গল খুব গভীর ছিল না।

নব্যপ্রস্তরযুগে (নবপোলীয় যুগ) বাংলাদেশের মানুষঃ
এদেশে কখন আদম সন্তানের পায়ের চিহ্ন পড়েছিল তার ইতিহাস আমাদের জানা নেই। তাদের রেখে যাওয়া চিহ্ন অনেকখানি বাস্তবসম্মতভাবে অনেক দেশে পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে এমন চিহ্ন বা নিদর্শনের খুবই অভাব। তার নানা কারণের মধ্যে একটি হয়ত এই যে, পলিমাটিতে চিহ্ন বেশিদিন বেঁচে থাকে না এবং ভূপৃষ্ঠ ও নদী-নালার প্রবাহ ঘন ঘন পরিবর্তন এসব চিহ্ন মুছে ফেলে। তাছাড়া প্রস্তরযুগের, পুরাতন যুগে হোক অথবা নব্যপ্রস্তরযুগে হোক, আদি মানুষের পাথরের ব্যবহার অন্যান্য পুরাতন অঞ্চলের মতো বাংলাদেশে ততটা স্পষ্ট বলে পাওয়া যায় না। আরেকটি কারণ, এই দেশের ভূমিপুত্ররা পরবর্তীকালে তাদের পূর্বপুরুষের চিহ্নগুলি অথবা ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখে নি। তবু এ পর্যন্ত যেসব চিহ্ন এবং তাদের ব্যবহৃত সামগ্রী পাওয়া গেছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও বর্ণনা নিমেড়ব বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে, খুব সম্ভবত, পুরাতন প্রস্তরযুগেও মানুষ বাস করত।৮৬

অনেক পণ্ডিতব্যক্তিদের ধারণা বাংলাদেশে মানববসতি, আদিমানব বসতির স্থানগুলো, যেমন, মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা, মেসোপটেমিয়া ও মিসরীয় সভ্যতার সমসাময়িক নয়; কারণ, বর্তমান পাকিস্তানে পাঞ্জাবের মন্টগোমারী জেলার রাভি নদীর তীরে হরপ্পা, সিন্ধুপ্রদেশের লারকানা জেলার ডোকরি থেকে সাত মাইল দূরে মহেঞ্জোদারো, নীল নদীর তীরে মিসরীয় সভ্যতা, টাইগ্রিস নদীর তীরে মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। আদিকালে এই স্থানগুলো মরুময় অঞ্চল ছিল এবং নদী তীরবর্তী হলেও জঙ্গলাকীর্ণ ছিল না। তীরের বাসিন্দারা বৃষ্টির পানির চেয়ে নদীর পানির উপর নির্ভরশীল ছিল এবং নদীর পানির সাহায্যে চাষবাস করতো। কারণ, যে সকল নদী তীরবর্তী অঞ্চল জঙ্গলাকীর্ণ ছিল সেখানে পাথরের যন্ত্রের সাহায্যে জঙ্গল পরিষ্কার করা সহজ ছিল না। অনেকটাই দুঃসাধ্য ছিল। সেজন্যই বোধ হয় তাম্রপ্রস্তর যুগে গড়ে ওঠা আদি সভ্যতার স্থানগুলো নদী তীরবর্তী হলেও মরুময় অঞ্চল ছিল। সে তুলনায় বাংলার সমস্ত অঞ্চলই ছিল ঘনজঙ্গলে আচ্ছনড়ব এবং নব্যপ্রস্তর যুগেও চাষবাসের জন্য কষ্টকর ছিল। এসব কারণেই ঐতিহাসিকগণের ধারণা বাংলাদেশে নব্যপ্রস্তর যুগের শেষদিক থেকেই এদেশে চাষবাস আরম্ভ হয় এবং জনবসতির বিস্তার ঘটৈ। তবে বসতি বিস্তার দ্রুততর হয় ধাতুর পন্ত্রপাতি ব্যবহারের পর থেকে এবং তা সম্ভবত ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের আগে নয়।

বাংলাদেশে সেই পুরাতন আদি মানুষের বাসস্থান গড়ে না উঠলেও, নব্যপ্রস্তরযুগে যে মানুষ বাস করতো এ বিষয়ে সন্দেহ করার কিছু নেই। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত বিভিনড়ব প্রত্নতত্ত্ব, শিলালিপি, প্রস্তরযুগের মানুষের জীবনযাত্রার উপকরণ উপাত্তের সমন্বয়ে আমরা এই উপসংহারে পৌঁছতে পারি। অবশ্য বাংলাদেশে প্রস্তরযুগে মানুষের ব্যবহৃত দ্রব্যসামগ্রী প্রচুর পাওয়া যায়নি। তবে, পাথরের ব্যবহারই সব নয়। নব্যপ্রস্তরযুগের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার জন্য আমরা নব্যপ্রস্তরযুগের অন্যান্য নিদর্শন পর্যালোচনা করে দেখতে পারি।
প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতির শেষ ধাপ মধ্যপ্রস্তরযুগ এবং এ যুগের অবসানের পর নতুন প্রস্তরযুগের সূচনা। এর আগের যুগের ভোঁতা, অমসৃণ, হাতিয়ারের বদলে নব্যপ্রস্তরযুগে মানুষ পাথরের ধারালো, মসৃণ এবং সূক্ষ্ম নানারকম হাতিয়ার ও অস্ত্র তৈরি করে। উনড়বত অস্ত্রগুলো শুধু যে শিকারের কাজে লাগত তা নয়, দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজেও মানুষ নতুন যন্ত্রপাতিকে কাজে লাগিয়েছিল। হাতিয়ার ও অস্ত্রের এই নতুন উনড়বত সংস্করণের কারণেই প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই যুগের নামকরণ করেন নব্যপ্রস্তরযুগ।

নব্যপ্রস্তরযুগের সূচনাঃ
পণ্ডিতব্যক্তিদের ধারণা, পুরনো প্রস্তরযুগের সমাপ্তির পর ৭০০০/৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নব্যপ্রস্তরযুগের সূচনা হয়। কিন্তু নব্যপ্রস্তরযুগের অস্তিত্ব বিভিনড়ব জায়গায় ৬০০০/৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আগে লক্ষ্য করা যায়নি। আবার এ যুগ পৃথিবীর সর্বত্র একই সময়ে শুরু ও শেষ হয়নি। ৫০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে মিশরে নব্যপ্রস্তরযুগের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। অথচ
৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের আগে ইউরোপে এই সংস্কৃতির প্রবেশ ঘটেনি। প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে বুঝা যায় যে, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় এ যুগ আগে থেকে শুরু হয়। মিশরে ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের অব্যবহিত পরেই ঐতিহাসিক সভ্যতা নব্যপ্রস্তরযুগের স্থান গ্রহণ করে। একমাত্র ক্রিটদ্বীপ ছাড়া ইউরোপের সর্বত্র ২০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের আগে নব্যপ্রস্তরযুগ শেষ হয়নি এবং উত্তর ইউরোপে এর পরিসমাপ্তি ঘটে আরো পরে। তবে বর্তমানে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে ২/১ টি ব্যতিক্রম বাদে ৩৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তাম্র যুগের সূচনায় নব্যপ্রস্তরযুগের পরিসমাপ্তি ঘটে।৮৭

পরবর্তীকালে যেসব তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে তার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে, ৫০০০/৪৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে বাংলাদেশে নব্যপ্রস্তরযুগের সূচনা হয়। তবে এ যুগ অন্যান্য দেশ ও স্থানের মতো এদেশে এত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৫/১২ খ্রিষ্টপূর্ব শতক থেকে এদেশে ঐতিহাসিক যুগের সূচনাকাল বলে চিহ্নিত করা যায়। তবে ১৫০০-১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকেএদেশে লৌহ ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখন আমাদের হাতে নেই, যদিও তখন থেকেই এদেশে লৌহযুগ আরম্ভ হয়েছে বলে মনে করা হয়। কাজেই ব্রোঞ্জ ও তামার ব্যবহার তার আরও অনেক পূর্বেই আরম্ভ হয়েছিল বললে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম।

নব্যপ্রস্তরযুগের পরিবর্তনঃ
মানব ইতিহাসে, সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে, নব্যপ্রস্তরযুগ অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় বস্তুগত উনড়বতি সাধিত হয়। পূর্ববর্তীদের চেয়ে নব্যপ্রস্তরযুগের মানুষ প্রকৃতি ও পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ অথবা এ দুয়ের সাথে সামঞ্জস্য বিধানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভুত্ব অর্জন করতে সমর্থ হয়।৮৮ এর ফলে মানুষের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা হয়। এজন্যই প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ভি. গর্ডন চাইল্ড নব্যপ্রস্তরযুগকে ‘নবোপলীয় বিপ্লব’ (Neolithic Revolution) নামে অভিহিত করেছেন।৮৯ তার যুক্তি এই ছিল যে, পুরাতন প্রস্তরযুগ প্রায় ২০/২৫ হাজার বছর যাবত বিরাজমান ছিলো যা ৭০০০/ ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে অবসান হয় বলে উলেখ করা হয়েছে। সে তুলনায় নব্যপ্রস্তরযুগ Neo-lithic age- Neo অর্থ নতুন এবং lithic অর্থ পাথর) ৪০০০/৩০০০ বছরের অধিককাল ছিলো না। তার পরপরই আরম্ভ হয় তাম্র যুগ। স্বল্পকালীন সময়ে ব্যাপক পরিবর্তনের জন্যই এই যুগকে গর্ডন চাইল্ড বিপবী যুগ বলে আখ্যায়িত করেছেন।৯০

মানুষ এই যুগে একদিন রোপণ ও চাষ শুরু করে এবং তার প্রয়োজনীয় লতা, গুল্ম, বৃক্ষ নির্বাচন করে। ভূমিচাষ ও গবাদি পশু পালন দ্বারা পশু প্রজনন বৃদ্ধি করে ফসলসহ খাদ্যের মজুত ভাণ্ডার গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে যা আগের তুলনায় তাদের খাদ্য ঘাটতি, খাদ্য সংকট থেকে মুক্তি দিয়েছে। খাদ্য সমস্যার সমাধানের ফলে মানুষ অন্যদিকে মন দেয়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে নতুন নতুন আবিস্কার, চিন্তা সম্ভব হয়। তুলা চাষ, তা থেকে কাপড় তৈরি, চাকা তৈরি, বিভিন্ন যন্ত্র তৈরি, আগুনের বহুমুখী ব্যবহার করতে শিখে। এর ফলে অস্থায়ী যাযাবর জীবন ত্যাগ করে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে, নির্মাণ করে বাড়িঘর। যাতায়াত সুবিধার জন্য যানবাহন তৈরি এসময়ের আরো একটি অগ্রগতি। সামগ্রিক এ পরিবেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি যেমন সম্ভব হয়, তেমনি মানুষ ভাবের আদান-প্রদানের জন্য ভাষা, মনের খোরাক মেটাতে শিল্পকলা, সুষ্ঠু অর্থনীতি পরিচালনার জন্য ব্যবসা ও বিনিময় প্রথা চালু করে। ধর্মবিশ্বাস, ধর্মচেতনাও মানুষের মধ্যে গড়ে উঠে।

এভাবে যাযাবর মানুষ নবোপলীয় বিপ্লবের ছোঁয়ায় সামাজিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়, গড়ে তোলে গ্রাম, জোট বা ক্লান, সংঘ বা ট্রাইব, সর্বোপরি রাষ্ট্র। এভাবে নব্যপ্রস্তরযুগের উদ্ভাবন, সংস্কৃতি মানুষকে সভ্যতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়; যদিও নৃবিজ্ঞানী ও প্রত্নতত্ত্ববিদের ধারণা নব্যপ্রস্তরযুগ বন্য (Barbarism) স্তরের অন্তর্ভুক্ত। এমনি ধারণা সত্ত্বেও বাস্তবে নব্যপ্রস্তরযুগের যে অর্জন তা যেমন গরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনি এসবের অগ্রগতির বেগও ছিল দ্রুত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনায় বাংলাদেশে এসব বিষয়ের তুলনামূলক উন্নতি ও অগ্রগতির কিছু ইঙ্গিত নিচে বলা হলো।

84 Hasan Ahmad Dani: Mainamati Plates of the Chandraas in Pakistan Archaeology No. 3.
৮৫ দামোদর ধর্মানন্দ কোসাম্বি: ভারত ইতিহাস চর্চার ভূমিকা (অনুবাদ), (২০০২), পৃষ্ঠা- ৪৭।
৮৬ D.P. Kosambi: The Culture and Civilization of Ancient India in Historical Outline.
৮৭ V. Gordon Childe: Man Makes Himself.

আগামী পর্বেঃ চাষবাসের সূচনাকাল।

আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৪৪
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×