একজন মুক্তমনা কম্যুনিস্টের পোস্টে দেখলাম মানুষ এখন নাকি মানুষের ক্লোন বানাইতে পারে। কাজেই কম্যুনিস্টের বক্তব্যে মানুষ সৃষ্টিকর্তা প্রায়(নাউজুবিল্লাহ)। অথচ আল্লাহ কোরআনে মানুষ ও জ্বীনকে চ্যালেঞ্জ করেছে কেবল একটি মাছি বানাইয়া দেখাইতে নিজ থেকে।
হেঁহেঁ... ভাই এসব পড়ে আপনি বিভ্রান্ত হবেন যদি আপনার জ্ঞানের পরিধি রেওয়ামিলে শুরু আর কলা বিভাগের সাহিত্যে গিয়েই শেষ হয়।
"ক্লোন" জিনিসটা কি তা আমাদের জানতে হবে। এটি হল কোন একটি প্রাণীর একটি "একক জীবন্ত কোষ সংগ্রহ" করে তাকে কৃত্রিমভাবে জাইগোট ও পর্যায়ক্রমে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ফিটাস পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নতুন প্রাণী তৈরি।
আমি আবারও "একক জীবন্ত কোষ সংগ্রহ" বাক্যটিতে জোর দিচ্ছি।
প্রশ্ন হল এই একক জীবন্ত কোষটা আপনি কোত্থেকে নিচ্ছেন?
নিজে বানাইসেন নাকি হাওয়া থেকে আমদানি করসেন?
এই "জীবন্ত কোষ"টা কিন্তু আপনি আল্লাহর সৃষ্টি কোন প্রাণী থেকেই সংগ্রহ করছেন। অর্থাৎ জীবন্ত কোষের প্রাণটা কিন্তু আপনি দিচ্ছেন না, প্রাণটা আল্লাহর দেওয়া জীবন্ত প্রাণী থেকেই নিচ্ছেন।
তাহলে কি এটাকে "সৃষ্টি" বলা যায়?- কখনোই না। কারণ আপনার সাধ্যি নাই নিজ থেকে "প্রাণ" কিংবা "জীবন" টা সৃষ্টি করা।
কোরআনে ঠিকই বলা আছে। যদি ক্ষমতা থাকে নিজ থেকে একটা মাছিই সৃষ্টি করে দেখান অন্য কোন জীব থেকে আল্লাহ প্রদত্ত "জীবন" ধার না করে।
আর এই ক্লোনিং কে যদি সৃষ্টি বলা যেত তবে স্ত্রী সহবাসে আপনার শুক্রানু আর স্ত্রীর ডিম্বানুর মিলনের ফলে বাচ্চা পয়দা হয়, এ ক্ষেত্রেও আপনিই বাচ্চার সৃষ্টিকর্তা হয়ে যেতেন। কিংবা ফলের বীজ মাটিতে বপন করলে যখন নতুন চারা গজায় সেক্ষেত্রেও আপনি সৃষ্টিকর্তা হয়ে যেতেন!
গ্রামেগঞ্জে চারা কলম পদ্ধতিতে যে মাতৃ উদ্ভিদের অংশ নিয়ে নতুন চারা উদ্ভিদ তৈরি করা হয় সেটাও এই ক্লোনিং এর একটা পারফেক্ট উদাহরণ।
তবে কি মুক্তমনা কহিবেন চারা কলম পদ্ধতিতে নতুন চারা গজানোতে কৃষক মশাইও সৃষ্টিকর্তা হয়ে গেছেন(নাউজুবিল্লাহ)?
{সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ স্বীয় জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির লক্ষে সংগৃহীত}