~জনাব, আপনাদের সমাজে মেয়েরা নাকি আপাদ-মস্তক কাপড়ে প্যাক করে রাস্তায় বের হয়?’
~‘আপাদ-মস্তক কাপড়ে প্যাক করে নয়, সৌন্দর্যের স্থানগুলো ঢেকে বের হতে হয়।’
~‘কেন?’
~‘খারাপ দৃষ্টি থেকে আত্মরক্ষার জন্যে।’
~‘এভাবে আগাম খারাপ ধারণা করে নেয়া কি ঠিক? খারাপ ঘটলে তবেই না তাকে খারাপ বলা যায়।’
~‘মেয়েদের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া এবং আকৃষ্ট হবার পর খারাপ চিন্তার উদয় হওয়া মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি। সুতরাং এ ব্যাপারে আগাম চিন্তা করা যায়।’
~‘প্রবৃত্তিটা যদি সহজাত হয়, তাহলে তো এ থেকে আপনি, আমি, শিক্ষক, ছাত্র কেউই মুক্ত নয়। তাই কি?’
~‘হ্যাঁ তাই।’
~‘কিন্তু এটা কি বাস্তবতা?’
~‘শিক্ষক-ছাত্রী কিংবা শিক্ষিকা-ছাত্রের মধ্যে অঘটন বা ঘটনা কি নেই?’
~ওগলালা একটু চিন্তা করে বলল, ‘আছে।’
~‘এটা কি বাস্তবতার প্রমাণ নয়?’
~‘সবক্ষেত্রেই কিছু ব্যতিক্রম থাকে। ব্যতিক্রমের উপর কিন্তু কোন সাধারণ সিদ্ধান্ত হয় না।’
~‘এ দু’চারটা ঘটনা আসলে ঘটনার আইস বার্গ। দেখুন, সব খারাপ চিন্তা খারাপ ঘটনায় রূপ নেয় না। আবার সব খারাপ ঘটনা জনসমক্ষে প্রকাশ পায় না। সুতরাং সব মিলিয়ে ব্যতিক্রম যাকে বলছেন, তা ব্যতিক্রম নয়।’
~‘তার অর্থ প্রত্যেক মানুষের মধ্যে প্রবৃত্তিগতভাবে খারাপ প্রবণতা আছে এবং সেই অর্থে ধরে নিতে হবে প্রত্যেক মানুষই খারাপ।’
~‘কথাটা এইভাবে বলা ভাল, প্রত্যেক মানুষ খারাপ, আবার প্রত্যেক মানুষই ভাল। আমাদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনে স্রষ্টা বলেছেন, মানুষকে সুন্দরতর বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, আবার তাকে নিচ থেকে নীচত্বর করা হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব ও পশুত্ব পাশাপাশিই বাস করে।’
~‘মেয়েরা তাদের সৌন্দর্য ঢেকে বের হওয়াই কি ঐ পশুত্বের আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়?’
~‘কথাটা এইভাবে বলুন, মেয়েরা জনসমক্ষে তাদের সৌন্দর্য ঢেকে রাখা মানুষের পশুত্বকে উস্কে না দেবার উপায়।’
#Abul_Asad_Sir