somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গঃ ঝাল

২৫ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচণ্ড ঝাল কিছু খাওয়ার পর অথবা মরিচ চিবিয়ে আমরা যখন হাসফাস করতে থাকি, তখন কিন্তু ঢকঢক করে পানি গিলেও খুব একটা আরাম পাওয়া যায় না। এর কারণটা হচ্ছে, মরিচে ক্যাপসাইসিন (capsaicin বা 8-methyl-N-vanillyl-6-nonenamide) এবং হাইড্রোক্যাপসাইসিন (dihydrocapsaicin বা 8-Methyl-N-vanillylnonanamide) (C18H29NO3) নামক রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি। মূলত এই দুই উপাদানের ওপরেই মরিচের ঝালের পরিমাণ নির্ভরশীল।

ক্যাপসাইসিনে লং হাইড্রোকার্বন চেইন থাকে যা আমাদের জিহবার গ্রন্থির সাথে বেশ শক্তপোক্ত রাসায়নিক বন্ধন তৈরি করে। ক্যাপসাইসিনের আরেকটা ধর্ম হচ্ছে, পানির সাথে না মেশা (Hydrophobia)। সেকারণেই অধিক মাত্রায় পানি পান করেও তাৎক্ষণিক ভাবে ঝাল প্রশমন করা সম্ভব হয় না।

ঝালের অনুভূতি তাড়াতে ঠাণ্ডা দুধের কোন বিকল্প নেই। দুধে ক্যাসিন নামক এক ধরনের ফ্যাট-লাভিং প্রোটিন থাকে যা মরিচের ক্যাপসাইসিনকে সহজেই সরিয়ে দিতে পারে। গরু/খাসির মাংস খাবার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে যেমন চর্বি পরিষ্কার করা হয়, ক্যাসিন এক্ষেত্রে অনেকটা সেভাবে কাজ করে থাকে।
চিনি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার সাময়িকভাবে জিহবায় আরামের অনুভূতি যোগালেও তা ঝাল তাড়াতে অক্ষম।

আরেকটা তথ্য হয়তো অনেকের জানা নেই, মরিচের ঝাল মাপার জন্য এক বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ১৯১২ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী উইলবার স্কোভিল এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন এবং তার নাম অনুযায়ী ঝালের একক পরিমাপ পদ্ধতিকে স্কোভিল স্কেল বলা হয়। ক্যাপসিকাম, হ্যালাপিনো, কাঁচামরিচ অথবা বোম্বাই নাগা - সবগুলো মরিচ প্রজাতির হলেও স্বাদ এবংং ঝালে যে ভিন্নতা পাওয়া যায়, তাতে ক্যাপসাইসিন এর পরিমাণের কারণেই হেরফের ঘটে।

বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক ঝাল তিনটি মরিচের নাম ক্রুমানুসারে: পেপার এক্স (স্কোভিল স্কেলে প্রায় বত্রিশ লক্ষ ইউনিট), ক্যারোলিনা রিপার (সর্বোচ্চ বাইশ লক্ষ বিশ হাজার ইউনিট) এবং ত্রিনিদাদ মরগুয়া স্কর্পিয়ন (সর্বোচ্চ প্রায় বিশ লক্ষ ইউনিট)।

উল্লেখ্য যে আমরা সাধারণত রান্নাবান্নায় যে মরিচ ব্যবহার করি, স্কোভিল স্কেলে তার পরিমাপ মাত্র ৫০০ থেকে ৫০০০ ইউনিটে সীমাবদ্ধ!

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×