শ্বশুর বাড়ি মধুর হাড়ি। কিন্তু আমার বেলায় হয় তিতার হাড়ি

। শ্বশুর বাড়ি যেয়ে যতবারই বউ কে বলি চলো ঘুরে আসি বউ আমার ততবারই বলে এখন না পরে যাব। কি আর করা, আমার একা একাই ঘুরতে হয়। তেমনি এক সকালে রওনা হলাম পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এর উদ্দেশ্যে। সকালবেলা নওগাঁ-রাজশাহী বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়িতে উঠলাম। প্রথমদিকে গাড়ি ভালই চলতেছিল। ওমা! কিছুদুর যেয়ে দেখি রাস্তায় যাকেই দেখে তাকেই গাড়িতে উঠানোর জন্য গাড়ি থামায়


। একজায়গায় তো অনেক দুর থেকে এক লোক হাত ইশারা করল আর ওমনি গাড়িয় দাড়িয়ে গেলো। তার পরও এক স্টেশনে গাড়ী পাক্কা ২০ মিনিট দাড়িয়ে রইল। এভাবেই ৩৫ কিমি রাস্তা প্রায় আড়ই ঘন্টা সময় নিয়ে পৌছলাম


। গাড়ি থেকে নেমে রিক্সা নিয়ে পৌছলাম পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। বৌদ্ধবিহারের ভিতরে এন্ট্রি টিকেট ২০ টাকা। টিকেট কেটে বেীদ্ধবিহারে ঢুকে পড়লাম।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

একা একা ক্যামেরা নিয়ে ঘোরাঘুরি আর ছবি তোলা।




একা একা ঘুরি আর মনের সুখে ছবি তুলি। দুপুর হয়ে গেলো। বউ আমার ফোন দিয়ে জিজ্ঞাস করে তুমি কই

। আমি বলি পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

। বউ শুনে তো সেই রকম রাগ

। বলে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার গেলা আমারে নিয়া গেলা না ক্যান

। আমি তো মহা অবাক

। বললাম তোমারে না বললাম চলো ঘুরে আসি। সে বলে তুমি যে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যাবা তা তো বলো নাই

। আজকে বাড়ি আসো তোমার খবর আছে

। কি আর করা তার পর ভয়ে ভয়ে পাহাড়পুর ঘুরি আর ছবি তুলি

।














দেয়ালের গায়ে নিচের দিকে মাটির ফলকে জীব-জন্তু, দেব-দেবীর ছবি খোদাই করা।



পাহাড়পুর যাদুঘর। আমি যেদিন গিয়েছিলাম যাদুঘর বন্ধ ছিল

। যাদুঘর দেখতে পারিনি।

এভাবে ঘুরতে ঘুরতে ৩ টা বেজে গেলো। ফেরার পথ ধরলাম।
যারা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৪