somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেফাজতে ইসলাম তবে কী......(কিছু প্রশ্ন, সংশয় ও আর্জি )

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাস্তিক ব্লগার কেন, কোনো নাস্তিক নাগরিকেরই শাস্তির দাবি হেফাজতে ইসলাম করতে পারে না। কারণ নাস্তিকতা একজনের একান্ত ব্যাক্তিগত বিশ্বাস। যতক্ষন না পর্যন্ত একজন নাস্তিক কোনো ধর্মকে অবমাননা না করছে ততক্ষন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এমনকি দেশের প্রচলিত আইন ব্যবহার করেও নাস্তিক দের শাস্তির সুযোগ নেই। সুতরাং এখানে নাস্তিক ব্লগারদের বিচার চাই বলে গলা ফাটানোর কোনো মানেই নেই।

হেফাজতে ইসলাম "ইসলাম ধর্ম অবমাননা কারীদের" বিচার চাইতে পারে। আমার মনে হয় তারা সেটাই চায়। শুধুমাত্র অজ্ঞতার কারণে তারা নাস্তিক শব্দটি ব্যবহার করছে। কিন্তু একজন ধর্ম অবমাননাকারীর বিচারের জন্য মিছিল মিটিং কিংবা লংমার্চ করার দরকার নেই। যে ধর্মের অবমাননা করেছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমান দিয়ে মামলা করে দিলেইতো হয়। যে কোনো ব্যাক্তি এই মামলা করতে পারে। যে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলেই সে মামলা করতে পারে। আল্লামা শফী সাহেব নিজেই মামলা করতে পারতেন। হরতাল অবরোধ করে দেশের মানুষদের নাজেহাল করার তো কোনো মানে নেই।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে শাহবাগে তরুণ প্রজন্ম তাহলে কেন সমাবেশ করছে। কারণ মানবতাবিরোধী অপরাধের যে মামলা তা রাষ্ট্রপক্ষকেই করতে হয় এবং রাষ্ট্রকেই মামলা পরিচালনা করতে হয়। এখানে কোনো ব্যাক্তিবিশেষের মামলা করার এখতিয়ার নেই।

তাহলে হেফাজতে ইসলামের উদ্দেশ্য সত্যিকার অর্থে কী? "নাস্তিক" (আসলে হবে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী) ব্লগারদের শাস্তির দাবির নামে দেশ অচল করে দেয়া? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করা? শাহবাগের আন্দোলনকে প্রতিহত করা? ধর্মের দোহাই দিয়ে দেশকে বিভক্ত করে দেয়া? নাকি অন্য কিছু?

হেফাজতে ইসলামের সম্মানিত নেতা ও সমর্থক ভাইয়েরা। আপনারা মুসল্লী মানুষ। আল্লাহর কাছে দেশের শান্তির জন্য দোয়া করেন। দশ-বিশটা* ধর্ম অবমাননাকারীর বিচার চান তো প্রমাণ দেখিয়ে মামলা করে দিন। এদের বিচার আমিও চাই। কিন্তু এই কয়টার জন্য ১৬ কোটি মানুষের এই দেশটাকে অচল করে দিয়েন না। এরা নেতাও না খেতাও না। কয়েকটা পতঙ্গ মাত্র। এদের শাস্তির জন্য এত বিশাল সমাবেশন খুবই লজ্জার। এত বিশাল সমাবেশ হবে শুধুমাত্র গোলাম আযমের মত নেতাদের শাস্তির দাবীতে।

* দশ-বিশটা লেখার কারণ, হেফাজতে ইসলামের প্রকাশিত বিশাল লিস্টের সবাই "ধর্ম অবমাননা কারী" নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫২
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×