somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পহেলা বৈশাখের দিনে রমনা এলাকায় অর্জিত জ্ঞান থেকে বলছি।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৪ এপ্রিল,২০১৫ বাংলা ১৪২২ খ্রিঃ এর প্রথমদিন সারাদেশ জুড়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। সকল ধরণের নারী, পুরুষ, শিশু, যু্বক, বৃদ্ধ সকলেই আনন্দমুখর দিনটিকে উৎযাপন করতে রমনা বটমূল সহ আসে পাসের এলাকায় অবস্থান করে। উক্ত দিনটিকে উদযাপনের জন্য বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রমনা বটমুল সহ আসে পাসের এলাকায়। সকল ধরণের লোকজনই তা উপভোগ করেন।

আমি সেদিন দুপুরে পায়ে হেটে রামপুরা থেকে মৎসভবনের কাছে পৌছি। পায়ে হেটে যাওয়ার কারণ মূলত সবাই যানেন। সেখান থেকে সামনের দিকে যাওয়ার সাহস হচ্ছিলনা। বাশির শব্দ, হইচই, গরম সব মিলিয়ে আমার বমি আসছিল। সাতে একটা ফ্রেন্ড ছিলো ওর অনুরোধে সামনে এগুতে থাকলাম কোথাও কোন দাড়ানোর যায়গা নেই। এত লোকজন এত শব্দ এত গরম। সব মিলিয়ে এক আজব যায়গায় পরিনত হলো রমনা, সরোয়ার্দি উদ্যান, টিএসসি, শাহবাগ এলাকা। শাহবাগ এলাকা মৎস ভবন এলাকায় আমরা সব সময়ই দেখি জ্যম লেগে থাকে সেখানে সেদিন গাড়ি তো দুরের কথা লোকজনের ভিরে কোথাও দাড়ানো দায়। দেয়াল টপকিয়ে সরোয়ার্দি উদ্যানে ডুকলাম টার্গেট ছিলো টিএসসিতে যাবো। কিন্তু উদ্যানের ভিতরও তো আরো খারাপ অবস্থা। কোন ভাবে আবার উদ্যানের দেয়াল টপকিয়ে মসজিদ গেটের অপরদিক দিয়ে বের হলাম। সেখানে আমার কাছে মনে হলো মানুষের ফ্যাক্টরী, মানুষ গুলে গিজ গিজ করছে। সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম দুজনে। যতখন পর্যন্ত আমি লোকজন গুলোকে দেখেছি ততখন নিজের কাছে মনে হলো। সবাই আজকে উপভোগ করছে আর আমি শুধু বোরিং ফিল করছি। সবার মুখেই হাসি ছিলো। বিভিন্ন ধরণের লোকজন এসেছেন শেখানে। কেউ সন্তান নিয়ে, কেউ বোন নিয়ে, কেউ ভাই নিয়ে, কেউ ফ্রেন্ড নিয়ে, কেউ স্ত্রি নিয়ে, কেউ বয় ফ্রেন্ড নিয়ে আবার কেউ এসেছেন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে। সবার মুখে হাসি পে পু বাশির শব্দ। উদ্যানের টিএসসি সংলগ্ন গেটে অনেক গুলো পুলিশ সদস্যদের দেখলাম তারাও খুব উৎফুল্ল। সম্ভবত তারাও সবার সাথে উপভোগ করছেন বৈশাখী আমেজ। এতো ভির মারিয়ে সামনের দিকে যেতে, নিজেকে উৎসাহিত করলাম না। এবার খুজতে থাকলাম কোথায় একটু খালি যায়গা পাওয়া যায় সেখানে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিবো এবং ঠান্ডা কিছু খাবো। শেষ পর্যন্ত পেয়েও গেলাম মহসিন হল আর এফ রহমান হলের পাসের মাঠে। বসলাম কিছুক্ষণ একটু ঠান্ডা পানি খেলাম। কিছু ফ্রেন্ডদের ফোনদিয়ে শেখানে নিলাম এবং সবাই মিলে গল্প করতে করতে সময় রাত ১০টা তখন বাসার দিকে রওয়ানা দিলাম। :):):):):):):):):):)
উক্ত দিনে আমি সারা রাস্তায় যা দেখলাম, তাতে তেমন খারাপ কিছু চোখে পরেনি। :|:|:|:|:|
আর যেভাবে লোক জনের জটলা ছিলো তাতে জদি কোন মেয়ে বা ছেলে নিজে নিজের নিরাপত্তা দিতে না পারে তার সেখানে যাওয়া আর জটলার ভিতর প্রবেশ করা তা ইচ্ছাকৃত আক্রমনের স্বিকারের সামিল। আমরা সবাই জানি যেখানে লোকজনের জটলা থাকবে সেখানে জামেলা হবেই। ওই ভিকটিম মেয়ে গুলো অবশ্যই দেখেছে যে ওখানে অনেক লোক এবং সে একা অথবা তার কাছে তেমন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তারপরেও কিভাবে সে ভীর ঠেলে এগিয়ে গেলো? সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলতে যা ছিলো তা কিছু কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশ যারা ছিলো তারা সকলের মতো উপভোগ করছিলো।
লাঞ্চিত হওয়া নারীগুলোকে আমি একধরণের বোকা বলবো। তাদের লাঞ্চিত করা লোকদের এতো লোকের ভীরে খুজে পাওয়াও অনেক কঠিন বিষয় হয়ে দাড়াবে।

যদিও কিছু নারীকে বিবস্র করা হয়েছে ওখানে, পরবর্তি যে কোন অনুষ্ঠানে যদি কোন এ ধরণের পরিস্তিতির স্বিকার হোন কোন নারী। তাহলে তারা অবশ্যই নিজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেই দেবেন। পরনির্ভরশীলতা পরিহার করে একা একা চলতে শিখুন।:((:((:((:((:((:((

(আহাদ)
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×