আমরা কিছুদিন আগে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান স্থল রমনা ও টিএসসি এলাকার কিছু ঘটনার পর ফেসবুক, টুইটার, পেপার পত্রিকা, টিভি মিডিয়াতে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। অনেকে আছেন যারা ফেসবুকে মেয়ে-ছেলেরা জগড়ায় ও মেতে উঠেছে। এসবের একমাত্র কারণ সেই টিএসসির ঘটনা। কিছু কিছু নারী এবং কিছু পুরুষ নামের নারী টেলিভিশন পর্দায় সাধারণ লোকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য লোক দেখানো বড় বড় কথা বলছি। এমন ভাবে কথা বলছেন যে, উনিও একজন নারী সংগ্রামে নিয়োযিত কর্মি। আমাদের এই স্বাধিন বাংলাদেশের প্রতিটি লোকই একাত্তরের পর থেকে স্বাধীন। কিন্তু সেই চেতনাশীল নারীবাদিরা ভূলে গেছেন যে, এক সূত্র সব অংকে প্রয়োগ করা যায় না ! তারা সর্বদা বলে বেরাচ্ছেন যে নারী অধিকার নেই। পুরুষের মত নারীদের ও চলতে দিতে হবে অমুক তেমুক ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব কথা ইন্ডিয়ায় মানায় বাংলাদেশে মানায় না কেননা বাংলাদেশে চাকরীর ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধীকার। বাসে নারীদের অগ্রাধীকার। আইনের বেলায় নারীদের অগ্রাধীকার। আরো অনেক অনেক যা এখন আমার মনে পরছে না। আমরা সকলেই দেখতে পাচ্ছি আমাদের ২জন প্রধানমন্ত্রী একজন স্পিকার সহ অসংখ্য নারী এমপি মন্ত্রী রয়েছেন। এরা সকলেই জনগণের ভোটে নির্বাচীত। জদি এদেশে নারীদের অগ্রাধিকার না দিতো তারা কি ভোটে দারাতে পারতেন ? এবং জয়ি হতে পারতেন?
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, কেউ কিন্তু একবার ও বলেননা যে অ-সংযত নারীদের সংযত হয়ে চলতে হবে। নারীদের কাপড়গুলোতে একটু পরুসিকতা ছারতে হবে? না কেউ বলবেন ও না কেননা তাহলে আপনারা নারীদের আস্থাবাজন অর্জনে ব্যর্থ হবেন। আর যারা নারী আছেন তারা হয়তোবা জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হবেন এইতো? টি এস সি এর মতো স্থানে যে ঘটনা গুলো হয়েছে তার চেয়েও বেশি ঘটনা ঘটে থাকে পর্দার আড়ালে অথবা বাড়িতে বসে নারী দ্বারা পুরুষের উপর অথবা পুরুষ দ্বারা নারীদের উপর। আবার পুরুষরা সেটা বলতেও লজ্জাকর মনে করেন। তা আমরা দেখিনা যানিও না। কারণ সেখানে সাংবাদিকদের ক্যমেরা প্রবেশের অনুমতি নেই। আর জদি কোন সাংবাদিক সাহস করে ডুকেছেন তো, তাহলে তার উপর চলে আসে রাজনৈতিক রেডিয়েশন। সেই রেডিয়েশনের ভয়ে অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা একটু দুরে থাকেন। টিএসসির ঘটনাটিকে ওই নারীর জীবনে একটি দূঘটনা বললে ভূল হবেনা। নারী জাতি আমাদের এ বাংলাদেশে শুধু সমান অধিকারই পাচ্ছেন না, তার চেয়েও বেশি তারা আমাদের কাছ থেকে সন্মান এবং অধিকার দুইটাই পাচ্ছেন। সব কথার শেষ কথাহলো, যে সব নারীরা সর্বদা পরনির্ভরশীল তারাই রাস্তায় গিয়ে ডিজিটাল যুগ/ ওয়েস্টার্ন স্টাইল দাবীকরে হাফ হাফ কাপড় গায়ে জড়িয়ে পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অধিকার অধিকার বলে আত্নচিৎকার করেন। আর পুরুষের দোষত্রুটি নিয়ে মাখামাখি করেন। আপনাদের মনে রাখা উচিত পুরুষরা জদি প্রাচীন কাল থেকে নারীদের প্রতি সচেতন না হতেন, তাহলে নারীরা বর্তমানযুগের বাংলাদেশে এভাবে অধিষ্ঠিত হতে পারতেননা। এ সকল কথা গুলোর মাধ্যমে আমি বলতে চাই যে, প্রতিটা নারী জাতি যেমন পুরুষহীন ভাবে থাকতে পারেনা, ঠিক তেমনি প্রতিটা পুরুষ ও নারী ছারা অর্থহীন। তাই এতসব পুরুষ বিদ্বেশী কথা না বলে আমরা আমাদের পরিবার থেকে আমাদের প্রজন্মকে শিক্ষাদিতে শুরু করি যে নারীদের সাথে কি ব্যবহার করতে হবে এবং নারীরা পুরুষদের সাথে কি ধরণের ব্যবহার করবে। সামাজিক ভাবে প্রয়োজনীয় কালচার অনুযায়ী উপযুক্ত পোষাক পরিধান করার মানষিকতা শিক্ষা দেই। এভাবে পরিবার থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এক সময় টিএসসির মতো অঘটন বিলীন হয়ে যাবে।
(সম্পূন্ন নিজস্ব দৃষ্টি থেকে বলা)