somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজব শহরের চিটিং বনাম লোকাল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা শহর বাস্ববেই একটি আজব শহর। এটি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বাণিজ্যকেন্দ্র। এখানে ৩ কোটি লোকের বেসি বাস করে। বেসরকারি এক হিসেব বলছে ঢাকা শহরের প্রায় এক কোটি মানুষ প্রতিদিন কোন না কোন কাজে রাস্তায় বের হন। যাদের মধ্যে মাত্র ৪-৫শতাংশ মানুষ ব্যাবহার করেন ব্যাক্তিগত গাড়ি। আর তাদের দখলে থাকে নগরীর ৮০ শতাংশ রাস্তা। আর বাকি ৯৫ শতাংশ মানুষ ব্যাবহার করেন গণপরিবহন যাদের দখলে থাকে কিনা মাত্র ২০ শতাংশ রাস্তা। ২০১২ সালের নিবন্ধন অনুযায়ী ঢাকায় প্রায় ৩কোটি প্রাইভেট গাড়ি চলে আর অনিবন্ধিত প্রাইভেট গাড়ির কথা না হয় নাই বল্লাম। গণপরিবহণের সংখ্যা খুবই কম যার মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ১-১.৫০ কোটি লোকের দৈনন্দিন যাতায়াত। এত অল্প সংখ্যাক বাহনে এতবেসি সংখ্যাক জনগণের চলাফেরা বাস্ববেই খুব কঠিন। দৈনিক প্রতিযোগীতা ভিত্তিতে জীবন ও জীবিকার তাগিদে যানবাহনে যাতায়াত করতে হয় প্রতিটি মানুষকে।
প্রতিনিয়ত গ্রামের লোকজন যে করেই হোক ঢাকার উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছে।

তার পরেও যদি থাকে সিটিং সার্ভিস নামের যানবাহন যেখানে নির্দিশ্ট সংখ্যাক লোকজন বেসি অর্থের মাধ্যমে যাতায়ত করবে। তাহলেতো দরিদ্র জনগোষ্টির ভোগান্তি আরো বাড়বে। সরকার বাস/মিনিবাসের ভাড়া কিঃমিঃ প্রতি নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও সিটিং সার্ভিসের নাম করে পরিবহন মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছে দেরগুন থেকে দ্বিগুন অর্থ। কিছুদিন পর সেই সিটিং সার্ভিসও হয়ে যায় লোকাল সার্ভিস। যা মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। আমরাও অপ্রতুলতার কারণে সেই খাড়ার ঘা কেই মেনে নেই।

রাজধানীতে তুলনামূলক গণপরিবহন কমহওয়াতে জনগণ যতটাই ভোগান্তির স্বিকার তা আরো দ্বিগুন হয়ে দাড়ায় সিটিং সার্ভিসের কারণে।

কেননা যেখানে একটি সিটিং বাসে যদি ৫০ জন লোক যাতায়ত করতে পারে সেখানে একটি লোকাল বাসে ৭০ জন যাতায়ন করা সম্ভব। তার মানে যে সকল লোকজন যায়গার অভাবে বাসে উঠতে পারতোনা তারা লোকাল বাসে যায়গা করে নিতে পারছে। এভাবে ৫০ টি বাসে লোকাল সিস্টেম থাকলে অনেক লোকজন ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছে।
সরকার পরিবহন মালিকদের শুবিধার্থে স্টুডেন্টদের হাফভাড়ার বিষয়ে আইন করে না দিলেও মৌখিকভাবে হাফ ভাড়ার করা বলে দিয়েছেন। কিন্তু সিটিং/স্পেসাল/কমস্টোপেজ নামধারী বাসগুলোতে স্টুডেন্ট সুনলেই মনেহয় আকাশ থেকে পরছে। কোন মতেই তারা এসকল নামধারী বাসগুলোতে হাফ ভাড়া দেয়ার সাহস পায়না স্টুডেন্টরা।
সাধারণত লোকাল বাসেও হাফভাড়ার কথা সুনলে সামান্য কিছু কম অথবা পারলে পুরোটাই নিয়ে নেয়। তার উপর শুক্র/শনিবারের অযুহাত তো আছেই। এখন আমার প্রশ্নঃ স্টুডেন্টরা কোন ধরণের গণপরিবহনে হাফ ভাড়া দেবে? স্টুডেন্টরা কি শুক্র/শনিবার বাসা থেকে বেরহবেনা? আর হলেই কি তারা চাকুরিজীবি হয়ে যান?

সব মিলিয়ে ঢাকা শহরের গণপরিবহনকে দ্রুত লোকাল পরিবহনে রুপান্তর করে গণপরিবহণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ, স্টুডেন্টদের ন্যায্য ভাড়া দেয়ার সুযোগ করে প্রাইভেট পরিবহণে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করলে গণপরিবহনের ভোগান্তি অনেকটাই লাগব হবে বলে আমার বিশ্বাস।

আসুন আমরা সবাই একযোগে গণপরিবহণের লোকাল সিস্টেমটাকে স্বাগত যানাই এবং তা বাস্তবায়নে হাতে হাত মিলাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×