একজন মানুষ লেখে কেন ? এত কিছু থাকতে লেখালেখিতে তার প্রেম করার ইচ্ছে হয় কেন? সবাই তাকে লেখক অথবা কবি ডাকবে এ জন্য ? নাকি অন্যদের মত ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সে বড় হয় বলে, সে একজন লেখক হবে ? কিন্তু এমন উচ্চমার্গীয় স্বপ্ন কয়জনের মাঝে থাকে যে সে মা বাবার স্বপ্নগুলোর বলিদান করে একজন লেখক হতে চাইবে !
লেখক মানে অজান্তেই তার ভাবনায় এক বা একাদিক জীবন দর্শন থাকবে, স্বচ্ছ কাল্পনিক দৃশ্যপট থাকবে তার অদৃশ্য আয়নায়, নিজে রহস্য সৃষ্টি করে নিজেই তা ভেদ করতে না পারার অপারগতা থাকবে, নিজের বেখেয়ালে সে অনেক কিছুকেই ভালোবাসবে আবার অনেক কিছুকে করবে ঘৃণা, কারণে অকারণে অচেনাগুলো হবে আপন, চেনাগুলো আড়ালে থাকবে অথচ তারা অতি নিকটে অবস্থান করে, অনেকে তাকে পাগল বলবে কিন্তু পাগল শব্দটি শোনায় তার মধ্যে উৎফুল্ল ভাব থাকবে , লেখকরা নিজেরদের পাগল ভাবতে ভালোবাসে, কারণ তারা তাদের পাগলামীগুলো থেকেই অমূল্য সম্পদগুলো বের করে আনে ।
কিন্তু এমন লোভনীয় খাপছাড়া খাপছাড়া ইচ্ছেগুলো কয়জনের হৃদয়কে ধাবিত করতে সক্ষম হয় লেখক হওয়ার জন্য । এমন বহু লেখক আছে যারা অনেক কিছু লিখে ফেলেছেন এবং লিখে যাচ্ছেন, নিজেদের পাকাপোক্ত লেখক বলে দাবী করছেন । কিন্তু তাদের মধ্যে প্রকৃত লেখক স্বত্বাকে কয়জন ধারণ করে, কয়জনের হৃদয় সমূলে একজন লেখক হতে চায় ! সকলক্ষেত্রে নিজেকে স্রোতের বিপরীতে নিয়ে যেতে পারলেও লেখক হওয়ার ক্ষেত্রে যেন সেই স্রোত কয়েকগুণ বেশি ধারালো । এই ধারালো স্রোতকেও উপেক্ষা করে কেউ লেখক হতে পারলেও তার হৃদয়ের কাছে সে বেশ অপরাধী হয়েই রয় । কারণ হৃদয়েরও জীবন আছে, তারও ইচ্ছে অনিচ্ছে আছে, সে চায় তার মনিব তাকে মূল্যায়ন করুক। লেখক হওয়ার ক্ষেত্রে এ যেন বাধ্যতামূলক এক অলিখিত প্রধান শর্ত। তাই লেখক হওয়ার ক্ষেত্রে শুধু লেখক হয়ে যাওয়া নয় পাশাপাশি নিজস্ব স্বত্বাকেও লেখালেখি থেকে যথেষ্ট উষ্ণতা উপভোগ করাটা নিশ্চিত করতে হবে ।
*** ভাবনাগুলো নিজস্ব ঝুলি থেকে । অনেকের ভাবনা এর সাথে নাও মিলতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৮