উৎসর্গ- হাসান মাহবুব (হামা ভাই)
স্বাগতম, এই নিশুতিতে আকাশের মেঘগুলোকে
প্রহরের নবজাত আলো বেধ করতে চায় এই ঘরের জানালা
অজস্র ভোর পেরিয়ে গেল পরাজিত আলোর আক্ষেপে
নিষ্ক্রিয় সন্ধ্যায় আজও একটি দিকশূন্য প্রান্তর
যার বুকে শুয়ে আমি ভাবি, এই মধ্যম নিষ্কৃতির কারিগর কে ?
বহু বছর পেরিয়ে যাওয়া একটি শুকনো ঘাস কানের নিকট থেকে উত্তর দেয়, হয়তো তুমি !
হঠাৎ একটি পুরনো ঘরে চলে আসি আমি
আশেপাশে অনেকে হেঁটে যাচ্ছে আসছে, কেউ যাচ্ছে এদিক, কেউ যাচ্ছে ওদিক
আমি সোজা হয়ে, মাথা ঘুরিয়ে সব দেখছি
এই ঘরের দরজা অনেক, জানালা অনেক ।
তাই কারো প্রবেশ-প্রস্থানে হয় না কোন অসুবিধে
ঘরের কোন এক কোণে আমি দেখি আমাকে, হাসছি বইয়ে কী যেন পড়ে !
আহঃ কত মধুর আমার হাসি !
হঠাৎ কে যেন আমার বইটা কেড়ে নিয়ে দৌঁড় দিলো, আমিও তার পিঁছু পিঁছু দৌঁড়াচ্ছি
অতঃপর জানতে পারলাম বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে ছিলো প্রিয়সীর এক টুকরো হৃদয় !
এভাবে ঘরে বাইরে চলছে বিশুদ্ধ সম্পর্কের অদল বদল
আমি দেখছি, সব দেখছি, এ কোণ থেকে ও কোণ !
কে যেন বলে উঠলো, ওখানে থেমে যাও, আর এগিও না !
আমি ধোঁয়া হয়ে মিলিয়ে গেলাম
গায়ে হাত ভুলিয়েও নিজেকে ছুঁতে পারছি না আমি
সেই পুরনো শুকনো ঘাসের সান্নিধ্যে নিজেকে পেয়ে আমি হঠাৎ চমকে উঠি !
আমি আবারও শুয়ে শুয়ে নিশুতি আকাশের মেঘগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবি,
কী হয়েছিলো আমার ?
সেই পুরনো ঘাস এবার আমার কানে একটি কান্নার সুর বেঁধে দিলো
দৃশ্যপটের আর আকস্মিক কোন পরিবর্তন হলো না,
আমি এই কান্নাকে চিনি, খুব ভালো করে চিনি
এ হলো পৃথিবীর কান্না ।
কান্নার আওয়াজ যত বাড়ছে, ততই এই প্রান্তর আমাকে সংকুচিত করতে চাচ্ছে
তবে আমি এখনো টিকে আছি, পৃথিবীর এই কান্নাটুকু শোনার জন্য,
জানি না কেনো কান্নাটুকু আমার খুব মধুর লাগছে, মেঘগুলো গলে গলে বৃষ্টি পড়ছে, ভিজিয়ে দিচ্ছে এই দেহের আনাচকানাচ...
(উৎসর্গের শানে নজুল- কবিতাটা লিখার সময় মাথার মধ্যে হামা ভাইয়ের ''প্রলোভন এবং প্রায়শ্চিত্তের গল্প'' য়ের কাহিণীটা ঘুরপাক খাচ্ছিলো । তখন ভাবলাম এই থিম দিয়েই কবিতাটা লিখে ফেলি ! তবে কবিতাটা সফট কর্ণারের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছি । তাই হামা ভাইয়ের গল্পের থিমের সাথে কতটুকু মিললো আপাতত তা বলতে পারছি না!)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৮