আল-ফাহাম
সবাই আল-ফাহামের অর্ডার দিলাম, সাথে বেগুনের একটা কারি, চাটনি আর সালাদ। আমার আগের একটি লেখায় আল-ফাহাম খেতে না পারার কথা বলেছিলাম, কেমন যেন শুকনো রসহীন খাবার। তবে এখানকার রাইসটি ছিল দারুণ, পেটে ক্ষুধাও ছিল। এই প্রথমবারের মতো তৃপ্তি সহকারে আল-ফাহাম খেলাম। আল-ফাহাম সবসময়ই আদিল ভাই আর শম্পা ভাবীর সেরা খাবার। আল-ফাহাম খেতে খেতে আদিল ভাইয়ের স্বতঃস্ফুর্ত বকবকানি আর তৃপ্তির ঢেকুর রান্নাটি যে ভালো হয়েছে সে সমর্থনই দিল।
গাড়ীতে চলতে চলতে রেড সী’র খোলামেলা বাতাস অনুভব করছিলাম। জিজান পোর্ট, কিছু জাহাজ আর রেড সী’র পাশে জিজান ইউনিভার্সিটি’র কয়েকটি ক্যম্পাস নজরে আসলো। পোর্টের পাশে রেড সী’র তীরে কিছুক্ষণের জন্য থামলাম। এখানে কোন বীচ ছিলনা। তারপরেও আমাদের বেশ ভালো লাগছিল। ... সমুদ্রের গর্জন আর আমদের স্বতঃস্ফুর্ততা একাকার হয়ে গিয়েছিল।
রেড সী’র পাশে ...
বিকেল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল Shuqaiq Beach। তাড়াতাড়ি রওনা দিলাম। জিজান হতে ১ ঘন্টা’র পথ, রেড সী’র পাশে ছোট একটা বীচ। আবহা’র এত কাছে (আবহা থেকে ২ ঘন্টার ড্রাইভ)একটা বীচ আছে- আমরা আগে জানতামনা বলে আফসোস লাগলো।
শুকেইক বীচ ...
বীচটি দৈর্ঘ্যে সাকুল্যে ৫০০ মিটার হবে, প্রস্থে ১০ মিটার। তারপরও ভালো লাগলো। আমরা দৈড়ে পানিতে নামলাম, ঝাপাঝাপি করলাম। আমাদের সাথের মেয়েরাও বোরকা পড়েই পানিতে নামলো। সৌদিরা অবাক হয়ে দেখতে লাগলো। সৌদি মহিলাদের দেখলাম বোরকা পড়ে বীচের পাশে বসে আছে। হাজার ইচ্ছে আর আকুলতা থাকা স্বত্তেও তারা পানিতে নামতে পারবেনা। শুধুমাত্র অল্পবয়েসী কিছু ছেলে মেয়ে পানিতে নেমে আনন্দ করছিল। একজন কে দেখলাম বীচে’র বালিতে গর্ত করে শুয়ে আছে... সে কি হুমায়ুন আহমেদের বই পড়েছিল?
বালি থেরাপি ...
সানসেট ...
চমৎকার একটি সন্ধ্যা কাটিয়ে আবহা’র পথ ধরলাম। সবাই মনে মনে ভাবছিলাম- এখানে আবার আসতে হবে। (শেষ)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২০