গত ২৪.০৫.২০০৯ইং তারিখ সন্ধ্যায় টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের একটি অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ এর একটি লাইভ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে এটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা বির্তক তৈরী হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে সবচেয়ে বড় বোমাটি ফাটিয়েছেন ড. ইয়াজউদ্দিন সাহেবের স্ত্রী প্রফেসর আনোয়ারা বেগম। তিনি সাক্ষাৎকার প্রচারের পরদিন এক প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন তার শারিরীক ও মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীর সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। তাকে কৃষি ও শিক্ষার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ডেকে রাজনৈতিক প্রশ্ন করে বিব্রত করা হয়েছে। নিজ স্বাক্ষরিত পত্রে তিনি বলেন, ড. ইয়াজউদ্দিনের প্রাক্তন ছাত্র ড. কবির হোসেন তালুকদারের যোগসাজশে উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই সাক্ষাৎকারটি নেয়া হয়েছে।
যদি এটি সত্যি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা ভালো কাজ করেনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো তার স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ জেনেও তিনি কিভাবে তাকে টিভি অনুষ্ঠানে শিক্ষা বিষয়ক কথা বলার জন্য পাঠালেন। তবে কি প্রফেসর আনোয়ারা বেগম শিক্ষা বা কৃষি বিষয়টিকে এত তুচ্ছ ভাবেন যে তিনি মনে করেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন লোকও এ বিষয়ে বলতে পারেন ? কেবলমাত্র রাজনীতি কিংবা ১/১১ নিয়ে কথা বলার জন্যই মানসিক সুস্থতা দরকার?
সবচেয়ে সাংঘাতিক বিষয় হচ্ছে প্রফেসর আনোয়ারা বেগমের অভিযোগ পাওয়ার পর সাংবাদিকরা ড. ইয়াজউদ্দিন সাহেবের ব্যাক্তিগত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ইয়াজউদ্দিন সাহেব গত বেশ কিছু দিন থেকেই (নির্বাচনেরও ৭/৮ মাস আগে থেকেই অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়েই) মানসিকভাবে অসুস্থতায় ভুগছেন । কি সাংঘাতিক কথা! তার মানে আমাদের এ দেশটি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন লোক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। বিভিন্ন আদেশ, নির্দেশ, আইন, সিদ্ধান্ত সব মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তিনি দিয়েছিলেন?
হে প্রভু ক্ষমা কর!
এখন প্রশ্ন: ১. সংবিধান মোতাবেক একজন রাষ্ট্রপতি মানসিকভাবে অসুস্থ হলে তিনি কিছুতেই রাষ্ট্রপতি থাকতে পারেন না। ড. ইয়াজউদ্দিন কিভাবে ছিলেন?
২. মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় তাঁর দেয়া বিভিন্ন আদেশ নির্দেশগুলো অবৈধ হবে কি না?
৩. তারঁ মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি কারা কেন গোপন করেছিলেন? তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে কি না?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০০৯ রাত ৯:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




