ভয়ে ভয়ে পোস্ট করলাম ডাকচার দেখলে আমার ফোরটিন্থ জেনারেশন রেসকিউ না করলেও মাইন্ড করে ভম্বল দাস হয়ে পড়বে । ক্লাশ যখন শুরু হলো আমার সেকসনে কোন পরিচিত মুখ দেখলাম না । এভাবে চলল ৪ দিন । ৫ম দিনে দেখি আরে! এতো আমাদের পন্ডিত দা!(এফ সি তে পড়াশোনা নিয়ে খুব বেশি পন্ডিতি করত তাই এই নামকরণ করা) আমার ক্লাশের সামনে দিয়ে সিড়ি দিয়ে উঠে যাচ্ছে । যাক শান্তি পেলাম । পরে আরো অনেক পরিচিত মুখ দেখেছি । খুব ভালো এক বন্ধুকেও পেয়েছি ।
তো সেই পন্ডিত দা কে এক নতুন রুপে পেলাম "রেডিমেট ডাকচারার" । মানে হচ্ছে রেডিমেট ডাক্তার এবং লেকচারার । উনার আকুপ্রেশার এর উপর ভালো দক্ষতা (আমি আকুপ্রেশার কি জিনিস কিছুই বুঝিনা) । ক্লাশ শেষ করে বাসায় ফিরতে রাত ১০/১০.৩০ বেজে যায় । তাই ডাকচারার এর সাথে মগবাজার মোড় পর্যন্ত আসা। অনেক ভাল বোঝেন সব কিছু (তার মতে)। হেদু স্টাইলে (হেলে দুলে কথা বলার স্টাইল) কথা বলে নিজের পারদর্শিতার কথা জানান সবাইকে । উনার একটা ছেলে আছে, ছেলেটাও নাকি জুনিয়র অল পারদর্শি। উনি একটা কলেজের লেকচারার ছিলেন । এই বয়সে এখন সে আমাদের মতো প্রলাপ বকতে এসেছেন। কিন্তু এফসি এর মতো আর নাই । তার জ্ঞান এখন এতোই বিস্তৃত হয়েছে য়ে, পড়াশোনা চাপা পরে আকুপ্রেশার স্থান পেয়েছে । তার ভাষ্য "আমি জনসেবার জন্য চাকরি ছেড়ে সি এ পড়তে এসেছি। সেবাটা হচ্ছে সবাইকে আকুপ্রেশার সেবা দেওয়া ।" (সন্দিহান)
রাস্তা দিয়ে যখন আসি তখন উনার পকর পকর শুনতে কানের ১-১০০ টা বাজে । উনি যাকে দেখেন তাকেই তার রোগী মনে হয় । আমাকে বলে, রোগীদের সাথে কথা বলতে ।
আমি সর্বক্ষণ চুপ করে থাকি । সে বলে "কি ব্যাপার মিতু তুমি কিছু বলছ না কেন? " আমি বলি "ভাইয়া, মাথা ব্যাথা, কথা বলতে ইচ্ছে করছে না" রল্লাম কি আর শুরু হলো লেকচার ।
বড়ই ডেন্জারাস পজিশনে আছি । কানের কাছে সবসময় শুনতে শুনতে আমিও না জানি কবে এই রকম হয়ে যাই । ভাই ও বোনেরা সকলে আমার জন্য দোয়া করেন । সিএ হওয়ার ইচ্ছা । ডাকচারার হওয়ার ইচ্ছা নাই । ওমা ডাকচারার !!!!!!!!! কি ভয়ঙ্কর অবস্থা!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




