somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্নিগ্ধার আজ মেঘলা মেঘলা লাগে

০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্নিগ্ধার আজ মেঘলা মেঘলা লাগে। কারন দু বছরের বড় আনিস আহমেদ আজকে তাকে ছোট্ট এসএমএস দিয়েছে।
গোড়ার কথা, তখন আনিস আহমেদ দূর থেকে দেখতো কেবল, হয়তো তখন তার চোখের মনি আয়তনে বাড়তো, স্নিগ্ধা দুর থেকে তা বুঝার বৃথা চেষ্টা করেছিলো বটে। আরো প্রথম দিকে গেলে দেখা যেতো, আনিস আহমেদ কথা বলার সময় কপাল ও দুচোখ নিয়ে গঠিত কল্পিত ত্রিভুজ অঞ্চলে তাকিয়েই কেবল কথা বলতো। তখন স্নিগ্ধার নতুন চাকরী টেকানোর ভয়ে নার্ভাস বোধ হতো।

অতপর দ্রুতই অনিস আহমেদের দৃষ্টি নমিত হয়, ঠোট ও চিবুকের গঠনে কল্পিত উল্টো পিরামীডেই তার দৃষ্টি ঘোড়াফেরা করতো যখন তাদের মধ্যে কর্মীয় বিষয়াবলী ছাড়াও সামান্য অথবা বেশ খানিকটা বাক্যালাপ হতো।

স্নিগ্ধার মেঘলা মেঘলা লাগে। কারন মাত্র দুইদিন আগেই কর্মব্যাস্ত সকলের দৃষ্টির অগোচরে ফাইল ক্যাবিনেটের পাশে দাড়িয়ে চশমা ঠিক করতে করতে আনিস আহমেদ তার হাত ধরে শক্ত করে, স্নিগ্ধার কিঞ্চৎ ব্যাথা-ব্যাদ্না হয়। সে বিশ শতাংশ হাসি মাখানো কঠিন দৃষ্টি দেওয়ার সময় হাসির শতকরা পরিমান কমানোর প্রত্যয়ে ঐকীক নিয়মের আশ্রয় নিতে চেষ্টা করে খুব একটা সুবিধা করতে পারে নি। এবং চশমার বেঠিক স্থাপনার দরুন সেটি না দেখার ভান করার সুযোগ বুঝে নেয় আনিস আহমেদ।
সেইদিন বিকেলে যখন আবারো স্নিগ্ধা কে বিপরীত পাশ হতে অমনোযোগী হন্টনে দেখে আনিস আহমেদ, তখন সে আবারো চশমা ঠিক করার অভিনয়ে স্নিগ্ধার পাশ ঘেষে যায়, যখন স্নিগ্ধা, অনুধাবন করতঃ যে তার অমনোযোগের অভিনয় সফলতা পেয়েছে, চিন্তার দ্রুততার আশ্রয়ে নিজের স্ফিত স্তনের সহিত আনিস আহমেদের পোলিওনাশক টিক’র দাগ যুক্ত বাইছেপ পেশির ঘর্ষন ঘটায়।
স্নিগ্ধার মেঘলা লেগেছিলো গতকালো। তখন দেখেছিলো অপেক্ষাকৃত সুন্দরী শামিয়া কে আনিস আহমেদ চশমা পরিষ্কার করতে করতে দু ঠোট চোক্ষা করে ট্রেনিং দেওয়ার পাশাপাশি চশমা বিহীন চোখ দিয়ে শামিয়াকে অন্তঃস্বত্তা বানানোরে একটি প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছিলো। এই দৃশ্য সংঘটিত হওয়ার কালে স্নিগ্ধার স্তনযূগল অজানা অনুভূতিতে স্ফিত হয়ে উঠে এবং নাসিকায় হাঁচি স্বরুপ একটি সেনসেশন পয়দা হয়ে চক্ষু সজল হওয়ার মধ্য দিয়ে সেনসেশনটির সমাপ্তি ঘটে।

স্নিগ্ধার আজ মেঘলা মেঘলা লাগে। কারন দু বছরের বড় আনিস আহমেদ আজকে তাকে ছোট্ট এসএমএস দিয়েছে।
সে লিখেছে, “ওকে...”
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×