somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাবলিক বনাম সরকার আর ডক্টরস ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুত্র ১ ঃ
কিছু দিন আগে আম্মুকে নিয়ে সরকারি হসপিটালে গেছিলাম। আম্মুর পায়ের হাড়ে একটু সম্যসা ।
টিকেট কেটে আম্মুকে ডক্টরের চেম্বারে ঢুকিয়ে দিয়ে আমি বাইরে অপেক্ষা করছি ।
মিনিট ৫ এক পর দেখি আম্মু চোলে এসেছে / আম্মুকে বললাম কি ব্যাপার এতো তাড়াতড়ি চলে আসলা যে ?

আম্মু ঃ এক মহিলা ডক্টর রুগি দেখছে । আর ব্যেয়াদপ ডক্টর টা ।
বললাম কি হয়েছে ?
আম্মু ঃ ডক্টর বলছে আপনাদের সামর্থ আছে আপনারা সরকারি হসপিটালে আসছেন কেনো । আপনারা প্রাইভেটে ডক্টর দেখান গিয়া । সরকারি হসপিটাল সুধু গরিবদের জন্য । আর আমকে যে অসুধ লিখে দিসে এগুলা একটাও কাজের না ।

কথা শুনে খুব রাগ হলো । জিদ করে আম্মু কে নিয়ে ঐ চেম্বারে কইফত নিতে যাচ্ছিলাম । কিন্তু আম্মুর জোরা জোরিতে আর যাওয়া হলো না ।

এটা তো আমার ব্যক্তি গত সম্যসা । ঐ দিন আমি গেছি ১১ টাই । আমরা যে ডক্টর দেখাবো আসলে তিনি তখনো আসেনি । তিনি নাকি মিটিঙ্গে আছেন ।
পরে সোনোতে গেলাম ঐ ডক্টরের চেম্বারে । ১১ ;৩০ তখন । দেখলাম ডক্টর সরকারি চেম্বারে না এসে ওনি সোনোতে রুগি দেখছেন । পরে ওখানে ৪০০ টাকা ফি দিয়ে ডক্টর দেখিয়েছিলাম ।

শুধু মাত্র এই একটা ডক্টর না এরকম প্রায় হসপিটালে এই একই কাহিনি । কারণ অল্প টাকাই তো ডক্টর ফ্যমিলির সংসার চলে না ।

আসল কাহিনি হলো যখন যে দল ক্ষ্মতায় থাকে সে দলের খুচরা নেতা গুলো ওলিতে গোলিতে ডায়গন্সটিক সেন্টার খুলে বসে থাকে । আর বেশি মুনাফার জন্য আমাদের সোনার ছেলেরা সরকারি হসপিটালে প্রেকটিস বাদ দিয়ে বেসরকারিতে করেন প্রেকটিস ।

যখন যে দলই ক্ষমতাই আসুকনা কেনো , সরকারি লাথি পাবলিকের খেতেই হয় ।
সরকার কখনই এ বিষয় গুলো ক্ষতিয়ে দেখেনা । পত্রিকায় বরাবরই হসপিটাল গুলোর প্রবলেম নিয়ে প্রতিবেন করে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চুরান্ত পদ্যক্ষেপ নেওয়াই হয়নি ।
অন্য দিকে সরকারি হসপিটালের বুয়া / পিয়ন রুগি দেখে । এরাই তখন ডক্টর ।

সুত্র ২য় ঃ ]]

ইর্মাজেন্সিতে ফ্রেন্ডকে ভর্তি করেছি । কিছু ঔষধ লাগবে হাতে লিষ্ট ধরিয়ে দিলেন আর বললেন সত্ততা ফার্মেসি থেকে ঔষধ নিবেন । বললাম কেনো অন্য কথাও থেকে যদি নিই ?
উত্তর দিলো ঃ এতো বেশি বুঝেন কেনো যেটা বলছি সেটা করেন , নাহলে আপনাদের পেসেন্টের ট্রিটমেন্ট আমরা করতে পারবো না।

এই ডাক্তার নামে মানুষ গুলো টাকা ছাড়া কিছু বুঝেনা । এরা প্রেসক্রিপশন এ টাকার বিনিময় অখ্যত কম্পানির ঔষধ লিখে আবার ফার্মেসি থেকেও কমিশন খায় ।
এরা নাকি আবার জনগনের সেবাই নিয়জিত । X((

আবার হসপিটালের নার্স তিনারা সারাক্ষন সাজুগুজুতে ব্যাস্ত থাকেন । :P পেসেন্ট যদি ডাকে নার্স্ কে তো ১ বারের যাইগাই ২ই বার হলে তিনারা বিরুক্ত হন ।
আর অফিস করতে তো আসেন ১১ টাই । X(

খুব কনফিউজড এই ভেবে যে সরকার এগুলো চোখে দেখে না । ভোগান্তিটা পাবলিকের সারা জিবন থেকেই যাই । ডাক্তার আর সরকার দুটোই জনগনের সেবক । কিন্তু দুইটাই জোক । টাকার জোক একটা পিছন দিয়া খায় আর একটাকে সামনে দিয়া খাওয়াই ।
আমাদের দেশের মানুষের এখন খুব নিতির অভাব বলতে পারেন কিছুটা সার্থপর ।
দিনে দিনে প্রসাশন ব্যবস্থা ডাস্টবিনের মত হয়ে যাচ্ছে ।

বিঃ দ্রঃ – হাতের ৫ টা আংগুল সমান না । ;)
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×