সুত্র ১ ঃ
কিছু দিন আগে আম্মুকে নিয়ে সরকারি হসপিটালে গেছিলাম। আম্মুর পায়ের হাড়ে একটু সম্যসা ।
টিকেট কেটে আম্মুকে ডক্টরের চেম্বারে ঢুকিয়ে দিয়ে আমি বাইরে অপেক্ষা করছি ।
মিনিট ৫ এক পর দেখি আম্মু চোলে এসেছে / আম্মুকে বললাম কি ব্যাপার এতো তাড়াতড়ি চলে আসলা যে ?
আম্মু ঃ এক মহিলা ডক্টর রুগি দেখছে । আর ব্যেয়াদপ ডক্টর টা ।
বললাম কি হয়েছে ?
আম্মু ঃ ডক্টর বলছে আপনাদের সামর্থ আছে আপনারা সরকারি হসপিটালে আসছেন কেনো । আপনারা প্রাইভেটে ডক্টর দেখান গিয়া । সরকারি হসপিটাল সুধু গরিবদের জন্য । আর আমকে যে অসুধ লিখে দিসে এগুলা একটাও কাজের না ।
কথা শুনে খুব রাগ হলো । জিদ করে আম্মু কে নিয়ে ঐ চেম্বারে কইফত নিতে যাচ্ছিলাম । কিন্তু আম্মুর জোরা জোরিতে আর যাওয়া হলো না ।
এটা তো আমার ব্যক্তি গত সম্যসা । ঐ দিন আমি গেছি ১১ টাই । আমরা যে ডক্টর দেখাবো আসলে তিনি তখনো আসেনি । তিনি নাকি মিটিঙ্গে আছেন ।
পরে সোনোতে গেলাম ঐ ডক্টরের চেম্বারে । ১১ ;৩০ তখন । দেখলাম ডক্টর সরকারি চেম্বারে না এসে ওনি সোনোতে রুগি দেখছেন । পরে ওখানে ৪০০ টাকা ফি দিয়ে ডক্টর দেখিয়েছিলাম ।
শুধু মাত্র এই একটা ডক্টর না এরকম প্রায় হসপিটালে এই একই কাহিনি । কারণ অল্প টাকাই তো ডক্টর ফ্যমিলির সংসার চলে না ।
আসল কাহিনি হলো যখন যে দল ক্ষ্মতায় থাকে সে দলের খুচরা নেতা গুলো ওলিতে গোলিতে ডায়গন্সটিক সেন্টার খুলে বসে থাকে । আর বেশি মুনাফার জন্য আমাদের সোনার ছেলেরা সরকারি হসপিটালে প্রেকটিস বাদ দিয়ে বেসরকারিতে করেন প্রেকটিস ।
যখন যে দলই ক্ষমতাই আসুকনা কেনো , সরকারি লাথি পাবলিকের খেতেই হয় ।
সরকার কখনই এ বিষয় গুলো ক্ষতিয়ে দেখেনা । পত্রিকায় বরাবরই হসপিটাল গুলোর প্রবলেম নিয়ে প্রতিবেন করে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চুরান্ত পদ্যক্ষেপ নেওয়াই হয়নি ।
অন্য দিকে সরকারি হসপিটালের বুয়া / পিয়ন রুগি দেখে । এরাই তখন ডক্টর ।
সুত্র ২য় ঃ ]]
ইর্মাজেন্সিতে ফ্রেন্ডকে ভর্তি করেছি । কিছু ঔষধ লাগবে হাতে লিষ্ট ধরিয়ে দিলেন আর বললেন সত্ততা ফার্মেসি থেকে ঔষধ নিবেন । বললাম কেনো অন্য কথাও থেকে যদি নিই ?
উত্তর দিলো ঃ এতো বেশি বুঝেন কেনো যেটা বলছি সেটা করেন , নাহলে আপনাদের পেসেন্টের ট্রিটমেন্ট আমরা করতে পারবো না।
এই ডাক্তার নামে মানুষ গুলো টাকা ছাড়া কিছু বুঝেনা । এরা প্রেসক্রিপশন এ টাকার বিনিময় অখ্যত কম্পানির ঔষধ লিখে আবার ফার্মেসি থেকেও কমিশন খায় ।
এরা নাকি আবার জনগনের সেবাই নিয়জিত ।
আবার হসপিটালের নার্স তিনারা সারাক্ষন সাজুগুজুতে ব্যাস্ত থাকেন । পেসেন্ট যদি ডাকে নার্স্ কে তো ১ বারের যাইগাই ২ই বার হলে তিনারা বিরুক্ত হন ।
আর অফিস করতে তো আসেন ১১ টাই ।
খুব কনফিউজড এই ভেবে যে সরকার এগুলো চোখে দেখে না । ভোগান্তিটা পাবলিকের সারা জিবন থেকেই যাই । ডাক্তার আর সরকার দুটোই জনগনের সেবক । কিন্তু দুইটাই জোক । টাকার জোক একটা পিছন দিয়া খায় আর একটাকে সামনে দিয়া খাওয়াই ।
আমাদের দেশের মানুষের এখন খুব নিতির অভাব বলতে পারেন কিছুটা সার্থপর ।
দিনে দিনে প্রসাশন ব্যবস্থা ডাস্টবিনের মত হয়ে যাচ্ছে ।
বিঃ দ্রঃ – হাতের ৫ টা আংগুল সমান না ।