আমরা কিছু কিছু মানুষ গন দিন দিন মনে হয় শিক্ষিত পাগল হয়ে যাচ্ছি। কারন যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখবেন যে, রাজনৈতিক লেয়াজু বা রাজনৈতিক তদবির। অলরেডি এই তদবির এখন প্রায়ই সর্বোচ্চ বিচারের আদালতেও প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে। প্রমান হল রাজনৈতিক বিবেচনায় ফাসির আসামিরাও ক্ষমা পাচ্ছে।
প্রথমেই বলি যে, রাজনীতি মানে কি? রাজার নীতি, নাকি নীতির রাজা। আমরা যেটাই বলিনা কেন আমাদেরকে বুঝতে হবে যে,
রাজনীতি মানে কি?
কেন রাজনীতি দরকার?
কাদের রাজনীতি করা উচিত?
রাজনীতির প্রয়োগ কোথায় কোথায় হবে?
বিচারের উর্ধ্বে রাজনীতি নাকি রাজনীতির উর্ধ্বে বিচার কার্য?
আমাদের দেশে যারা রাজনীতি করে তারা মনে হয় অনেকেই তাদের মনুষ্যত্ব হারিয়ে বা জ্ঞান হারিয়ে বা টাকার গরমে নিজেদের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে জনসম্মুখে বিভিন্ন ভাষন দিয়ে থাকে। দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয় যাদের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা দেশের সমাজ এবং জাতি, তারাই যদি এসব নির্বোধ ধরনের কথা বলে থাকে জাতির কাছে, তাহলে জাতির ভবিষ্যত যে কি হবে তা ভাবতেই আমাদের সুস্থ মানুষদের হয়ত অনেক কষ্ট করতে হবে বা আফসোস করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে গেছে এটা আমাদের কাছে অহংকার বা গর্বের বিষয়। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর সম্মান কি সত্যিই রাখতে পারতেছি। এইসব থেকে আমরা বাঙালি জাতি কি খুব সহজেই মুক্তি পাব ? নাকি আমাদের বাঙালি জাতিকে আরও অসুস্থ বা নষ্টামিগুলোকে সহ্য করতে হবে।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানিত ব্যাক্তির বক্তব্যটি পড়ুন-
ছাত্রলীগ করাই চাকরির বড় যোগ্যতা
যোগ্যতা ছাড়াই ছাত্রলীগের প্রত্যেক কর্মীকে চাকরি দিতে বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সরকার-সমর্থক নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল আজিজ। রসায়ন বিভাগের এই শিক্ষক বলেছেন, ছাত্রলীগ করাই তাঁদের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা।
বঙ্গবন্ধুর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আজিজ বলেন, ‘সাধারণত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমন্ত্রিত অতিথির কাছে বিভিন্ন দাবি করেন। কিন্তু আজ তাঁদের পক্ষ থেকে আমিই ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে তিনি ছাত্রলীগের ‘থার্ড ক্লাস’ পাওয়া এক নেতার জন্য এক মন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যাঁরা দলের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাঁদের ভালো ফলাফলের প্রয়োজন নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর তাঁর দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, ছাত্রলীগের প্রত্যেকে অবশ্যই চাকরি পাবেন। তবে সেটা তাঁর মেধা, প্রতিভা ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জোরে পাবেন; কারও অনুকম্পা বা করুণায় নয়।
বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বায়তুল্লাহ কাদেরী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ।
লিংক
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫