ব্লগে আমরা প্রায়ই বলি অফ যা অথবা বিজি আছি পরে আহেন। একজন সংসদ সদস্রকে অফ যা বলাটায় দৃষ্টতা মনে করছি তাই শ্রদ্ধার সাথেই বলছি রাশেদ খান মেনন প্লিজ স্টপ নাউ।
কার্ল মার্কসের মতবাদে বিশ্বাসী বাংলাদেশের বামদের অগ্রদূত ছিলো রাশেদ খান মেনন। যদিও উনার ইদানিং আচরণে এটা নিশ্চিত যে, উনি শিয়াল হয়ে আসলে বাঘের চামড়া পরে ছিলো। লক্ষ্য করুন আমি কিন্তু শিয়াল বলেছি গাধা বা ছাগল বলিনি। কারন রাশেদ খান মেনন শিয়ালের চেয়ে বেশী ধূর্ত।
তাই বাম রাজনীতির নীতি কথাগুলোকে পায়ে ঠেলে উনি নৌকা প্রতিক নিয়ে রমনা-মতিঝিল আসনের সংসদ সদস্য হোন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই উনার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের কথা শুনা যায়। ব্যবসায়ী নন কিন্তু গত দেড় বছরে উনি কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। সবচেয়ে আশংকাজনক কথা হলো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো শুরু করেছে এই বাম রাজনীতিবিদ।
শিক্ষা মন্ত্রাণালয় সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি হয়েছেন রাশেদ খান মেনন। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলের গভর্নমেন্ট বডির সভাপতিও হয়েছেন রাশেদ খান মেনন।
-> সভাপতি হয়েই ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলের ঐতিহ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা, মানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শুরুতেই শুরু করেছিলেন ভর্ত্তি বাণিজ্য।
-> এতোদিন ধরে যে ভর্ত্তি প্রশ্নপত্র তৈরী করছিলো শিক্ষকরা সেটা করেছেন এবার রাশেদ খান মেনন।
-> অভিযোগ আছে এবার ভর্ত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬৫ ভাগ এবং সভাপতি সহ সভাপতির চাটুকাররা মিলে বাকি ৩৫ ভাগ ভর্ত্তি করিয়েছেন।
-> রাশেদ খান মেনন এবং উনার সাঙ্গুপাঙ্গুরা শুরুতেই ৭১ টি ফরম নিয়ে যান এবং এদের সবাইকে ভর্ত্তি করা হয়।
-> পরবর্তিতে ১৩৫ জনের সুপারিশ পাঠানো হয় যাদেরকেও ভর্ত্তি করা হয়। ফলে প্রতি ক্লাসেই ২০-২২ জন নতুন ছাত্রী নেওয়া যায়।
সবচেয়ে আশংকাজনক ব্যপার হলো উনি সবকিছু মনমতো না করতে পারাই ৩০ বছর ধরে দায়িত্বপালনরত রোকেয়া আক্তারকে অব্যাহতি দেন এবং সকলের বাধাঁ, অনুরোধ উপেক্ষা করে শায়লা আহমেদকে অধ্যক্ষ বানান।
মতিঝিলের নামকরা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিও রাশেদ খান মেনন। সেখানে উনি সীমাহীন ভর্ত্তি বাণিজ্য করেছেন।
যা এই দুইটি প্রতিষ্টানের সুনামই ক্ষুন্ন করেনি, আগামীদিনের মেধাবীদের তাদের প্রাপ্য থেকে বাদও দেওয়া হয়েছে। জাতিকে মেধাহীন আর নিজের পকেটভারী করার এই সকল অপকর্ম বন্ধ করুন। আপনার বাম পরিচয় বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগেই এখন আপনি ডানদের চেয়ে ভয়াবহ রুপ ধারন করেছেন। জনগণের জানার অধিকার আছে জাতিকে মেধাহীন করার এই প্রচেষ্টায় আপনে কত কামিয়েছেন? সরকারের উচিত এই ছদ্মবেশী বামের মুখোশ খুলে দেওয়া এবং সুষ্ট তদন্ত করে বিচার করা। কিন্তু তারা কি সেটা করবে? কারন সাঙ্গুপাঙ্গু হিসাবে আছে যে আওয়ামীরই নেতারা!!