যুদ্ধ বিরোধী গান বলতেই আমরা বুঝি বব ডিলানের ব্লোইং ইন দ্যা উইন্ড বা স্কর্পিয়নের চেঞ্জ অব উইন্ড ।সেগুলো অসাধারন গান তবে আপ বিটের নয়।নাইনটি নাইন লাফট বেলুনস আমার শোনা অন্যতম সেরা একটি যুদ্ধ বিরোধী গান;আপ বিটের,মজার এবং একই সাথে অর্থপূর্ণ।
গানটি ১৯৮৩ সালের একটি চার্ট টপার গান।অস্ট্রেলিয়া,অস্ট্রিয়া,বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ড, জাপান, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি ১ নম্বর জায়গা করে নেয়।ইউএস বিলবোর্ড হট হান্ড্রেড এ ২ য় স্থান দখল করে নেয়।
নাইনটি নাইন লাফট বেলুনস শোনার সময় অবশ্যই সাবটাইটেল অন রাখবেন।নাহলে জার্মান লিরিকের মজাটুকু পাবেন না।
গানটি পশ্চিম জার্মানির ব্যান্ড নেনার ১৯৮৩ সালের সেল্ফ টাইটেল্ড এ্যালবামের একটি গান।ইউরোপ ও জাপানে মূল গানটির ব্যাপক সাফল্যের পর ১৯৮৪ সালে গীতিকার কেভিন ম্যাকএ্যালিয়া লিখিত নাইনটি নাইন রেড বেলুনস শিরোনামে গানটির ইংরেজী সংস্করন প্রকাশিত হয়।ইংরেজী গানটি মূল জার্মান গানের হুবাহু অনুবাদ নয় বরং কাব্যিক অনুবাদ এবং এর অর্থ সামান্য ভিন্ন।ইংরেজী সংস্করটি ইউএস চার্টে জায়গা করে নিতে পারেনি,যদিও জার্মান ভাষার গানটি নেনার একমাত্র ইউএস হিট হয়ে ওঠে।
গানের মূল বিষয় বস্তুঃ আমজনতার একজন গায়িকা তার বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে আকাশে ৯৯টি লাল বেলুন উড়ায়।ত্রুটিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা সেগুলোকে শত্রুদের বিমান বলে সনাক্ত করে,যার ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং আনবিক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।
শুরু থেকেই নেনা(আসল নামঃগাব্রিয়েল সুসান কার্নার) ও অনান্য ব্যান্ড মেম্বাররা গানটির ইংরেজী সংস্করন নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিলেন। দলের কি বোর্ডিস্ট ও সহ গীতিকার পিটারসেন বলেন,আমরা এখানে ভুল করে ফেলেছি।আমার মনে হয় গানটি অনুবাদে কিছু একটা হারিয়ে ফেলেছে এবং এমনকি গানটি খেলো শোনায়।এক সাক্ষাৎকারে নেনাসহ ব্যান্ডটি গানটির ইংরেজী সংস্করন নিয়ে মন্তব্য করেন,"পুরোপুরি সন্তোষজনক নয়" কারন নিজেদের বিপ্লবী ব্যান্ড হিসাবে দেখাতে ইচ্ছুক নয় এমন দলের জন্য এটা খুবই দৃষ্টি আকর্ষক।
কাইলি মেনোগে জার্মানির মেল্ট ফেস্টিভালে এই গানটি লাইভ পার্ফম করেছেন।
দ্যা ক্র্যানবেরিসের জম্বি গানটিও আমার খুব প্রিয় যুদ্ধবিরোধী গান।এই ফাকে শুনে নিতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২১ রাত ২:০২