মতি মিয়া খুব সাধারণ এক জন মানুষ। পেশায় একজন চাকুরীজীবী। তুখর এক লেখক ও সমালোচক। ছাত্র বয়স থেকেই লিখলিখিতে তাঁর হাতেখড়ি ছিল। প্রথম প্রথম লিখতেন সাধারণ বিষয়ে। এর পর সমালোচনামুলক। আস্তে আস্তে সমকালীন রাজনীতি ও নেতানেত্রীদের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে। পরে দেশের জাতীয় বিষয়গুলোগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনামুলক লিখা লিখতে শুরু করলেন। তাঁর লিখা পড়ে দেশে তাঁকে নিয়ে হৈহৈ রৈরৈ পড়ে গেল। সরকারী ও বিরোধী দল তাঁকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিল। কিন্তু মতি মিয়া সাফ জানিয়ে দিল, আমি দেশের স্বার্থ ছাড়া কোন দলের হয়ে লিখি না, আমি সুশীল আছি সেই ভাল। এর পর উভয় রাজনৈতিক দলের তিনি বিরাগভাজন হলেন। ফলে উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক দল বলতে শুরু করল। কিন্তু মতি মিয়া তাতে দমে যায়নি। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তাঁর সমালোচনামূলক লিখালিখি চলতে লাগল।
কিন্তু হঠাৎ মতি মিয়া উধাও। কোথাও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিরোধী দলের দাবী, সরকার তাঁকে গুম করেছে। অপর দিকে সরকারী দলের দাবী, বিরোধী দল তাঁকে লুকিয়ে রেখেছে। এই নিয়ে উভয় দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে তো চলছে। কিন্তু কেউ আর মতি মিয়াকে খুঁজছে না।
অবশেষে একদিন মতি মিয়াকে দেখা গেল কিন্তু ইহলোকে নয় স্বর্গে। দুই নেত্রী এই খবর শুনে বিচলত। তাঁরা তাঁকে দেখে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি ভাবে স্বর্গে গেলেন? মতি মিয়া প্রথমে কিছু বলল না। পরে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, এটা তো আমার চেয়ে আপনারা ভাল জানেন।
অনু গল্প
মোঃ জাহিদ হোসেন, চবি

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




