ছোটবেলার ঈদ আর বড়বেলার ঈদের মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক দেখা যায়। ঈদের আগের রাত মানেই ছিল নির্ঘুম রাত। কখন সকাল হবে। শুরু হবে ঈদ। সবার আগে গোসল করার প্রতিযোগিতা চলত। আমরা দলবেঁধে নেমে পড়তাম পুকুরে। হইচই করে কাটত ঈদের সকালটা। ঈদগাহে যাওয়ার তাড়াও কম ছিল না। সবার আগে না যেতে পারলে যেন ঈদটাই মাটি।
নতুন জামা পরে কে কার আগে যাবে সেই প্রতিযোগিতা চলত।
বয়সটা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঈদের সেই উচ্ছ্বাস কমে গেছে। নেই বাড়তি আনন্দ। স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার পরই গ্রাম ছেড়ে জেলা শহরে এসে পড়ি। সেখানে একটা মেসে থাকতাম, তখন খুব খারাপ লাগত। সারা দিনই আম্মা-আব্বার কথা মনে পড়ত। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ত দুপুর ও রাতে খাওয়ার সময়। খাবারগুলো আমার পেটে সহ্য হতো না। খেলেই বমি বমি ভাব হতো। মনে হতো এক্ষুনি বাড়ি চলে যাই। এখানে থাকলে আমি মরে যাব। কিন্তু আব্বা-আম্মাকে কষ্টের কথা বলতাম না। রাতে মাঝে মাঝেই আম্মাকে মনে পড়তো। তখন কল্পনা করতাম- বাসি বাসন নিয়ে আম্মা পকুরঘাটে যাচ্ছেন। খালি পা, গলা খালি। দূরে থেকেও আম্মার মুখভর্তি সুগন্ধি জর্দার পানের ঘ্রাণ নেয়ার চেষ্টা করতাম। জীবনের তাগিতে আমি এখন বাড়ি থেকে অনেক দূরে ইট পাথরের নগরী রাজধানীতে থাকি। আম্মাও এখন বয়সের ভারে অনেকটা ন্যুব্জ হয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর আদর, তাঁর হাতের রান্নার স্বাদ, তাঁর আঁচলে ভেজা মাটির গন্ধ, মুখে পানের ঘ্রান, সন্তানকে কাছে পাওয়ার সে যে কী আকুতি, এখনো আছে সেই আগের মতোই।
চাকুরীর খাতিরে গত বছর রমজানের ঈদে ঢাকায় ছিলাম। ঢাকায় ঈদ করতে যেয়ে নিজেকে বড়ই নিঃস্বঙ্গ মনে হয়েছে। নিজেক বড়ই একা মনে হয়েছে। ফাঁকা রাজধানীতে আপন বলতে কেউই ছিলো না। মন পড়ে থাকতো বাড়ির দিকে। যান্ত্রিক এ নগরীতে ঈদের বিন্দু মাত্র উৎসবও চোখে পড়েনি। আসলেই নাড়ির টানেই মানুষ ঈদ উদ্যাপন করতে বাড়িত ফিরে যায়।
এবারও আমার ঈদে বাড়ি যাওয়া হবে না। এই এক কঠিন বাস্তবতা। ঢাকায় ঈদ করতে যেয়ে আমি এখন ঈদের সকল স্মৃতিই ভুলে গেছি। বছরের অন্য দশদিন আর ঈদের দিন আমার জন্য একই। আমি হতাশা কিংবা হাহাকার বুঝি না। কারণ হৃদয়টা ব্যাকুল হয়ে আছে সৃষ্টির প্রসব বেদনায়। সেখানে প্রমোদ-উদ্যান না থাকুক, ভালোবাসা না থাকুক, থাকে না হারানোর ভয়। ছোট বেলার সেই স্মৃতি ও সুখের অনির্বাণ দিগন্ত উদ্বোধনে আমি আমরণ সংগ্রাম বুঝি, বুঝি নিদ্রাহীন রজনী। এভাবেই হয়তো ঈদের সেই সুখ আবিস্কারের নেশায় সংগ্রাম করে যেতে হবে। কিন্তু হারানো সুখ আর আসবে কিনা জানি না।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।