শীর্ষ নিউজ ডটকম জানায়, সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আমলাদের দুর্নীতি নিয়ে লেখার কারণে শীর্ষ নিউজ ডটকম এবং সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজের সম্পাদকসহ ১০ জন সাংবাদিকের নামে ইস্যু করা সকল এ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। গত ১৪ জুলাইয়ের ব্যাক ডেটে ১৭ জুলাই দিনের শেষে কার্ডগুলো বাতিল করা হয়। সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন-উর-রসিদ স্বাক্ষরিত এই বাতিল আদেশে কার্ডগুলো বাতিলের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। শীর্ষ নিউজ ডটকম এবং শীর্ষ কাগজ- প্রতিষ্ঠান দু'টির জন্য আলাদা আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, 'শীর্ষ নিউজ ডটকম-এর নিম্নবর্ণিত সাংবাদিকদের নামে ইস্যুকৃত এ্যাক্রেডিটেশন কার্ডগুলো বাতিল করা হলো'। শীর্ষ নিউজ ডটকমের ৮ জন সাংবাদিকের নাম এবং তাদের নামে ইস্যুকৃত কার্ডের নম্বর উল্লেখ করা হয়। সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজের ক্ষেত্রেও কোন কারণ উল্লেখ না করে একইভাবে সম্পাদকসহ দু'জনের কার্ড বাতিল করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে শীর্ষ নিউজ এবং শীর্ষ কাগজের সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের ওপর হুমকি, হামলার চেষ্টা এবং প্রতিষ্ঠান দু'টি বন্ধ করে দেয়ার যে প্রক্রিয়া চলছিলো তারই ধারাবাহিকতায় সংবাদপত্রের গলা টিপে ধরার নজিরবিহীন এই পদক্ষেপ নিলো সরকার।
শীর্ষ নিউজ আরো জানায়, শীর্ষ নিউজ ডটকম ও সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজ বন্ধ করার শ্লোগান সম্বলিত পোস্টার সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে টানানো হয়েছে। গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে শীর্ষ নিউজ ডটকম এবং সাপ্তাহিক শীর্ষ কাগজ সরকারের প্রভাবশালী মহলের ক্রমাগত হুমকি ও হামলার কারণে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছিলো। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস এবং এরপর পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নানা দুর্নীতি অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হওয়ায় এরা দু'জন চরমভাবে ক্ষেপে উঠেন। প্রকাশ্যে হুমকি দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সচিবালয়ের মধ্যেই শীর্ষ নিউজ ও শীর্ষ কাগজ সম্পাদক মো. একরামুল হকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা চালানো হয়। তারপর ১৭ জুলাই ঘটে সচিবালয়ে ব্যানার টানানোর ঘটনা। ওই একই দিনেই অফিস আওয়ারের শেষে শীর্ষ নিউজ ডটকম এবং শীর্ষ কাগজ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের এ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। যাতে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে ঢুকতে না পারেন এবং সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের দুর্নীতি নিয়ে লেখালেখি করতে না পারেন, সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রসিদ এ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে সম্পাদক মো. একরামুল হককে বলেছেন, সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশে তাকে এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এর বাইরে তার কিছুই করণীয় নেই। জানা গেছে, শীর্ষ নিউজ এবং শীর্ষ কাগজের গলা টিপে ধরার এই প্রক্রিয়ায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এদের মধ্যে পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর এপিএস ছাড়াও সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং পূর্তসচিবও রয়েছেন। পূর্তসচিব ড. শওকত হোসেন এসব প্রক্রিয়ার মূল দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনেরও এতে সমর্থন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার শীর্ষনিউজ ডটকমের সাইটে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা, পূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও সচিব, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রীর দুর্নীতি ও অনিয়ম সর্ম্পকে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




