somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন দিগন্ত

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আরিফের বাসায় দুইজন বাদে বাকি সবারই কেমন একটা থমথমে ভাব।সূর্য ডুবছে কিছুক্ষণ আগে।আরিফ নামাজ পড়া শেষ করে শিউলির পাশে এসে বসলো।ছয়জনের এই পরিবারে আরিফ আর শিউলিই একমাত্র স্বাভাবিক আর খুশি আছে।শিউলির কোলে সদ্য জন্ম নেয়া ৩দিন বয়সী ছেলে সন্তান শুয়ে ঘুমাচ্ছে।আরিফ সন্তানের মাথায় আলতো করে চুমু দিলো একটা।শিউলি আরিফকে বলল,তুমি একটু কোলে নেও;আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
আরিফের বাবা মা খুব কম আসে এই ঘরে।কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর তারা আসছে কিনা আরিফ তা দেখেনি।যদিও আরিফের মা দিনের কিছু সময় একটু পরপর এসে জিজ্ঞেস করে যায়,বউ কিছু লাগবে তোমার!লাগলে কও।
শিউলি “কিছু লাগবেনা” বলে দেয় আর উনি চলে যায়।শিউলি আরিফ,আরিফের বাবা-মা, ভাই-বোন সবাইর জীবনটাই এখন ভাসাভাসা।আরিফ আর শিউলির সাথে সবাইরই যেন কেমন একটা দায়ের সম্পর্ক।সংসারের হাল আরিফের হাতে,তাই সবাই আরিফকে সমীহ করে চলে।কিন্তু মনে মনে সবাই আরিফের উপর একটু নারাজ।আরিফ সেটা বুঝলেও কাওকে কিছু বলেনা।কারণ সে জানে তারমত করে সবাই বিষয়টাকে মাথায় ঢুকাতে পারেনি।
বছর এক আগের কথা।শিউলি আর রাজু বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে।তাদের পরিবারের কেও রাজি ছিলোনা এই বিয়ে নিয়ে।বিশেষ করে রাজুর পরিবার।কারণ রাজুদের সমাজে ভালো একটা জায়গা আছে,বাবার একই এলাকায় দুইটা পাঁচতলা বাড়ি।ঢাকা শহরে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে এরথেকে বেশি আর কি লাগে!সেই রাজু নিম্নবিত্ত পরিবারের শিউলির সাথে কীভাবে যেন সম্পর্কে জড়িয়ে গেলো।শিউলি দেখতে সুন্দর,চালচলনের মাধ্যমে কেও কখনো তার পরিবারকে ছোট করে দেখতে পারবেনা।যথেষ্ট শিক্ষিত।রাজু বেপরোয়া রকমের ছেলে ছিলো,প্রায়ই নেশা করত,উড়াধুরাভাবে বাইক চালাতো বলেই শিউলির পরিবার রাজুকে মেনে নিতে চায়নি।বরং একথা শুনে তারা শিউলির বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগে।রাজুও তার পরিবারকে মানাতে পারেনি এই শর্ট টাইমে।এরপর দুইজন পালিয়ে যায়।তাদের বিয়েতে স্বাক্ষী হিসেবে যেই দুইজনের নাম থাকে তাদেরই একজন হলো আরিফ।রাজুর ভালো বন্ধু,কিন্তু রাজুর মত না।লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী করছিল তখন আরিফ।
বিয়ের ছয়মাসের মাথায় রাজু বাইক একসিডেন্টে মারা গেলো।শিউলিকে শ্বশুরবাড়ি জায়গা দেয়া হলোনা।বরং অপবাদ দিলো।শিউলি আর রাজু দুইজনই পরিবার থেকে আলাদা থাকতো বিয়ের পর।
শিউলির পরিবার শিউলিকে জায়গা ঠিকই দিলো।পাঁচমাসের বাচ্চা পেটে তখন শিউলির।তাই পরিবার ফেলে দিলোনা হাজারো ক্ষোভ থাকার কারণে শিউলিকে।আরিফ প্রায়ই যেত শিউলিকে দেখতে তখন।শিউলির বাবা মা আরিফকে তেমন পছন্দ করতোনা।আরিফের সামনে বসে প্রায়ই নিজেরা তাকে শুনিয়ে শিউলিকে অভিশাপ দিতো বখাটে কাওকে বিয়ের জন্যে।আরিফকে বলতো,তোমরা বাচ্চা পোলাপাইনরা যদি নিজেরা পাকনামি না করতা তাইলে আর আমার মাইয়াডার এত্ত বড় সমস্যা হয়না।এমনিতে গরীবের মাইয়া।এখন জামাই নাই তার উপর পেট হইছে।কীভাবে থাকতো সারাজীবন!আরেকটা যে বিয়ে দিমু তারওতো অবস্থা নাই।
আরিফ শিউলির মায়ের কথা সবসময়ই বুঝতো।সে জানে শিউলির মায়ের কথাগুলো সত্য হলেও সেগুলো শিউলির মা না,তার আশেপাশে থাকা সমাজের মানুষগুলোর মুখের কথা।আরিফ তখন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ত।
একদিন বৃষ্টির রাতে আরিফ যেয়ে উপস্থিত হলো শিউলির বাসায়।শিউলি আরিফকে দেখে খানিকটা অবাক হলো।কারণ আরিফ ঢুকেই কেমন যেন অস্থির হতে থাকলো।সেদিন শিউলির বাবা মাকে সে শিউলিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলো।শিউলির বাবা আনোয়ার হোসেন আরিফকে কোনো এক কারণে খানিকটা পছন্দ করতেন।মাঝে মাঝে মনে হতো শিউলি এরকম একটা ছেলেকে পছন্দ করলে তারা কেও আপত্তি করতোনা।
আরিফের প্রস্তাবে কেও প্রথমে কিছু বললোনা।শিউলিও চুপ হয়ে রইলো।কারণ সে এই সিদ্ধান্তের ভার তার পরিবারকে দিতে চায়।আরিফ এরপর প্রায় রেগুলারই শিউলিদের বাসায় যাতায়াত শুরু করে দেয় ফলমূল নিয়ে।আজ এইটা কাল সেইটা।একসাথে থাকা বাধে শিউলির স্বামী থাকলে যা করতো তার সবটুকুই করতে থাকলো আরিফ।একদিন সে শিউলির বাবার সামনে বসে তাকে বলল,চাচা একটা কথা বলব যদি অনুমতি দেন।
শিউলির বাবা হেলানো চেয়ারে বসে চোখ বুঝে থেকেই বলল,বল।
আরিফ সাথে সাথেই বলল,আমি শিউলিকে নিয়ে একটু হাসপাতাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে আনতে চাই।
আনোয়ার হোসেন চোখ মেলে চাইল,তার সামনে বসা ফর্সা রঙের শার্ট প্যান্ট ইন করা একটা ছেলে হাসি হাসি মুখ নিয়ে তার কাছ থেকে উত্তর খুঁজছে।কি মনে করে তিনি আরিফকে বললেন,তোমার বাসার লোকদের আসতে বলো।তারা তোমাকে নিয়ে যেতে দিলে আমি বাধা দিবোনা।
আরিফ এই সময়ে এইরকম উত্তর আশা করেনি।কিন্তু কথাটা তার কাছে এত ভালো লেগেছে যে বলা অসম্ভব।আরিফ সেদিন শিউলিকে দেখে এত লজ্জা পেয়েছিলো যে!
আরিফ সারাটা পথ শুধু শিউলিকে নিয়ে ভাবলো।সজিউলিকে কীভাবে সে সেবা করবে,কীভাবে শিউলিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবে!শিউলিকে নিয়ে কয়েক জনমের অগ্রিম চিন্তা সে করে ফেলল।
সেদিন রাতে আরিফের বাসায় একটা বড়সড় ঝড় উঠলো।পরিবারের বড় ছেলে,শিক্ষিত,ভালো চাকুরী করে;এমন ছেলে যখন বিধবা একটা মেয়েকে বিয়ে করতে চায় তখন বাবা মায়ের মাথা ঠিক থাকাটা প্রায় অসম্ভব।তবুও আরিফ কিছুটা নিজের জোর খাটিয়েই তাদের শিউলির বাসায় আনে।ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হয়ে যায় আরিফ আর শিউলির।শিউলি আরিফের বউ হলেও,আরিফের বাবা মায়ের কাছে পুত্রবধূ হতে পারেনি।তাদের আরিফের বিয়ে নিয়ে এক্সপেক্টেশন খুব বেশিই ছিলো।অন্তত শিউলির মত কাওকে তারা কল্পনাও করেনি।
অন্যদিকে এই জিনিষটাতে শিউলি একেবারে গুটিয়ে যায়।নিজেকে সে খুব ছোট ভাবতে লাগলো।একবার ভেবেও ফেলল সন্তান হওয়ার পর সে আত্মহত্যা করবে!আবার প্রায়ই সে নামাজের মোনাজাতে আল্লাহর কাছে আবদার করতো সন্তান হওয়ার সময় যেন সে মারা যায়।
শিউলিকে নিয়ে আরিফের উত্তেজনা তখন তুঙ্গে।এমন সময় একদিন ডাক্তারের চেম্বারে ডাক্তার যখন শিউলির স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করে তখন শিউলি আরিফের সামনে বলেন,মরহুম রাজু আহমেদ।ডাক্তার কথাটা শোনার পর আরিফের দিকে একবার চাইল,কিন্তু কিছু বলেনি।আরিফের নিজের কাছে বোকা মনে হচ্ছিলো।আরিফের সেদিন তার জীবনের সবচেয়ে বিষাদময় দিন লাগলো।একটা ছেলে হবার পরেও আরিফের অভিমানে মরে যেতে ইচ্ছে করলো।আরিফের খুব কান্না পাচ্ছিলো সেদিন।আরিফ সেদিন আর বেশি কথা বললোনা শিউলির সাথে।শিউলিও এই নিয়ে কিছু বলেনি বা জানতেও চায় নি।
কিন্তু রাতে আরিফের মাথায় অনেক চিন্তা ভাবনা আসলো।আরিফ মনকে বুঝাল একজনের জায়গা আরেকজনকে দেয়া এতটা সহজ হবে সে তা কীভাবে কল্পনা করলো!আরিফের তখন হঠাত মনে হলো সে আগের আরিফ নাই।সে বাচ্চা হয়ে গেছে এক রকমের।
এরপরেরদিন সে শিউলির সাথে আবারো সেই স্বাভাবিক আচরণ করতে লাগলো।ডেলিভারির ডেটের একসপ্তাহ আগে শিউলির প্রায়ই ব্যাথা উঠতো।শিউলি আরিফের বাসার কাওকে বেশি জরুরী না হলে ডাকতোনা।তার নিজেকে অপরাধী লাগতো।যার ছেলের সন্তান সে পেটে বয়ে বেড়াচ্ছে এরাতো তার বাবা-মা না।
আরিফ যদিও শিউলিকে বলে দিয়েছে কিছু লাগলে যেন তাদের বলে।আরিফ শিউলির অবস্থা দেখে এক সপ্তাহের ছুটি নিলো অফিস থেকে।সারারাত শিউলি ব্যাথায় ঘুমাতে পারতোনা।আরিফ কি করবে ভেবে না পেলে মা’কে যেয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে এনে শিউলির পাশে বসিয়ে রাখতো।
আরিফের পাগলামী শিউলির কেন জানি বিরক্তও লাগতোনা,বরং ভালো লাগতে মাঝে মাঝে।যেদিন বাচ্চা হয় তার আগেরদিনের ঘটনা।সারারাত জেগে থাকলো আরিফ।সে বেশ কয়েকদিন ধরেই রতে ঘুমায় না।কখন শিউলির কি লাগে কে জানে!
শেষরাতের দিকে শিউলি অনুভব করলো একটা হাত তার পেটের উপরে বিচরণ করছে।শিউলি চোখ খুলেনি তবুও।সে টের পেল খুব সাবধানে হাতটা তার পেটের উপরে বুলাচ্ছিলো কেও।শিউলি জানে এটা আরিফের কাজ।শিউলির এই সময়ে খুব মায়া হলো আরিফের জন্যে।মানুষটাকে সে ঠকিয়েছে এরকম মনে হয় শিউলির।
বাচ্চা হওয়ার সময় তার বাসার লোকজন উপস্থিত থাকলেও শিউলির শুধু একটা মুখ সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিলো।মনে হচ্ছিলো এই মুখটা ঠিক ততটাই নিষ্পাপ যতটা তার সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটা।এ মুখের হাসিটাও তার শিশুটারই প্রতিচ্ছবি।সবাই যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলাবলি করছিলো তখন আরিফ শিউলির কাছে এসে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলো।এরপর একটা বোর্ডের সাথে আটকানো কাগজ দিলো শিউলিকে।কাগজে পেশেন্টের স্বামীর নাম লেখা নেই।জায়গাটা ফাঁকা।আরিফ একটু ইতস্ত করে বলল,জায়গাটা ফাঁকা রেখেছি তোমাকে জিজ্ঞেস করতে।কারণ এইনামেই ছেলের টীকা কার্ড দিবে।
শিউলির মানুষটার উপর কেন জানি পৃথিবীর সবটুকু ভালোবাসা ঢেলে দিতে ইচ্ছে হল।সে কলমটা নিয়ে আরিফের দিকে তাকালো।এরপর স্বামীর জায়গায় আরিফের নামটা বসিয়ে দিলো।আরিফের দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো।আরিফের কাছে শিউলির হাতে স্বামীর স্থানে তার নামটা দেখে সে যতটা খুশি তখন হয়েছে এতটা খুশি সে আর কখনো হয়নি।
,
আরিফ তার বাবা-মা,ভাই-বোন’দের নিয়ে রাতে আলাদা করে বসলো।শিউলি বাচ্চার কাছে আছে।আরিফ খুব শান্ত স্বরে তার বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,অন্যরা তাদের নাতি নাতনী হলে কত সুখী হয় ,কিন্তু আপনারা মনে হয় তার কিছুই হননি।কেন?
আরিফের মা ঝট করে বলল,তোর নিজের সন্তান হলে আমরাও খুশী হইতাম।
আরিফ মায়ের কথার সাথে কিছু না বলে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো।ভাই বোনদের এরপর বলল,আমার ছেলে আর বউ নিয়ে তোদের কোনো সমস্যা আছে তাদের মত?
তারা যেন আরিফের প্রশ্নটা ঠিক ধরতে পারেনি।সবাই একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করতে থাকলো।আরিফ তাদের উত্তরের অপেক্ষা না করে আবারো বলল,আমি রোজগার করি বলে যদি আপনারা আমার বউ আর ছেলেকে সহ্য করে থাকেন তাহলে আমি আলাদা হয়ে যাব।আমি পরিবারে টাকা দেয়া নিয়ে কখনো ঝামেলা করবোনা।কিন্তু আমি এটাও চাইনা যে আমার পরিবারের সাথে থেকেও আমার বউ আর ছেলে মিথ্যে সম্মান আর ভালোবাসা পাক।আপনারা সবাই অন্যের মন্দ দিক দেখেন।আমার বউ পালিয়ে যেয়ে বিয়ে করছে,আরেকজনের বাচ্চা নিয়ে আসছে এটাও আপনারা মনে রাখেন।কিন্তু তার কোনো ভালো দিকটা আপনারা মনে ঢুকাতে চান না।আজ অব্দি সে আপনাদের কোনোকিছুর কথা মুখ ফুটে বলছে?কোনো আবদার করছে?করেনি কারণ সে এখনও মনে করে তার জন্যে আমি আপনাদের কাছে দোষী হয়েছি।আপনাদের স্বপ্ন ভেঙ্গেছি।আমি শীঘ্রই আলাদা উঠে যাবো তাদের নিয়ে।
আরিফের পরিবার স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো।সেই সময়ে আকাশে একটা খুব বড় চাঁদ উঠেছিলো।সেই চাদের আলো সদ্য জন্ম নেয়া ছোট্ট শিশুটার মুখে এসে পড়লো।তখন যদি আরিফ বা অন্য কেও একটু খেয়াল করতো তাহলে তারা বুঝতো দরজার ওপাশেই কিছুক্ষণ আগে পানির জন্যে গ্লাস নিয়ে এসেছিলো শিউলি।পানি হাতে নিয়ে তখনও শিউলি দাঁড়িয়ে ছিলো।শিউলির চোখে তখন জল গড়িয়ে পড়ছিলো।শিউলি ঘরে চলে গেলো।রাতে ঘুমানোর আগে আরিফ শিউলিকে বলল,শিউলি আমি যদি তোমাকে নিয়ে আলাদা কোথাও উঠি কখনো তখন কি তুমি আপত্তি করবে?
শিউলি জানে প্রশ্নের মানে ও তার কারণ।শিউলি চুপ করে থাকলো।এরপর শিউলি বলল,কাল তুমি বাবাকে বলবা বাবুর জন্যে একটা নাম দিতে।দাদা দাদীর দায়িত্ব এটা।
আরিফ আর কিছু বললোনা।রাত যখন গড়াচ্ছিলো তখন আরিফ ঘুমের ঘুমে মগ্ন।কয়েকদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত আরিফ যেন আজ খুব শান্তিতে ঘুমাচ্ছে।তাই তার ঘুম সহজে ভাংলোনা।নয়ত সে টের পেত তার বুকে শিউলি মাথা রেখে চোখের জল ফেলছে।রাতের নৈঃশব্দটা এক গভীর ভালোবাসার আভাস দিচ্ছে তাদের,এক নতুন দিগন্তের।একটা নতুন জীবন।সকালের সুর্যোদয় একটা নতুন জীবনের জন্যে তখন পশ্চিম দিকে উদয় হচ্ছিলো।
,
(গল্পটা লেখক তার কল্পনা থেকে লিখেছে।লেখকের জানা নেই বাস্তবতা এত মধুর বা কঠিন কিনা!সে শুধু জানে আমাদের জীবনটা আমাদের ভাবনাতেই ডুবে যায়।বাস্তবে আরিফের মত ছেলে দুষ্কর হলেও,শিউলির মত মেয়ের অভাব নাই।আমাদের সবার মধ্যে একটা জিনিষের খুব অভাব।সেটা হলো একটা সুস্থ আর সৃজনশীল বিবেকের।)
লেখাঃযাকী মুজাহিদ
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩১
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×